- Riazনবাগত
- Posts : 9
স্বর্ণমুদ্রা : 1166
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-06-04
লুকোচুরি
Fri Jun 04, 2021 11:09 pm
পর্বঃ১
রুহির লাশটা মাটি চাপা দেওয়ার পরও হাইওয়েই রাখা গাড়ির সামনে রুহিকে দেখে শীতের মধ্যে ও শরীরের প্রতিটা লোমকূপ থেকে ঘাম ঝড়তে থাকে রহিত ও রোকসানা বেগমের।
তারা দুজনই একে অপরের দিকে তাকায়।দুজনের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না।
এটা কি করে সম্ভব হতে পারে তাদের মাথায় ঢুকছে না, কিছুক্ষণ আগে যাকে মাটি চাপা দিয়ে এলো সেই এখন জীবিত তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
দুজনেই ভাবে রুহির আত্মা আবার প্রতিশোধ নিতে ফিরে আসেনি তো। ভয়ে, দুংখে দুজনের শরীরে শীতল পরশ বয়ে যায়, লোম গুলো খাড়া হয়ে উঠে।
রহিত বলে-
--- খালাম্মা আমাদের পাপের সের পূর্ণ হয়েছে এবার আর আমাদের রেহায় নায়,রুহির আত্মা চলে এসেছে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।
রোকসানা বেগমের মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না। ভয়ে থরথর করে কাঁপছে।সারাজীবন যে পাপ কাজ গুলো করেছে তা চোখের সামনে ভাসতে থাকে।
স্বার্থ লাভের আশায় কত জগন্য কাজ করেছে তার হিসাব মেলাতে ব্যার্থ রোকসানা বেগম।
মৃত্যু যখন দরজায় এসে কড়া নাড়ে তখন হয়তো সকলেই তার পাপ পণ্যের হিসাব মেলাতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে।
যেমনটি রোকসানা বেগমের হচ্ছে।
রোকসানা বেগমকে চুপ থাকতে দেখে রহিত বলে-
--- খালাম্মা চুপ করে আছেন কেন? কিছু একটা তো এখন করতে হবে।
রোকসানা বেগম রহিতের কথায় বাস্তবে ফেরে,রহিতকে বলে-
--- চল পালায়
এদিকে আধা ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছে রুহি হাইওয়েতে রহিত ভাই ও ছোট কাকিমার জন্য, কিন্তু তাদের আসার কোন খোঁজ নায়।রুহি প্রচন্ড বিরক্তবোধ করছে তাকে আসতে বলে যে তারা কোথায় গেল বুঝতে পারছে না।
একবার ভাবে বাড়িতে চলে যাবে, আবার ভাবে না যদি কাকিমা মনে কষ্ট পায় তাই থেকেই যায়।
বিরক্তবোধ দুর করার জন্য রুহি ফোন ঘাটতে থাকে মাঝে মধ্যে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখতে থাকে রহিত ভাই ও কাকিমা আসছে কি না।
কিন্তু তাদের কোন খোঁজই নেই। জঙ্গলের পাশে হাইওয়েতে রুহির একা থাকতে ভয় ও করছে কিন্তু থাকা ছাড়া আর কোন উপায় ও নেই।
আরও কিছুক্ষণ দেরি করে রুহি কিন্তু তাদের দেখা পায় না, তাই সিদ্ধান্ত নেয় সে বাড়িতে চলে যাবে।
তার নিজ গাড়ির দিকে যেতে যাবে তখনি পেছনের জঙ্গল থেকে কারর পায়ের আওয়াজ শুনে ফিরে তাকায় রুহি।
চাঁদের আলোয় সে স্পষ্ট দেখতে পায় রহিত ভাই ও ছোট কাকিমা জঙ্গলের মধ্যে চলে যাচ্ছে।
রুহি আর দেরি না করে দৌড় দেয় তাদের দিকে, হাইওয়ে থেকে নেমে জঙ্গলের মধ্যে গিয়ে বলে -
--- দাঁড়া ও তোমরা।
রহিত ও রোকসানা বেগম যেই পালাতে যাবে ঠিক তখনি পিছন থেকে রুহির ডাকে দাঁড়িয়ে পড়ে।
দুজনেরই ভয়ে পা থরথর করে কাঁপতে থাকে। ভয়ে ভয়ে তারা রুহি দিকে ফিরে তাকায়, রুহির চেহারায় প্রচন্ড রাগের আভা দেখতে পায়। এই বুঝি তাদের দুজনের শরীর থেকে মাথা আলাদা করে নিবে।
দুজনই গিয়ে রুহির পা জরিয়ে ধরে বলে থাকে-
--- আমরা অনেক ভুল করেছি তুই আমাদের মাপ করে দে, আমরা আর কোনদিন কারর সাথে এমন কাজ করব না।
রুহি কাকিমা ও রহিত ভাইয়ের এমন ব্যবহারে বেশ ঘাবড়ে যায়। দুজনের কাছ থেকে নিজের পা ছাড়িয়ে নিয়ে বলে-
--- তোমরা কি পাগল হয়ে গেলে নাকি? এসব কি করছ? তোমরা কি এমন অপরাধ করছ যে আমার কাছে মাপ চায়তেছ?
রুহির কথায় রহিত ও রোকসানা বেগম একে অপরের দিকে তাকায়। তাদের সাথে আজ কি ঘটছে তারা মেলাতে পারছে না।
রোকসানা বেগম ভাবে রুহির বদলে আবার অন্য কাউকে মাটি চাপা দিয়নি তো? কিন্তু তা কি করে হতে পারে তারা তো রুহির রুম গিয়ে তাকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে তার পর কম্বলে জরিয়ে জঙ্গলে এনে মাটি চাপা দেয়।ঠিক তখনি রোকসানা বেগমের মনে পড়ে তাড়াহুড়ো কারণে যে তারা কাকে মেরেছে তার মুখটা ও দেখা হয়নি কারণ রুহির রুমে গিয়ে তারা দেখে রুহি কম্বল জরিয়ে ঘুমিয়ে আছে যার কারণে তার মুখ দেখতে পায়নি আর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করার পর তাড়াহুড়ো করায় কম্বল জড়ানো অবস্থায় বেঁধে গাড়িতে তুলে এনে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
তাহলে কি তারা অন্য কাউকে মাটি চাপা দিয়েছে ভাবতেই শরীরটা ঝিন করে উঠল।
নিজেকে সংযত করে বলল-
--- আসলে রুহি আমরা এখানে এসেছিলাম এক দরবেশ বাবার কাছে সে বলেছে ছোট, বড় সকলের কাছে মাপ চায়তে যাতে ছোট খাটো যে পাপ করেছি সেগুলো যাতে মুছে যায়।
রুহির কাকিমার কাছে এসে জরিয়ে ধরে বলে -
--- আমার কাকিমা কোন পাপ কাজ করতে পারে না, আমার কাকিমা পৃথিবীর সেরা কাকিমা।
একথা বলে রুহি বলে এখন চলোতো অনেকক্ষণ ধরে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি, এখানে একটুও ভালো লাগছে না।
--- চল তাহলে (রহিত)
তারা তিন জন জঙ্গল থেকে বের হয়ে গাড়ির দিকে হাটা শুরু করে, এরই মধ্যে রোকসানা বেগমের মাথায় হুট করে আসে আচ্ছা আমরা যে এখানে তা রুহি জানল কি করে!
তাই রুহিকে জিজ্ঞেস করে -
--- আচ্ছা রুহি আমরা যে এখানে তুই জানলি কি করে?
রুহি তার মোবাইলটা বের করে কাকিমার দিকে দিয়ে বলে --
--- তুমিই তো আমাকে এই মেসেজ দিলে, তাই আমি চলে আসলাম।
রোকসানা বেগম রুহির কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে দেখতে পায় মেসেজে লেখা রুহি হাইওয়ের পাশে যে জঙ্গল আছে সেখানে একটু আয়তো।
মেসেজটা পড়েই রোকসানা বেগমের আবারও ঘাম ঝড়তে থাকে।
এটা কি করে হতে পারে মোবাইল তো তার কাছেই রয়েছে কিন্তু পাঠাল কে!?
