সাদা কাগজ
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Go down

আপনার মিথ থ্রিলার হিসেবে আমার লেখা কেমন লেগেছে?

6 - 86%
1 - 14%
0 - 0%
0 - 0%
 
Total Votes: 7
 
Omore Faruk Raul
Omore Faruk Raul
নবাগত
নবাগত
Posts : 5
স্বর্ণমুদ্রা : 1232
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-05-31
Age : 22
Location : Dhaka
https://facebook.com/jujuthelucifer

 সে ছিলো আফ্রোদিতি Empty সে ছিলো আফ্রোদিতি

Mon May 31, 2021 11:56 pm
প্রাচীন ভারতীয় রাজাদের হারেম ছিল ।সেই হারেম ভর্তি ছিল রাজবনিতা দিয়ে । রাজবনিতা অর্থাৎ যৌনদাসী । প্রচণ্ড জাকজমকের হারেমে যৌনতার বাতাস ছিল ভরপুর । শুনেছি প্রধান রাজবনিতা মানে প্রধান যৌন দাসী যিনি থাকতেন, হীরে জহরতে আর সাজ সজ্জায় কোন অংশেই রানী অপেক্ষা কম থাকতেন না । কেন থাকবেন না , অতৃপ্ত রাজার প্রথম পছন্দ থাকতেন যে তিনি ।

আমি রাজা নই । আমার রানীও ও নেই । দাসী তো দূরের কথা , হারেম ও নেই । তবে আমার ইচ্ছে আছে একজনকে কোন একদিন হীরে জহরতে মুড়িয়ে দেবো । সে আমার কেউ নয় । সে শুধুই অচেনা । স্মৃতি ; আমার অচেনা হয়েও চেনা একজন । রাতের রানী সে । তার সাথে আমার পরিচয় বছরখানেকের । দেবজিতের সাথে যখন প্রথম নিষিদ্ধ পল্লীতে আসি তখন পরিচয় । আমি আসতে চাইনি । এক প্রকার জোর করেই আমাকে একজনের ঘরে ঢুকিয়ে দেয়া হয় । আকাঙ্ক্ষা কিংবা আগ্রহ কোনটাই আমার ছিল না । যার ঘরে আমার জায়গা হয় সে বিশ্বাসই করতে পারছিলো না যে আমার কোন আগ্রহ নেই । আমি প্রথমবার বলে লজ্জা পাচ্ছি এই ভেবে মেয়েটি আমার ডান হাত ধরে তার বুকে রাখে । কিন্তু আমার নিষ্প্রাণ হাত কিছু না করায় বোধয় তার ভালো লাগেনি । আমাকে খাটে রেখে সে আয়নার সামনে বসে যায় । চুল বাঁধতে বাঁধতে মেয়েটি মুখ খুলে – ‘’ আপনার মতো আজিব লোক আমি খুবই কম দেখসি । আপনি কিসুই পারেন না । আইসেন কি করতে? “ আমি মৃদু করে উত্তর দিলাম- “ আমি আসতে চাইনি । বন্ধু জোর করে এনেছে । “ মেয়েটি এবার আমার দিকে ঘুরে বসলো – “ বন্ধুরাই আরেক বন্ধুরে এই জায়গায় টাইনা আনে । কত্ত যে দেখলাম । “ “হুম “ “ এখন কি করবেন? কিছু না কইরা হুদাই টেকা দিবেন? “ “ আমাকে গল্প শুনাতে পারেন । এখানকার গল্প , ঘটনা । “ মেয়েটি চোখ চোখ বড় বড় করে বললো, “ টেকা দিয়া কেউ গল্প শুনে? এতো গল্প শুননের শখ থাকলে আমাগো স্মৃতির কাছে জান । “ “স্মৃতি কে? “ “স্মৃতি আমাগো লগের মাইয়া । এক্কেরে দেবীর মতন । অনেক গল্প পারে । ডাকমু তারে? খারান লইয়া আহি । “ আমাকে কোন উত্তর দেয়ার সুযোগ না দিয়েই মেয়েটি বের হয়ে গেলো ।

রুমে একা বসে আছি । তক্তপোষের বিছানার চারিপাশে মশারির স্ট্যান্ড । খাটের পাশে একটা ছোট ড্রেসিং টেবিল । সস্তা প্রসাধনী দিয়ে ভরপুর । একপাশে আলনায় রঙ্গিন কিছু শাড়ি । এরকম প্রায় ৩০ টা ঘর নিয়ে এই জায়গা চলছে । প্রকাণ্ড বড় এক বাড়ি এদের দখলে । ভিতরে আরও বদ্ধ কিছু রুম । চারিপাশ দেখতে দেখতে হঠাৎ করে এক মেয়ের আগমন । ঘরের হলুদ বাতিতে আগমন ঘটা রমণীর রূপ বর্ণনা করা সম্ভব না । তবে এটুকু বলাই যায় ঘরের সমস্ত আলো কেড়ে নিয়েই তার প্রবেশ । লাল রঙের পাতলা শাড়িতে জড়ানো মেয়েটি বোধহয় স্মৃতি । হ্যাঁ স্মৃতি । ভার্সিটি পড়ুয়া কোন অষ্টাদশীর মতো তার দৃষ্টি । মুখোমুখি বসে শুধু তার মুখই দেখে চলেছি । আমি এমনিতেই কথা কম বলি । মেয়েটি আমাকে দেখে চুপসে গেছে । আমি অনেক খানি হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্রর মতো দেখতে । একটা গোলগাল চশমা আর ফর্সা চেহারায় আমাকে শুভ্রই লাগে । জাগতিক পাপ থেকে মুক্ত বলা চলে । এই শুভ্রতা দেখেই বোধহয় স্মৃতি নামের মেয়েটি চুপ মেরে গেছে । কিছুক্ষণ আমরা চুপ করেই থাকি । এরপর আমি উঠে চলে গেলাম । আমার কেমন জানি অসহ্য লাগছিল । তবে এই যাওয়া শেষ যাওয়া ছিল না । আমি এরপর আবার আসি । একবার না , বারবার আসি । স্মৃতির কাছে । মাস এ প্রচুর টাকা নষ্ট করে ওই নিষিদ্ধ পল্লীর ঘরে যাই ; গল্প শুনার জন্য, গল্প করার জন্য । স্মৃতি অদ্ভুত মেয়ে । তাকে ওখানে কেউ জোর করে না । নিজের ইচ্ছা হলে কাজ করে, ইচ্ছা না হলে কাজ করে না । কেন যেন সবাই ওকে সমীহ করে চলে । এজন্যই বোধহয় আমি বারবার যাওয়ায় কোন সমস্যা হয় না । দিন দিন ওর সাথে সম্পর্ক বাড়ে । শারীরিক সম্পর্ক না হলেও বোঝাপড়া ভালো ভাবেই গড়ে উঠেছে । আমি যেদিন যাই সেদিন সে আমার পছন্দের শাড়ি পড়ে ; নীল শাড়ি । আমি কবে আসবো সেটা না বললেও স্মৃতি সেটা বুঝে যেত । আমার ভালো লাগত । স্মৃতি কেও ভালো লাগত । ওর থেকেই জেনেছিলাম দুর্গা পূজার একটা অজানা বিষয় । পূজার প্রতিমা বানানোর জন্য ওদের নিষিদ্ধ পল্লী থেকে মাটি নিয়ে যেত । প্রচলিত আছে পুরুষরা যখন নিষিদ্ধ পল্লীর ঘরের দরজা দিয়ে ঢোকে , সে সময় জগতের সকল পুণ্য এবং ভালো কাজকে বিসর্জন দিয়ে ঢোকে । তার বদলে নিয়ে আসে নিষিদ্ধ নারীদের থেকে জাগতিক পাপ । এজন্য সেখানকার মাটিকে পবিত্র ধরা হয় । দুর্গা পূজার প্রতিমা তাই ওদের ঘরের সামনে থেকের মাটি দিয়ে বানানো হয় ।