রহিতের দিকে তাকায় একবার রহিত আবার তার সাথে প্রতারণা করছে না তো?
রহিত এখন চুপ মেরে আছে তার মাথায় রোকসানা বেগমের কোন কথায় ঢুকছে না..........
........চলবে?
শেখ রিয়াজ
রুহির লাশটা মাটি চাপা দেওয়ার পরও হাইওয়েই রাখা গাড়ির সামনে রুহিকে দেখে শীতের মধ্যে ও শরীরের প্রতিটা লোমকূপ থেকে ঘাম ঝড়তে থাকে রহিত ও রোকসানা বেগমের।
তারা দুজনই একে অপরের দিকে তাকায়।দুজনের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না।
এটা কি করে সম্ভব হতে পারে তাদের মাথায় ঢুকছে না, কিছুক্ষণ আগে যাকে মাটি চাপা দিয়ে এলো সেই এখন জীবিত তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
দুজনেই ভাবে রুহির আত্মা আবার প্রতিশোধ নিতে ফিরে আসেনি তো। ভয়ে, দুংখে দুজনের শরীরে শীতল পরশ বয়ে যায়, লোম গুলো খাড়া হয়ে উঠে।
রহিত বলে-
--- খালাম্মা আমাদের পাপের সের পূর্ণ হয়েছে এবার আর আমাদের রেহায় নায়,রুহির আত্মা চলে এসেছে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।
রোকসানা বেগমের মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না। ভয়ে থরথর করে কাঁপছে।সারাজীবন যে পাপ কাজ গুলো করেছে তা চোখের সামনে ভাসতে থাকে।
স্বার্থ লাভের আশায় কত জগন্য কাজ করেছে তার হিসাব মেলাতে ব্যার্থ রোকসানা বেগম।
মৃত্যু যখন দরজায় এসে কড়া নাড়ে তখন হয়তো সকলেই তার পাপ পণ্যের হিসাব মেলাতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে।
যেমনটি রোকসানা বেগমের হচ্ছে।
রোকসানা বেগমকে চুপ থাকতে দেখে রহিত বলে-
--- খালাম্মা চুপ করে আছেন কেন? কিছু একটা তো এখন করতে হবে।
রোকসানা বেগম রহিতের কথায় বাস্তবে ফেরে,রহিতকে বলে-
--- চল পালায়
এদিকে আধা ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছে রুহি হাইওয়েতে রহিত ভাই ও ছোট কাকিমার জন্য, কিন্তু তাদের আসার কোন খোঁজ নায়।রুহি প্রচন্ড বিরক্তবোধ করছে তাকে আসতে বলে যে তারা কোথায় গেল বুঝতে পারছে না।
একবার ভাবে বাড়িতে চলে যাবে, আবার ভাবে না যদি কাকিমা মনে কষ্ট পায় তাই থেকেই যায়।
বিরক্তবোধ দুর করার জন্য রুহি ফোন ঘাটতে থাকে মাঝে মধ্যে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখতে থাকে রহিত ভাই ও কাকিমা আসছে কি না।
কিন্তু তাদের কোন খোঁজই নেই। জঙ্গলের পাশে হাইওয়েতে রুহির একা থাকতে ভয় ও করছে কিন্তু থাকা ছাড়া আর কোন উপায় ও নেই।
আরও কিছুক্ষণ দেরি করে রুহি কিন্তু তাদের দেখা পায় না, তাই সিদ্ধান্ত নেয় সে বাড়িতে চলে যাবে।
তার নিজ গাড়ির দিকে যেতে যাবে তখনি পেছনের জঙ্গল থেকে কারর পায়ের আওয়াজ শুনে ফিরে তাকায় রুহি।
চাঁদের আলোয় সে স্পষ্ট দেখতে পায় রহিত ভাই ও ছোট কাকিমা জঙ্গলের মধ্যে চলে যাচ্ছে।
রুহি আর দেরি না করে দৌড় দেয় তাদের দিকে, হাইওয়ে থেকে নেমে জঙ্গলের মধ্যে গিয়ে বলে -
--- দাঁড়া ও তোমরা।
রহিত ও রোকসানা বেগম যেই পালাতে যাবে ঠিক তখনি পিছন থেকে রুহির ডাকে দাঁড়িয়ে পড়ে।
দুজনেরই ভয়ে পা থরথর করে কাঁপতে থাকে। ভয়ে ভয়ে তারা রুহি দিকে ফিরে তাকায়, রুহির চেহারায় প্রচন্ড রাগের আভা দেখতে পায়। এই বুঝি তাদের দুজনের শরীর থেকে মাথা আলাদা করে নিবে।
দুজনই গিয়ে রুহির পা জরিয়ে ধরে বলে থাকে-
--- আমরা অনেক ভুল করেছি তুই আমাদের মাপ করে দে, আমরা আর কোনদিন কারর সাথে এমন কাজ করব না।
রুহি কাকিমা ও রহিত ভাইয়ের এমন ব্যবহারে বেশ ঘাবড়ে যায়। দুজনের কাছ থেকে নিজের পা ছাড়িয়ে নিয়ে বলে-
--- তোমরা কি পাগল হয়ে গেলে নাকি? এসব কি করছ? তোমরা কি এমন অপরাধ করছ যে আমার কাছে মাপ চায়তেছ?
রুহির কথায় রহিত ও রোকসানা বেগম একে অপরের দিকে তাকায়। তাদের সাথে আজ কি ঘটছে তারা মেলাতে পারছে না।
রোকসানা বেগম ভাবে রুহির বদলে আবার অন্য কাউকে মাটি চাপা দিয়নি তো? কিন্তু তা কি করে হতে পারে তারা তো রুহির রুম গিয়ে তাকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে তার পর কম্বলে জরিয়ে জঙ্গলে এনে মাটি চাপা দেয়।ঠিক তখনি রোকসানা বেগমের মনে পড়ে তাড়াহুড়ো কারণে যে তারা কাকে মেরেছে তার মুখটা ও দেখা হয়নি কারণ রুহির রুমে গিয়ে তারা দেখে রুহি কম্বল জরিয়ে ঘুমিয়ে আছে যার কারণে তার মুখ দেখতে পায়নি আর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করার পর তাড়াহুড়ো করায় কম্বল জড়ানো অবস্থায় বেঁধে গাড়িতে তুলে এনে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
তাহলে কি তারা অন্য কাউকে মাটি চাপা দিয়েছে ভাবতেই শরীরটা ঝিন করে উঠল।
নিজেকে সংযত করে বলল-
--- আসলে রুহি আমরা এখানে এসেছিলাম এক দরবেশ বাবার কাছে সে বলেছে ছোট, বড় সকলের কাছে মাপ চায়তে যাতে ছোট খাটো যে পাপ করেছি সেগুলো যাতে মুছে যায়।
রুহির কাকিমার কাছে এসে জরিয়ে ধরে বলে -
--- আমার কাকিমা কোন পাপ কাজ করতে পারে না, আমার কাকিমা পৃথিবীর সেরা কাকিমা।
একথা বলে রুহি বলে এখন চলোতো অনেকক্ষণ ধরে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি, এখানে একটুও ভালো লাগছে না।
--- চল তাহলে (রহিত)
তারা তিন জন জঙ্গল থেকে বের হয়ে গাড়ির দিকে হাটা শুরু করে, এরই মধ্যে রোকসানা বেগমের মাথায় হুট করে আসে আচ্ছা আমরা যে এখানে তা রুহি জানল কি করে!
তাই রুহিকে জিজ্ঞেস করে -
--- আচ্ছা রুহি আমরা যে এখানে তুই জানলি কি করে?