স্মৃতির কাছে যাওয়ার সুবাদে ওখানকার অনেকের সাথেই আমার পরিচয় । আমি যাই। সবাই আমাকে চেনে । আসলেই বলে ,” স্মৃতি বসে আছে যান যান !” এই বলে হাসা হাসি করে আর চিমটি কাটে । আমার পরিবার নেই । কেউ নেই । তাই মান সম্মান এর ভয় নেই । স্মৃতির কাছেই আমি পরিবার খুঁজে পাই । ওদের কোন উপলক্ষে আমাকে ডাকতো ; যেতাম । আমাকে খারাপ ভাবতেন পারেন , একেবারেই খারাপ । আমি গায়ে লাগাই না । আমি তো কখনো যৌনতা খুজিনি । আমি স্মৃতির কাছে ভালবাসাই খুজেছি । তবে ঈশ্বর যাকে ভালবাসা দেন , তাকে সবার থেকে ভালবাসা দেন । আর যে ভালবাসা পায়না , ঈশ্বর তাকে ছিটে ফোঁটাও দেন না । আমি সেই অভাগাদের দলে ।


আজ বৈশাখী । স্মৃতিদের এখানকার প্রায় সবাই পাশের মেলায় গিয়েছে । আজ কেউ কাজ করবে না । আমার আসতে আসতে দেরি হয়ে গেলো । ভিতরে ঢুকে দেখি সব ফাঁকা । তবু কি ভেবে স্মৃতির ঘরে গেলাম । স্মৃতি আছে; যায়নি । আয়নার সামনে বসে কপালে টিপ দিচ্ছে । উত্তরের জানালা খোলা । বাইরের আলোয় স্মৃতি যেন অন্য এক মানুষ । সাদা শাড়ি , লাল পাড় । পায়ে নূপুর সবসময়ের মতো । খোলা চুল কটিদেশ ছাড়িয়ে গেছে । কপালের কালো টিপ শরীরে অন্যরকম অনুভূতি এনে দিলো যেন । দেবী হলে সে স্মৃতির মতই দেখতে হত নির্ঘাত । আমাকে দেখে সে বলল , “চলো উপরে গিয়ে বসি । পরেই না হয় মেলায় যাবো । “ আমি না করিনি । না করতে পারিনা বড় । স্মৃতি আর আমি চিলেকোঠায় গিয়ে বসলাম । সে আমার কাঁধে মাথা রেখে বসলো । আমার বাম হাত জড়িয়ে ধরে বললো ,” আজকে একটা গল্প শুনাব? খুব শুনাতে ইচ্ছা করছে । “ আমি খোলা চুলে হাত বুলিয়ে সায় দিলাম , “ শুনাও তাহলে । “


"আমাদের এই জায়গা একসময় আমার নানীমা চালাতেন । সবথেকে নামডাক ছিল তার সময়েই । আমার মা যখন তার গর্ভে আসে , তখন সে আর এখানে কাজ করেননি । শুধু সবার দেখাশুনা করতেন । তারপর আমার মাও একসময় এখানে কাজ করেছে , আজ আমি । আমার নানীর জন্যই আমি এখানে আলাদা একটা সম্মান নিয়ে আছি । তিনি আমাদের পড়ালেখা শিখিয়েছিলেন । আমরা যেন কোথাও কিছু করে খেতে পারি তার শিক্ষাও দিতেন । আচ্ছা তুমি কি জানো অনিক , আমাদের এই জায়গা আগে সরকারি অনুমোদনে চলতো । শুধু আমাদের এটা না । যুগ যুগ এ , হাজার বছর ধরে এই পেশা সম্মানের সাথেও চলে এসেছে । ভারতের উড়িশা তে রাজকীয় নিষিদ্ধ পল্লী ছিল । আর আমাদের যৌনতার দেবী ছিলেন আফ্রোদিতি । প্রাচীন গ্রিক এ আফ্রোদিতির মন্দির ছিল । শুধু গ্রিক এ না । বেবিলনিয়া তে আফ্রোদিতির মন্দিরে অবাধে যৌন চর্চা হত । আফ্রোদিতির মূর্তির কাছে বসে থাকতো মেয়েরা । মন্দিরে আসা পুরুষরা যাকে ভালো লাগত তার কোলে টাকা ছুড়ে দিতো । এই টাকা ছুড়ে দেয়ার মানে হল – মেয়েটিকে ওই পুরুষের সাথে যেতে হবে যেখানে নিয়ে যাবে । সেই পুরুষকে প্রত্যাখ্যান করা মানে ঘোর পাপ । মহাপাপ । এপোলো এর মন্দিরের কাছে এক মহিলার মৃত দেহ পাওয়া যায় অনেক পরে । সেই মহিলার অপরাধ ছিল যে মন্দিরের যৌনচর্চায় শামিল হতে চায়নি এবং পালাতে চেয়েছিল । পুরুহিত দের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয় । জাপানে নিষিদ্ধ পল্লীকে এক সময় অতি সম্মানের সাথে দেখা হত । যৌনতাকে পবিত্র বলেও গণ্য হত । আর এইসব এর মুল ছিলেন দেবী আফ্রোদিতি । আফ্রোদিতি ছাড়াও সমকামিতার দেবতা ছিলেন জোপিসিলি । মায়া সভ্যতায় প্রথম সমকামিতার মন্দির পাওয়া যায় । ইনকাদের মাঝেও সমকামিতা ছিল । তাদের পুরহিত দের নির্দেশে অল্প বয়সী ছেলেদের পতিতা সাজিয়ে মন্দিরে পেশ করা হত । পবিত্র উৎসব এ এইসব ছেলেদের সাথে ধর্মীয় গুরুরা কামনায় লিপ্ত হতেন । বেবিলন এ পুরুষরা এই বলে মেয়েদের প্রস্তাব দিতো – আমি তোমাকে আমার শয্যায় মাইলিতার নাম নিয়ে আহব্বান জানাচ্ছি । মাইলিতার নাম না নিলে কোন নারী প্রস্তাব গ্রহণ করতেন না । সে সময় উচ্চ পরিবার থেকে মেয়েরা আসতো যৌন কর্মের জন্য ; কেননা পবিত্র বলে এটা সব মন্দিরে মান্য করা হত । অনেক হল গল্প বলা । এবার উঠো তো । “
স্মৃতি হঠাৎ করে উঠে দাঁড়ালো । আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো এক রুম এর সামনে । বদ্ধ রুম । বড় একটা তালা ঝুলানো । এরকম একটা তালা ভাংতে যেকোনো চোরের ঘণ্টা খানেক সময় লাগবেই । স্মৃতি আঁচল থেকে একটা বড় চাবি বের করে দরজা খুললো । ভিতরটা অন্ধকার । স্মৃতি ভিতরে ঢুকেই জানালা খুলে দিলো । বাইরের আলো ভিতরে আসতেই পুরো ঘর পরিষ্কার হয়ে গেলো । ঘরটা মোটামোটি পরিষ্কার । অন্য রুম এর থেকে প্রায় ৫ গুণ বড় এই রুম । ছোটোখাটো ফুটবল মাঠ এর মতন । ঘরে আর কিছু নেই , শুধু একটা জিনিস ছাড়া । ঘরের ঠিক মাঝে কি যেন একটা কাপড় দিয়ে ঢাকা । স্মৃতি কাছে গিয়ে কাপড় টেনে নামিয়ে আনলো । একটা মূর্তি । নগ্নবক্ষা তরুণীর মূর্তি । মাথায় একটা মুকুট । হালকা বেঁকানো শরীরের দিকে তাকালে সমৃদ্ধ বক্ষের দিকেই নজর যায় সবার আগে । আমি হ্যাঁ করে দেখছি । সাদা পাথরের অপূর্ব এক মূর্তি । পৃথিবীর সমস্ত যৌনতা যেন এই নারী মূর্তির ভিতরে ভর করেছে । স্মৃতি আমার দিকে তাকিয়ে বলল , “ আফ্রোদিতি! যৌনতা , প্রেম এবং ভালবাসার দেবী ! “ আমি হাত বুলাতে লাগ্লাম । মূর্তি কারিগর যেই হোক না কেন সে নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি করেছে । আমাকে নেশায় পেয়ে বসেছে । পিছন থেকে স্মৃতি হঠাৎ ডাক দিলো , “অনিক! “ আমি পিছনে ঘুরে তাকালাম । আমার সমস্ত ইন্দ্রিয় পুলকিত হয়ে গেলো । স্বয়ং আফ্রোদিতি যেন আমার সামনে । স্মৃতি , আমার দেবী; তার শাড়ি সরিয়ে ফেলেছে । বিবস্ত্র । হাতের চুড়ি আর পায়ের নূপুর আছে শুধু । আমি নির্বাক হয়ে আছি কেবল । একই ঘরে দুইটা আফ্রোদিতি কে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি । একটা জীবন্ত আরেকটা নিষ্প্রাণ । জীবন্ত আফ্রোদিতি আমাকে ডাকছে । স্মৃতির এই ডাক মানা করা যায়না । মহাকালের সকল ঘোর আমাকে পেয়ে বসেছে । আমি এই ঘোর কাটাতে পারিনি । বদ্ধ ঘরে উদ্দাম আদিম বাসনার ফসল হলাম শেষ পর্যন্ত । স্মৃতির হাতের কয়েকটা চুড়ি ভেঙ্গে গড়িয়ে গড়িয়ে আফ্রোদিতির পায়ের কাছে গিয়ে পড়লো । স্মৃতি উঠে গেলো ; আমি মাটিতে শুয়ে আছি । স্মৃতি আস্তে আস্তে আফ্রোদিতির মূর্তির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো ।