রুহি তার মোবাইলটা বের করে কাকিমার দিকে দিয়ে বলে --
--- তুমিই তো আমাকে এই মেসেজ দিলে, তাই আমি চলে আসলাম।
রোকসানা বেগম রুহির কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে দেখতে পায় মেসেজে লেখা রুহি হাইওয়ের পাশে যে জঙ্গল আছে সেখানে একটু আয়তো।
মেসেজটা পড়েই রোকসানা বেগমের আবারও ঘাম ঝড়তে থাকে।
এটা কি করে হতে পারে মোবাইল তো তার কাছেই রয়েছে কিন্তু পাঠাল কে!?
রহিতের দিকে তাকায় একবার রহিত আবার তার সাথে প্রতারণা করছে না তো?
রহিত এখন চুপ মেরে আছে তার মাথায় রোকসানা বেগমের কোন কথায় ঢুকছে না..........
........চলবে?
শেখ রিয়াজ
Hasibul hasan santo, Santa akter, Sk sagor, Sk imran, Raihan khan, Tanusri roi, Sakib sikdar and লেখাটি পছন্দ করেছে
- Riazনবাগত
- Posts : 9
স্বর্ণমুদ্রা : 1166
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-06-04
Re: লুকোচুরি
Fri Jun 04, 2021 11:09 pm
পর্বঃ২
শেখ_রিয়াজ
রহিতের মনে সন্দেহ থেকেই যায়, সে রুহির উপস্থিতি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। কিছু তো আছেই যেটা তারা বুঝতে পারছে না,রহিত মনে মনে ভাবে যে করেই হোক এই রহস্য আমাকে উদঘাটন করতেই হবে।
রহিতের চুপ থাকতে দেখে রোকসানা বেগমের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়, মনে মনে ভাবে কিছু তো আছে যেটা রহিত আমার থেকে লুকাচ্ছে আর কিছু যদি লুকিয়েও থাকে তাহলে এর মাশুল ওকে দিতে হবে।
সাথে রুহি থাকার কারণে কিছু বলতে ও পারছে না,তাই চুপ মেরে যায়।
বাড়িতেই আসার পর থেকেই রুহিকে দেখে সবাই যেন ভূত দেখার মতো আতকে উঠছে। সকলের এমন ব্যবহারে রুহি বেশ অবাক হচ্ছে, সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছিল যখন ছোট চাচা রুহিকে দেখে ভুত ভুত বলে চিৎকার করছিল রুহি কাছে যেতেই তার ছোট চাচা দৌড়ে পালায়।
রুহির মন খারাপ হয়ে যায়। সবাই এ রকম করছে কেন সে বুঝে উঠতে পারে না। মন খারাপ করে নিজের রুমে চলে যায়, হাতে থাকা ফোনটা ছুড়ে মেরে সাওয়ার নিতে চলে যায়। অনেকক্ষণ ধরে সাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকে আর ভাবতে থাকে সবাই তার সাথে এমন ব্যবহার করছে কেন!!
এতদিন তো সবই ঠিক ঠাক ছিল তাহলে এদের হলো কি?!!
এর কোন উত্তর জানা নেই রুহির।
আরও কিছুক্ষণ সাওয়ারের নিচে থাকলে জ্বর আসতে পারে তাই বেরিয়ে আসে।
এদিকে রহিত ও রোকসানা বেগম বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে নিজের রুমে চলে আসে দরজা আটকিয়েই বলতে শুরু করে
--- আমরা হয়তো রুহির জায়গায় অন্য কাউকে মেরে ফেলেছি কিন্তু কি করে হলো এটাই তো বুঝতে পারছি না!!
রুহির ছোট চাচা হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠে-
--- আমি নিজে রুহিকে রুমের মধ্যে ঢুকতে দেখেছি এটা কখনও হতেই পারে না।
রুহির চাচাতো ভাই (হিমেশ) বলে উঠে-
--- এটাতো কখনও সম্ভাই না কারণ রুহি ছাড়া ওর রুমে আর থাকবেই বা কে?!!
হিমেশের কথায় সবাই যেন চমকে উঠে।রোকসানা বেগম বলে-
--- হিমেশ তো ঠিকিই বলেছ রুহি ছাড়া আর তো কেউ ওর রুমে থাকতে পারে না, না ওর কোন বন্ধু এসেছিল না ওর কোন রিলেটিভ, তাহলে!!!
রহিত রোকসানা বেগমের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলে-
--- খালাম্মা, রুহির আত্মা নিশ্চয় ফিরে এসেছে ও আমাদের কাউকে ছাড়বে না।
এমন সময় দমকা একটা হাওয়া এসে রুমের পর্দা গুলো দুলতে থাকে সবাই ভয়ে একসাথে জোড় হয়ে বসে।
হিমেশ কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে-
--- আমমমমাদের মরররণের সময় চলললে এসেছে কেউ আমাদের আর বাঁচাতে পারবে না।
এমন সময় দরজার বাইরে করার ছায়া এসে পড়ে সেই সাথে নুপুরের আওয়াজ। এই বাড়িতে রুহিই শুধু নুপুর পড়ে।সময় যত যেতে থাকে নুপুরের আওয়াজ ততই বাড়তে থাকে দরজার নিকটে এসে ছায়াটা দাঁড়িয়ে পড়ে। ভিতরে সকলের হৃদস্পদন বেড়ে যায় ভয়ে সকলে কাঁপতে থাকে।
রোকসানা বেগমের ও যায় যায় অবস্থা কিন্তু এখন তাকে কিছু করতে হবে না হলে সকলকেই শেষ হতে হবে।
রহিতের দিকে তাকিয়ে ইশারায় কিছু একটা বলে সামনের দিকে এগোতে থাকে। দরজার কাছে গিয়ে হুট করে দরজা খুলে ফেলে সাথে সাথেই দমকা হাওয়া বন্ধ হয়ে যায় সাথে সামনে থাকা ছায়াও কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে যায়।
রোকসানা বেগমের শরীর বেয়ে বেয়ে ঘাম ঝড়তে থাকে, মনের মধ্যে শুধু একটা জিনিস ঘুরপাক খেতে থাকে তাহলে কি সত্যিই রুহির আত্মা ফিরে এসেছে!!
রুহি সাওয়ার থেকে বেরিয়ে এসে আয়নার সামনে বসে খুব যত্ন সহকারে চুল গুলো আঁচড়াতে থাকে।
এমন সময় বাঁশির আওয়াজ ভেসে আসে তার কানে, যে আওয়াজ রুহি উপেক্ষা করতে পারে না।
মুচকি একটা হাসি দেয়, মনে মনে বলতে থাকে রেহানটাও না দিন দিন বেশ ফাজিল হয়ে যাচ্ছে।
সে জানে বাঁশির আওয়াজ কানে গেলে রুহি স্থির থাকতে পারবে না, সে নিশ্চয় ছুটে আসবে। এই দুর্বলতাকেই সে কাজে লাগাল।
রুহি জানে রোহান এখন ছাদে রয়েছে তাই সে ছাদে চলে আসে ।
ছাদে এসে দেখে আপন মনে রোহান বাঁশির সুরে তাল মেলাচ্ছে রুহি একদৃষ্টিতে সেই দিকে তাকিয়ে থাকে।
রোহান কয়েকদিন যাবৎ রুহিকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিচ্ছে কিন্তু রুহি রাজি হচ্ছে না। সে ও রোহানকে প্রচন্ড ভালোবাসে কিন্তু রোহানকে ইচ্ছে করেই ঘোরাচ্ছে এতে তার বেশ ভালোই লাগছে।
আজ অনেকক্ষণ যাবৎ রুহি রোহানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে কিন্তু রোহানের সেদিকে কোন খেয়ালি নেই।সে একমনে বাঁশির সুরে তাল মেলাতে ব্যাস্ত।
হঠাৎ রুহি তার পেছনে কারর অস্তিত্ব অনুভব করে, কেউ তার কানের খুব কাছে এসে বলে-
--- ভালোবাসি প্রিয়,তোমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসি।
রুহি পিছনে ঘুরে তাকাতেই তার সামনে থেকে একটা কালো ছায়া অদৃশ্য হয়ে যায়। রুহি চিৎকার করে উঠে দৌড়ে গিয়ে রোহানকে জড়িয়ে ধরে ভুত ভুত বলে চিৎকার করতে থাকে। ....................................................................
শেখ_রিয়াজ
রহিতের মনে সন্দেহ থেকেই যায়, সে রুহির উপস্থিতি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। কিছু তো আছেই যেটা তারা বুঝতে পারছে না,রহিত মনে মনে ভাবে যে করেই হোক এই রহস্য আমাকে উদঘাটন করতেই হবে।
রহিতের চুপ থাকতে দেখে রোকসানা বেগমের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়, মনে মনে ভাবে কিছু তো আছে যেটা রহিত আমার থেকে লুকাচ্ছে আর কিছু যদি লুকিয়েও থাকে তাহলে এর মাশুল ওকে দিতে হবে।
সাথে রুহি থাকার কারণে কিছু বলতে ও পারছে না,তাই চুপ মেরে যায়।
বাড়িতেই আসার পর থেকেই রুহিকে দেখে সবাই যেন ভূত দেখার মতো আতকে উঠছে। সকলের এমন ব্যবহারে রুহি বেশ অবাক হচ্ছে, সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছিল যখন ছোট চাচা রুহিকে দেখে ভুত ভুত বলে চিৎকার করছিল রুহি কাছে যেতেই তার ছোট চাচা দৌড়ে পালায়।
রুহির মন খারাপ হয়ে যায়। সবাই এ রকম করছে কেন সে বুঝে উঠতে পারে না। মন খারাপ করে নিজের রুমে চলে যায়, হাতে থাকা ফোনটা ছুড়ে মেরে সাওয়ার নিতে চলে যায়। অনেকক্ষণ ধরে সাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকে আর ভাবতে থাকে সবাই তার সাথে এমন ব্যবহার করছে কেন!!
এতদিন তো সবই ঠিক ঠাক ছিল তাহলে এদের হলো কি?!!
এর কোন উত্তর জানা নেই রুহির।
আরও কিছুক্ষণ সাওয়ারের নিচে থাকলে জ্বর আসতে পারে তাই বেরিয়ে আসে।
এদিকে রহিত ও রোকসানা বেগম বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে নিজের রুমে চলে আসে দরজা আটকিয়েই বলতে শুরু করে
--- আমরা হয়তো রুহির জায়গায় অন্য কাউকে মেরে ফেলেছি কিন্তু কি করে হলো এটাই তো বুঝতে পারছি না!!
রুহির ছোট চাচা হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠে-
--- আমি নিজে রুহিকে রুমের মধ্যে ঢুকতে দেখেছি এটা কখনও হতেই পারে না।
রুহির চাচাতো ভাই (হিমেশ) বলে উঠে-
--- এটাতো কখনও সম্ভাই না কারণ রুহি ছাড়া ওর রুমে আর থাকবেই বা কে?!!
হিমেশের কথায় সবাই যেন চমকে উঠে।রোকসানা বেগম বলে-
--- হিমেশ তো ঠিকিই বলেছ রুহি ছাড়া আর তো কেউ ওর রুমে থাকতে পারে না, না ওর কোন বন্ধু এসেছিল না ওর কোন রিলেটিভ, তাহলে!!!
রহিত রোকসানা বেগমের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলে-
--- খালাম্মা, রুহির আত্মা নিশ্চয় ফিরে এসেছে ও আমাদের কাউকে ছাড়বে না।
এমন সময় দমকা একটা হাওয়া এসে রুমের পর্দা গুলো দুলতে থাকে সবাই ভয়ে একসাথে জোড় হয়ে বসে।
হিমেশ কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে-
--- আমমমমাদের মরররণের সময় চলললে এসেছে কেউ আমাদের আর বাঁচাতে পারবে না।
এমন সময় দরজার বাইরে করার ছায়া এসে পড়ে সেই সাথে নুপুরের আওয়াজ। এই বাড়িতে রুহিই শুধু নুপুর পড়ে।সময় যত যেতে থাকে নুপুরের আওয়াজ ততই বাড়তে থাকে দরজার নিকটে এসে ছায়াটা দাঁড়িয়ে পড়ে। ভিতরে সকলের হৃদস্পদন বেড়ে যায় ভয়ে সকলে কাঁপতে থাকে।
রোকসানা বেগমের ও যায় যায় অবস্থা কিন্তু এখন তাকে কিছু করতে হবে না হলে সকলকেই শেষ হতে হবে।
রহিতের দিকে তাকিয়ে ইশারায় কিছু একটা বলে সামনের দিকে এগোতে থাকে। দরজার কাছে গিয়ে হুট করে দরজা খুলে ফেলে সাথে সাথেই দমকা হাওয়া বন্ধ হয়ে যায় সাথে সামনে থাকা ছায়াও কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে যায়।
রোকসানা বেগমের শরীর বেয়ে বেয়ে ঘাম ঝড়তে থাকে, মনের মধ্যে শুধু একটা জিনিস ঘুরপাক খেতে থাকে তাহলে কি সত্যিই রুহির আত্মা ফিরে এসেছে!!
রুহি সাওয়ার থেকে বেরিয়ে এসে আয়নার সামনে বসে খুব যত্ন সহকারে চুল গুলো আঁচড়াতে থাকে।
এমন সময় বাঁশির আওয়াজ ভেসে আসে তার কানে, যে আওয়াজ রুহি উপেক্ষা করতে পারে না।
মুচকি একটা হাসি দেয়, মনে মনে বলতে থাকে রেহানটাও না দিন দিন বেশ ফাজিল হয়ে যাচ্ছে।
সে জানে বাঁশির আওয়াজ কানে গেলে রুহি স্থির থাকতে পারবে না, সে নিশ্চয় ছুটে আসবে। এই দুর্বলতাকেই সে কাজে লাগাল।
রুহি জানে রোহান এখন ছাদে রয়েছে তাই সে ছাদে চলে আসে ।
ছাদে এসে দেখে আপন মনে রোহান বাঁশির সুরে তাল মেলাচ্ছে রুহি একদৃষ্টিতে সেই দিকে তাকিয়ে থাকে।
রোহান কয়েকদিন যাবৎ রুহিকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিচ্ছে কিন্তু রুহি রাজি হচ্ছে না। সে ও রোহানকে প্রচন্ড ভালোবাসে কিন্তু রোহানকে ইচ্ছে করেই ঘোরাচ্ছে এতে তার বেশ ভালোই লাগছে।
আজ অনেকক্ষণ যাবৎ রুহি রোহানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে কিন্তু রোহানের সেদিকে কোন খেয়ালি নেই।সে একমনে বাঁশির সুরে তাল মেলাতে ব্যাস্ত।
হঠাৎ রুহি তার পেছনে কারর অস্তিত্ব অনুভব করে, কেউ তার কানের খুব কাছে এসে বলে-
--- ভালোবাসি প্রিয়,তোমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসি।
রুহি পিছনে ঘুরে তাকাতেই তার সামনে থেকে একটা কালো ছায়া অদৃশ্য হয়ে যায়। রুহি চিৎকার করে উঠে দৌড়ে গিয়ে রোহানকে জড়িয়ে ধরে ভুত ভুত বলে চিৎকার করতে থাকে। ....................................................................
Hasibul hasan santo, Santa akter, Sk sagor, Sk imran, Raihan khan, Tanusri roi, Sakib sikdar and লেখাটি পছন্দ করেছে
- Riazনবাগত
- Posts : 9
স্বর্ণমুদ্রা : 1166
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-06-04
Re: লুকোচুরি
Fri Jun 04, 2021 11:10 pm
পর্বঃ৩
শেখ রিয়াজ
রুহিকে ভয় পেতে দেখে রোহানের বেশ হাসি পাচ্ছে, তবে সে এই মুহূর্তকে বেশ উপভোগ করছে।
ভয়ার্ত চেহারায় রুহিকে বেশ সুন্দর লাগছে। প্রিয় জনের যে কোন মুহূর্তের চেহারায় যেন তাদের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলে।
রুহির মাথাটা কাঁধ থেকে তুলে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রেহান,এ যেন সে অন্য এক রুহিকে দেখছে।যতই দেখে ততই যেন মায়ার বাধনে আটকে যায়।
রুহি ভয়ে ভয়ে মাথা তুলে রোহানের দিকে তাকায় দেখে সে এক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
রুহির বেশ রাগ হয়, ভয়ে তার অবস্থা বেহাল আর এদিকে তিনি রোমান্টিক মুডে রয়েছে।
নিজেকে রোহানের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দুরে সরে গিয়ে অভিমানি সুরে বলে-
--- আমি ভয়ে মরছি আর আপনি আমাকে শান্তনা না দিয়ে বলদের মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছেন!!
রুহির কথায় রোহান এক ফলকা হাসি দিয়ে বলে-
--- প্রিয়জন যখন সামনে থাকে তখন ভয় কি আর সামনে আসতে পারে।
বিষয়টা নিয়ে রুহি খুবই কৌতুহল তাই বিরক্ত সুরে বলে -
---দেখুন এখন মজা করার সময় না, সত্যিই এখানে কিছু একটা ছিল।আমি পিছন ঘুরে তাকাতেই অদৃশ্য হয়ে গেল। আরও কি বলেছে জানেন?
--- কি বলছে।
--বলেছে,তোমাকে ভালোবাসি প্রিয়,বড্ড বেশি ভালোবাসি।
রোহান শুনে হো হো করে হাসতে থাকে। এতে রুহির রাগ হয় সে রাগী কন্ঠে রোহানকে বলে-
--- কি ব্যাপার আপনি হাসছেন কেন!!?
হাসি থামিয়ে রোহান বলে -
--- আজকাল কি ভুতেরাও প্রেম করতে শুরু করেছে? ভুতেরা আর কাউকে কি খুঁজে পেল না আমার প্রিয়তমাকেই প্রেম নিবেদন করল।
এই কথা বলেই আবার হাসতে শুরু করে।
রুহি বলে-
--- আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না তাই না! থাকেন আপনার মজা নিয়ে আমি গেলাম।
এই বলে ছাদ থেকে রুহি চলে আসে। রোহান পিছন থেকে কয়েক বার ডাক দিলেও রুহি আর পিছনে ফিরে তাকায় না, রোহানের প্রতি তার বেশ অভিমান জমেছে।
রোকসানা বেগমের চোখের সামনের এমন ঘটনা ঘটে যাবে সে ভাবতেও পারেনি। দ্রুত রুমের মধ্যে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। সকলকে উদ্দেশ্য করে বলে
--- আমাদের বাঁচতে হলে কিছু একটা করতে হবে এভাবে বসে থাকলে চলবে না।
রহিত বলে উঠে-
--- আত্মার বিরুদ্ধে আমরা এখন কি ভাবে লড়ব?
--- যেটা কাল সকালেই বুঝতে পারবে।এখন যার যার রুমে চলে যাও আর সকলে সতর্ক থাকবে কারর কোন সমস্যা হলে সবাইকে ডেকে নিবে।
সবাই রোকসানা বেগমের কথা মতো চলে যায় কিন্তু মনের মধ্যে ভয় থেকেই যায় কখন কি ঘটে যায় বলা যায় না।
ভোরে অদ্ভুত রকমের শব্দে রুহির ঘুম ভেঙে যায় এ রকম আগে কখনও শুনিনিই সে তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমে বাইরে চলে আসে। রুহিকে দেখে বাড়ির সকলে এক জায়গায় একত্রিত হয়ে যায় শুধু রোহান বাধে,বাড়ির সকলের এমন ব্যবহারে রুহির কষ্ট হয়।এতদিন তো সবই ঠিক ছিল তাহলে কাল থেকে সকলে তার সাথে এমন অদ্ভুত আচরণ করছে কেন বুঝতে পারে না।
রোহানের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় রুহি। রোকসানা বেগম রোহানকে ইশারায় তাদের কাছে ডাকে কিন্তু রোহান ঠায় রুহির পাশেই দাঁড়িয়ে থাকে রোকসানা বেগমের কথায় কোন সাড়া দেয় না। রুহি ও বিষয়টা লক্ষ করে রোহান না যাওয়ার কারণে রুহির মনে একটু প্রশান্তি লাগে। একটু আগে মনটা খারাপ হলেও এখন বেশ ফুরফুরে লাগছে এই ভেবে যে সকল বিপদের দিনে সে তার প্রিয় মানুষটার সঙ্গ পাবে।
আস্তে করে রুহি জিজ্ঞেস করে-
--- এখানে কি হচ্ছে?
রোহান মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলে-
--- তোমার মত সকলেই নাকি কাল রাতে ভূত দেখেছে তাই এই দরবেশকে এনে বাড়ি বন্ধ দিচ্ছে যাতে কাউকে কোন ক্ষতি করতে না পারে।
রুহি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে-
--- যাক বাবা একটা ভালো কাজই করছে কাল যা ভয় পেয়েছিলাম না।
রোহান আস্তে করে বলে -
--- যতই দরবেশ আনুক না কেন এখন থেকে প্রতিদিনই সকলে আতঙ্কে থাকবে আর তুমি ভয়ে রোজ আমাকে জড়িয়ে ধরবে।
এই বলে মিটমিট করে হাসতে থাকে। রোহানের ফিসফিস করতে দেখে রুহি বলে -
--- কি ব্যাপার আপনি নিজে নিজেই কি ফিসফিস করছেন?
--- তেমন কিছু না শুধু দোয়া করছি ভূতটা যেন এমন করেই তোমাকে ভয় দেখায।
রুহি অবাক চোখে রোহানের দিকে তাকিয়ে বলে -
--- কেন?
--- কারণ এভাবে ভয় দেখালে হয়তো প্রতিদিন কেউ আমাকে একবার করে জড়িয়ে ধরতে পারে।
রুহি লজ্জায় রোহানের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে না অভিমানী সুরে বলে -
--- আপনার কি লজ্জা সরম কিছুই নেই সকলের সামনে এসব কিছু বলছেন।
--- আমার প্রিয়তমা দেখি বেশ লজ্জাবতী।
--- এই যে মিস্টার শোনেন "অতি আশায় মালসা হাতে" কথাটি মনে রাখবেন।
এই বলে রুহি শব্দ করে হেসে উঠে। বাড়ির সকলে তখন রুহির দিকে তাকায়। এমন সময় দরবেশ তার মন্ত্র পাঠ বন্ধ করে বলে-
--- আমি আপনাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না।
রোকসানা বেগম অবাক হয়ে বলে -
--- কেন?
--- কারণ এই বাড়িতে কোন আত্মার অস্তিত্ব নেই আর যেখানে আত্মার কোন অস্তিত্ব থাকে না সেখানে আমি কিছু করতে পারি না। আপনাদের হয়ত কোথাও কোন ভুল হচ্ছে এই বাড়িতে কোন আত্মা নেই আপনারা নিরাপদেই আছেন।
এই বলে দরবেশ সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।
তখন রহিত রোকসানা বেগমের কানের কাছে এসে বলে-
--- রুহির আত্মা নিশ্চয় কিছু করছে যার কারণে দরবেশ কোন আত্মার অস্তিত্ব পায়নি।
--- তোর কেন এমন মনে হচ্ছে?
--- আমাদের প্লান ভেস্তে দিয়েছে তাই তখন হেসে উঠল।
রোকসানা বেগম রুহির দিকে তীক্ষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে মনে মনে ভাবল রহিত তো ঠিকই বলেছে ও এই প্লান না হয় ভেস্তে দিল কিন্তু এর পর কি করে বাচবে।
শেখ রিয়াজ
রুহিকে ভয় পেতে দেখে রোহানের বেশ হাসি পাচ্ছে, তবে সে এই মুহূর্তকে বেশ উপভোগ করছে।
ভয়ার্ত চেহারায় রুহিকে বেশ সুন্দর লাগছে। প্রিয় জনের যে কোন মুহূর্তের চেহারায় যেন তাদের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলে।
রুহির মাথাটা কাঁধ থেকে তুলে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রেহান,এ যেন সে অন্য এক রুহিকে দেখছে।যতই দেখে ততই যেন মায়ার বাধনে আটকে যায়।
রুহি ভয়ে ভয়ে মাথা তুলে রোহানের দিকে তাকায় দেখে সে এক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
রুহির বেশ রাগ হয়, ভয়ে তার অবস্থা বেহাল আর এদিকে তিনি রোমান্টিক মুডে রয়েছে।
নিজেকে রোহানের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দুরে সরে গিয়ে অভিমানি সুরে বলে-
--- আমি ভয়ে মরছি আর আপনি আমাকে শান্তনা না দিয়ে বলদের মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছেন!!
রুহির কথায় রোহান এক ফলকা হাসি দিয়ে বলে-
--- প্রিয়জন যখন সামনে থাকে তখন ভয় কি আর সামনে আসতে পারে।
বিষয়টা নিয়ে রুহি খুবই কৌতুহল তাই বিরক্ত সুরে বলে -
---দেখুন এখন মজা করার সময় না, সত্যিই এখানে কিছু একটা ছিল।আমি পিছন ঘুরে তাকাতেই অদৃশ্য হয়ে গেল। আরও কি বলেছে জানেন?
--- কি বলছে।
--বলেছে,তোমাকে ভালোবাসি প্রিয়,বড্ড বেশি ভালোবাসি।
রোহান শুনে হো হো করে হাসতে থাকে। এতে রুহির রাগ হয় সে রাগী কন্ঠে রোহানকে বলে-
--- কি ব্যাপার আপনি হাসছেন কেন!!?
হাসি থামিয়ে রোহান বলে -
--- আজকাল কি ভুতেরাও প্রেম করতে শুরু করেছে? ভুতেরা আর কাউকে কি খুঁজে পেল না আমার প্রিয়তমাকেই প্রেম নিবেদন করল।
এই কথা বলেই আবার হাসতে শুরু করে।
রুহি বলে-
--- আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না তাই না! থাকেন আপনার মজা নিয়ে আমি গেলাম।
এই বলে ছাদ থেকে রুহি চলে আসে। রোহান পিছন থেকে কয়েক বার ডাক দিলেও রুহি আর পিছনে ফিরে তাকায় না, রোহানের প্রতি তার বেশ অভিমান জমেছে।
রোকসানা বেগমের চোখের সামনের এমন ঘটনা ঘটে যাবে সে ভাবতেও পারেনি। দ্রুত রুমের মধ্যে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। সকলকে উদ্দেশ্য করে বলে
--- আমাদের বাঁচতে হলে কিছু একটা করতে হবে এভাবে বসে থাকলে চলবে না।
রহিত বলে উঠে-
--- আত্মার বিরুদ্ধে আমরা এখন কি ভাবে লড়ব?
--- যেটা কাল সকালেই বুঝতে পারবে।এখন যার যার রুমে চলে যাও আর সকলে সতর্ক থাকবে কারর কোন সমস্যা হলে সবাইকে ডেকে নিবে।
সবাই রোকসানা বেগমের কথা মতো চলে যায় কিন্তু মনের মধ্যে ভয় থেকেই যায় কখন কি ঘটে যায় বলা যায় না।
ভোরে অদ্ভুত রকমের শব্দে রুহির ঘুম ভেঙে যায় এ রকম আগে কখনও শুনিনিই সে তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমে বাইরে চলে আসে। রুহিকে দেখে বাড়ির সকলে এক জায়গায় একত্রিত হয়ে যায় শুধু রোহান বাধে,বাড়ির সকলের এমন ব্যবহারে রুহির কষ্ট হয়।এতদিন তো সবই ঠিক ছিল তাহলে কাল থেকে সকলে তার সাথে এমন অদ্ভুত আচরণ করছে কেন বুঝতে পারে না।
রোহানের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় রুহি। রোকসানা বেগম রোহানকে ইশারায় তাদের কাছে ডাকে কিন্তু রোহান ঠায় রুহির পাশেই দাঁড়িয়ে থাকে রোকসানা বেগমের কথায় কোন সাড়া দেয় না। রুহি ও বিষয়টা লক্ষ করে রোহান না যাওয়ার কারণে রুহির মনে একটু প্রশান্তি লাগে। একটু আগে মনটা খারাপ হলেও এখন বেশ ফুরফুরে লাগছে এই ভেবে যে সকল বিপদের দিনে সে তার প্রিয় মানুষটার সঙ্গ পাবে।
আস্তে করে রুহি জিজ্ঞেস করে-
--- এখানে কি হচ্ছে?
রোহান মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলে-
--- তোমার মত সকলেই নাকি কাল রাতে ভূত দেখেছে তাই এই দরবেশকে এনে বাড়ি বন্ধ দিচ্ছে যাতে কাউকে কোন ক্ষতি করতে না পারে।
রুহি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে-
--- যাক বাবা একটা ভালো কাজই করছে কাল যা ভয় পেয়েছিলাম না।
রোহান আস্তে করে বলে -
--- যতই দরবেশ আনুক না কেন এখন থেকে প্রতিদিনই সকলে আতঙ্কে থাকবে আর তুমি ভয়ে রোজ আমাকে জড়িয়ে ধরবে।
এই বলে মিটমিট করে হাসতে থাকে। রোহানের ফিসফিস করতে দেখে রুহি বলে -
--- কি ব্যাপার আপনি নিজে নিজেই কি ফিসফিস করছেন?
--- তেমন কিছু না শুধু দোয়া করছি ভূতটা যেন এমন করেই তোমাকে ভয় দেখায।
রুহি অবাক চোখে রোহানের দিকে তাকিয়ে বলে -
--- কেন?
--- কারণ এভাবে ভয় দেখালে হয়তো প্রতিদিন কেউ আমাকে একবার করে জড়িয়ে ধরতে পারে।
রুহি লজ্জায় রোহানের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে না অভিমানী সুরে বলে -
--- আপনার কি লজ্জা সরম কিছুই নেই সকলের সামনে এসব কিছু বলছেন।
--- আমার প্রিয়তমা দেখি বেশ লজ্জাবতী।
--- এই যে মিস্টার শোনেন "অতি আশায় মালসা হাতে" কথাটি মনে রাখবেন।
এই বলে রুহি শব্দ করে হেসে উঠে। বাড়ির সকলে তখন রুহির দিকে তাকায়। এমন সময় দরবেশ তার মন্ত্র পাঠ বন্ধ করে বলে-
--- আমি আপনাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না।
রোকসানা বেগম অবাক হয়ে বলে -
--- কেন?
--- কারণ এই বাড়িতে কোন আত্মার অস্তিত্ব নেই আর যেখানে আত্মার কোন অস্তিত্ব থাকে না সেখানে আমি কিছু করতে পারি না। আপনাদের হয়ত কোথাও কোন ভুল হচ্ছে এই বাড়িতে কোন আত্মা নেই আপনারা নিরাপদেই আছেন।
এই বলে দরবেশ সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।
তখন রহিত রোকসানা বেগমের কানের কাছে এসে বলে-
--- রুহির আত্মা নিশ্চয় কিছু করছে যার কারণে দরবেশ কোন আত্মার অস্তিত্ব পায়নি।
--- তোর কেন এমন মনে হচ্ছে?
--- আমাদের প্লান ভেস্তে দিয়েছে তাই তখন হেসে উঠল।
রোকসানা বেগম রুহির দিকে তীক্ষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে মনে মনে ভাবল রহিত তো ঠিকই বলেছে ও এই প্লান না হয় ভেস্তে দিল কিন্তু এর পর কি করে বাচবে।
Hasibul hasan santo, Santa akter, Sk sagor, Sk imran, Tanusri roi, Sakib sikdar, Nafisa akter and লেখাটি পছন্দ করেছে
- Riazনবাগত
- Posts : 9
স্বর্ণমুদ্রা : 1166
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-06-04
Re: লুকোচুরি
Fri Jun 04, 2021 11:11 pm
শেষ_পর্ব
শেখ রিয়াজ
নানা ব্যাস্ততার মাঝে রুহির দিন কেটে যায়। রোকসানা বেগম এদিকে তার ২য় প্লান এর কাজ শুরু করে দেয়,কোথা থেকে যেন এক তান্ত্রিককে নিয়ে আসে তার সাথে আজ রাতেই রুহিকে মেরে ফেলার প্লান করতে থাকে।
রুহি সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে আসলেই তার মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে কারণ কয়েক দিন ধরে বাড়ির সকলে তাকে এড়িয়ে চলছে শুধু মাত্র রোহান বাদে।
কারর কাছে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেও ও কেউ কিছু বলছে না তার সাথে যেন কথা বলতেই ভয় পাচ্ছে।
এখনও তার ব্যাতিক্রম হলো না রুহি বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথে সকলে যে যার রুমে চলে যায়।
রুহি মনটা খারাপ করে তার রুমে চলে যায়।
রুমে ঢুকতে যাবে এমন সময় রোহান হেচকা একটা টান দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে।
রোহান আকস্মিক এমন করায় রুহি ভয় পেয়ে যায় পরে বুঝতে পারে রোহান এটা করেছে।
রোহানকে উদ্দেশ্য করে বলে --
--- আপনি এত ফাজিল কেন? কেউ কি এভাবে ভয় দেখায়।
--- তোমাকে ভয় দেখাতে আমার বেশ ভালোই লাগে।
--- আপনি কি কোন দিন পরিবর্তন হবেন না?
--- তুমি চাইলে হতে পারি
রুহি কিছু বলতে যাবে এমন সময় রোহানের পিছনে তাকিয়ে দেখে সেই কালো ছায়া ভয়ানক রুপ নিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। রুহি ভয়ে রোহানকে জড়িয়ে ধরে ভুত ভুত বলে চিৎকার করে উঠে।
রোহান পিছনে ঘুরে কালো ছায়াকে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে।
রোহান বলে উঠে-
--- কে তুমি আর আমাদের কাছে কি চাও?
কালো ছায়া বলে উঠে-
--- তোর মৃত্যু চায়।
--- কেন? আমি কি করেছি?
--- কারণ তুই রুহিকে বিরক্ত করিস,এটা আমার সহ্য হয় না।
--- কে বলেছে আমি রুহিকে বিরক্ত করি,আমি তো ওকে ভালোবাসি।
--- কিন্তু রুহি তো তোকে ভালোবাসে না।
রুহি তখন বলে উঠে-
--- কে বলেছে আমি রোহানকে ভালোবাসি না!!আমি রোহানকে অনেক অনেক ভালোবাসি, ওকে আমি কিছু হতে দিব না।
এই বলে রুহি রোহানকে জড়িয়ে ধরে। অপর পাশ থেকে কোন উত্তর আসে না।
রোহান বলে -
--- তাহলে এতদিন এ কথা বলোনি কেন?শুধু শুধু আমাকে কষ্ট দিতে।
--- ইচ্ছে করেই বলিনি কারণ যখন আমি না বলতাম আপনি তখন মন খারাপ করতেন সেই মুহূর্ত আমি উপভোগ করতাম,এখন সব সুদে আসলে বুঝিয়ে দেব।
রুহির কথা শুনে রোহান হো হো করে হাসতে থাকে। রুহি বেশ লজ্জা পায় সে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে সামনে তাকাতেই দেখে কালো ছায়াটা স্থির হয়ে দাড়িয়ে আছে। রোহানকে ইশারায় তা দেখায়।
রোহান হাতে একটা রিমোট নিয়ে একটা বোতামে চাপ দিতেই কালো ছায়াটা আবার মানুষের মতো চলাফেরা করতে থাকে।
রুহি বুঝতে পারে তাহলে এসব কিছু রোহান করছিল।রুহি কিছু বলতে যাবে তার আগেই রোহান বলে -
--- এই বাড়ির সব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রযেক্টর,সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি আমি লাগিয়েছি এর সাহায্যেই আমি সকলকে ভয় দেখিয়েছি। তুমি হয়তো আমাকে ভুল বুঝতে পার কিন্তু আমি আজ সত্য কথা বলতে চায় এই সব কিছু আমি তোমাকে বাঁচানোর জন্যই করেছি।
রুহি অবাক হয়ে বলে --
--- আমাকে বাঁচানোর জন্য মানে?
--- তোমার আপন বলতে তো তোমার চাচা, কাকিমাই আছে তারা কি তোমার আসলেই আপন!! না, তারা তোমার টাকা পয়সাকে ভালোবাসে তোমাকে মেরে তারা সব ভোগ করতে চায়।তাই কিছুদিন আগে তোমার মেরে ফেলতে চেয়েছিল।তোমার নিশ্চয় মনে আছে কয়েকদিন আগে রুমে ঢোকার পরে তুমি জ্ঞান হারিয়ে ফেল।সেটা আমিই করেছিলাম, তোমাকে লুকিয়ে তোমার বিছানায় একটা রিমোট কন্ট্রোল পুতুল রেখে ঢেকে দিয় ওরা ভাবে ওটা তুমি ওরা রুমে এসে বালিশ চাপা দিয়ে সেই পুতুল টাকে জঙ্গলে নিয়ে মাটি চাপা দিয়।
তোমার কাকির ফোনটা আমি হ্যাক করে সেখান থেকে তোমাকে মেসেজ পাঠায় তোমার জ্ঞান ফিরলেই তুমি জঙ্গলে চলে যাও আর ওরা ভাবে তোমার আত্মা প্রতিশোধ নিতে আবার ফিরে এসেছে। এরপর তো তুমি সব কিছুই জানো।
রোহানের কাছ থেকে সব শুনে রুহি কেঁদে দেয় যাদের এতদিন আপন ভেবেছে তারায় এখন পর।
রোহান বলে উঠে-
--- এখন তোমাকে শক্ত হতে হবে। আজও ওরা তোমার মারার প্লান করেছে কিন্তু আজ ওরায় শেষ হয়ে যাবে আমার প্লানে।রুহিকে রোহান সব কিছু শিখিয়ে দিয়ে চলে যায়।
রুহি নিজেকে স্বাভাবিক করে ছাদে চলে যায়।
এদিকে রোকসানা বেগম ও তার সঙ্গীরা তান্ত্রিক এর কাছ থেকে তাবিজ নিয়ে সকলে একটা মন্ত্র পুত ছুরি নিয়ে রুহিকে খুঁজতে থাকে।
রোকসানা বেগম মনে মনে ভাবে আজ এই তাবিজের কারণে ওর আত্মা আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না আর ছুরি দিয়ে আঘাত করলেই ও চিরতরে শেষ হয়ে যাবে।
সকলে ছাদে এসে দেখে রুহি ছাদের এক কর্ণিশে দাঁড়িয়ে আছে। সকলে গিয়ে রুহিকে ঘিরে ধরে। পায়ের আওয়াজে রুহি পিছনে ঘুরে দেখে রোকসানা বেগম ও তার সঙ্গীরা তাকে ঘেরাও করে ফেলছে সকলের হাতে ছুরি।
রুহি ভীতু হয়ার ভান করে বলে-
--- তোমাদের হাতে ছুরি কেন?আর তোমরা আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
রোকসানা বেগম বলে-- এক বার মৃত্যু বরণ করে তোর সাধ মেটেনি আজ তোকে আবারও মরতে হবে এই বলে সকলে রুহির দিকে এগোতে থাকে।
রুহি চিৎকার করতে থাকে কিন্তু কারর মনে তার জন্য মায়া জন্মে না,রোকসানা বেগম রুহির কাছে এসে যেই ছুরি দিয়ে আঘাত করতে যাবে তখনি পুলিশ এসে সকলকে গুলি ছড়ে রোকসানা বেগমের হাত থেকে ছুরি পড়ে যায় পুলিশ সকলকে আটক করে নিয়ে যায় আর রোহানকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নেই।
রুহি রোহানকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।
রোহান রুহির মাথায় হাত বোলাতে থাকে আর মনে মনে ভাবে --কাঁদুক না আজ মেয়েটা নিজের মন থেকে কষ্ট গুলো ছুড়ে ফেলুক এর পর আর কাঁদতে দিবে না সারাজীবন ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবে।
..................সমাপ্ত.........................
শেখ রিয়াজ
নানা ব্যাস্ততার মাঝে রুহির দিন কেটে যায়। রোকসানা বেগম এদিকে তার ২য় প্লান এর কাজ শুরু করে দেয়,কোথা থেকে যেন এক তান্ত্রিককে নিয়ে আসে তার সাথে আজ রাতেই রুহিকে মেরে ফেলার প্লান করতে থাকে।
রুহি সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে আসলেই তার মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে কারণ কয়েক দিন ধরে বাড়ির সকলে তাকে এড়িয়ে চলছে শুধু মাত্র রোহান বাদে।
কারর কাছে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেও ও কেউ কিছু বলছে না তার সাথে যেন কথা বলতেই ভয় পাচ্ছে।
এখনও তার ব্যাতিক্রম হলো না রুহি বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথে সকলে যে যার রুমে চলে যায়।
রুহি মনটা খারাপ করে তার রুমে চলে যায়।
রুমে ঢুকতে যাবে এমন সময় রোহান হেচকা একটা টান দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে।
রোহান আকস্মিক এমন করায় রুহি ভয় পেয়ে যায় পরে বুঝতে পারে রোহান এটা করেছে।
রোহানকে উদ্দেশ্য করে বলে --
--- আপনি এত ফাজিল কেন? কেউ কি এভাবে ভয় দেখায়।
--- তোমাকে ভয় দেখাতে আমার বেশ ভালোই লাগে।
--- আপনি কি কোন দিন পরিবর্তন হবেন না?
--- তুমি চাইলে হতে পারি
রুহি কিছু বলতে যাবে এমন সময় রোহানের পিছনে তাকিয়ে দেখে সেই কালো ছায়া ভয়ানক রুপ নিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। রুহি ভয়ে রোহানকে জড়িয়ে ধরে ভুত ভুত বলে চিৎকার করে উঠে।
রোহান পিছনে ঘুরে কালো ছায়াকে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে।
রোহান বলে উঠে-
--- কে তুমি আর আমাদের কাছে কি চাও?
কালো ছায়া বলে উঠে-
--- তোর মৃত্যু চায়।
--- কেন? আমি কি করেছি?
--- কারণ তুই রুহিকে বিরক্ত করিস,এটা আমার সহ্য হয় না।
--- কে বলেছে আমি রুহিকে বিরক্ত করি,আমি তো ওকে ভালোবাসি।
--- কিন্তু রুহি তো তোকে ভালোবাসে না।
রুহি তখন বলে উঠে-
--- কে বলেছে আমি রোহানকে ভালোবাসি না!!আমি রোহানকে অনেক অনেক ভালোবাসি, ওকে আমি কিছু হতে দিব না।
এই বলে রুহি রোহানকে জড়িয়ে ধরে। অপর পাশ থেকে কোন উত্তর আসে না।
রোহান বলে -
--- তাহলে এতদিন এ কথা বলোনি কেন?শুধু শুধু আমাকে কষ্ট দিতে।
--- ইচ্ছে করেই বলিনি কারণ যখন আমি না বলতাম আপনি তখন মন খারাপ করতেন সেই মুহূর্ত আমি উপভোগ করতাম,এখন সব সুদে আসলে বুঝিয়ে দেব।
রুহির কথা শুনে রোহান হো হো করে হাসতে থাকে। রুহি বেশ লজ্জা পায় সে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে সামনে তাকাতেই দেখে কালো ছায়াটা স্থির হয়ে দাড়িয়ে আছে। রোহানকে ইশারায় তা দেখায়।
রোহান হাতে একটা রিমোট নিয়ে একটা বোতামে চাপ দিতেই কালো ছায়াটা আবার মানুষের মতো চলাফেরা করতে থাকে।
রুহি বুঝতে পারে তাহলে এসব কিছু রোহান করছিল।রুহি কিছু বলতে যাবে তার আগেই রোহান বলে -
--- এই বাড়ির সব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রযেক্টর,সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি আমি লাগিয়েছি এর সাহায্যেই আমি সকলকে ভয় দেখিয়েছি। তুমি হয়তো আমাকে ভুল বুঝতে পার কিন্তু আমি আজ সত্য কথা বলতে চায় এই সব কিছু আমি তোমাকে বাঁচানোর জন্যই করেছি।
রুহি অবাক হয়ে বলে --
--- আমাকে বাঁচানোর জন্য মানে?
--- তোমার আপন বলতে তো তোমার চাচা, কাকিমাই আছে তারা কি তোমার আসলেই আপন!! না, তারা তোমার টাকা পয়সাকে ভালোবাসে তোমাকে মেরে তারা সব ভোগ করতে চায়।তাই কিছুদিন আগে তোমার মেরে ফেলতে চেয়েছিল।তোমার নিশ্চয় মনে আছে কয়েকদিন আগে রুমে ঢোকার পরে তুমি জ্ঞান হারিয়ে ফেল।সেটা আমিই করেছিলাম, তোমাকে লুকিয়ে তোমার বিছানায় একটা রিমোট কন্ট্রোল পুতুল রেখে ঢেকে দিয় ওরা ভাবে ওটা তুমি ওরা রুমে এসে বালিশ চাপা দিয়ে সেই পুতুল টাকে জঙ্গলে নিয়ে মাটি চাপা দিয়।
তোমার কাকির ফোনটা আমি হ্যাক করে সেখান থেকে তোমাকে মেসেজ পাঠায় তোমার জ্ঞান ফিরলেই তুমি জঙ্গলে চলে যাও আর ওরা ভাবে তোমার আত্মা প্রতিশোধ নিতে আবার ফিরে এসেছে। এরপর তো তুমি সব কিছুই জানো।
রোহানের কাছ থেকে সব শুনে রুহি কেঁদে দেয় যাদের এতদিন আপন ভেবেছে তারায় এখন পর।
রোহান বলে উঠে-
--- এখন তোমাকে শক্ত হতে হবে। আজও ওরা তোমার মারার প্লান করেছে কিন্তু আজ ওরায় শেষ হয়ে যাবে আমার প্লানে।রুহিকে রোহান সব কিছু শিখিয়ে দিয়ে চলে যায়।
রুহি নিজেকে স্বাভাবিক করে ছাদে চলে যায়।
এদিকে রোকসানা বেগম ও তার সঙ্গীরা তান্ত্রিক এর কাছ থেকে তাবিজ নিয়ে সকলে একটা মন্ত্র পুত ছুরি নিয়ে রুহিকে খুঁজতে থাকে।
রোকসানা বেগম মনে মনে ভাবে আজ এই তাবিজের কারণে ওর আত্মা আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না আর ছুরি দিয়ে আঘাত করলেই ও চিরতরে শেষ হয়ে যাবে।
সকলে ছাদে এসে দেখে রুহি ছাদের এক কর্ণিশে দাঁড়িয়ে আছে। সকলে গিয়ে রুহিকে ঘিরে ধরে। পায়ের আওয়াজে রুহি পিছনে ঘুরে দেখে রোকসানা