“ অনিক, আমরা পরজন্মে বিশ্বাসী জানো তো । আমি আফ্রোদিতির অনুসারী । আমার নানীও দেবীর অনুসারী ছিলেন । এই মূর্তি তিনিই এখানে রাখেন । খুব কম মানুষ এই ঘরের খবর জানে । আফ্রোদিতি তার অনুসারীদের ভালবাসেন । এতোটাই ভালবাসেন যে আমাদেরকে সুযোগ করে দিয়েছেন অনন্ত যৌবন লাভের ।দেবীর সামনে শুদ্ধ কোন পুরুষ এর সাথে মিলন দেবীকে তুষ্ট করে । এই মিলন আজ এখানে হয়েছে । আফ্রোদিতির পূজারীদের এক অংশ বিশ্বাস করে এই বিশেষ মিলনে স্বয়ং আফ্রোদিতি মিলিত হন । হতে পারে আমি না , আফ্রোদিতি নিজে এসেছেন তোমার কাছে । “ স্মৃতি দেবীর মূর্তির পাশ থেকে একটা ছুরি বের করে আনলো । ছুরিটা যে প্রচণ্ড ধারালো সেটা আমি জানি ; এটা আমি এনে দিয়েছিলাম এক সময় । স্মৃতি নিজে আমাকে আনতে বলেছিল । তখন জানতাম না এতো আবেগ , এতো ভালবাসা সব আজকের এই দিনের জন্য । স্মৃতি তার অনন্ত যৌবন এর জন্য আমাকে এনেছে আর কিছুই না । স্মৃতি আমার কাছে এসে ফিস ফিস করে বললো , রক্ত ছাড়া দেব দেবীরা পূজা করেন নাকি অনিক? আফ্রোদিতিও রক্ত চান । আচ্ছা , রক্ত আমিও চাই ; আমিও আফ্রোদিতি যে ! “

ছুরিটা বুকে বিঁধে যাচ্ছে । চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে আমার । তবু ঝাপসা চোখে স্পষ্ট দেখলাম স্মৃতির চোখে হালকা পানি উকি দিচ্ছে । এক শরীরের দুই সত্তার লড়াইয়ে মাঝে মাঝে খারাপ সত্তার জয় হয় । সে জয় লোভের ,ক্ষমতার কিন্তু মনুষ্যত্বের নয় ……

Md Abu, Khondkar, rajib haldar, Tothapi, Israt Jahan, Polash, Jakir and লেখাটি পছন্দ করেছে

avatar
Tothapi
ধুমকেতু
ধুমকেতু
Posts : 13
স্বর্ণমুদ্রা : 1334
মর্যাদা : 20
Join date : 2021-05-26

 সে ছিলো আফ্রোদিতি Empty Re: সে ছিলো আফ্রোদিতি

Tue Jun 01, 2021 1:17 pm
Message reputation : 100% (1 vote)
অসাধারণ লিখেছেন I love youI love you

Israt Jahan, Omore Faruk Raul, Polash, Jakir, Halal, Ratul, Alom and লেখাটি পছন্দ করেছে

avatar
রকি
নবাগত
নবাগত
Posts : 2
স্বর্ণমুদ্রা : 1117
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-06-01

 সে ছিলো আফ্রোদিতি Empty Re: সে ছিলো আফ্রোদিতি

Tue Jun 01, 2021 1:30 pm
জোস

Omore Faruk Raul, Polash, Jakir, Halal, Ratul, Alom, Sohel and লেখাটি পছন্দ করেছে

Sponsored content

 সে ছিলো আফ্রোদিতি Empty Re: সে ছিলো আফ্রোদিতি

Back to top
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum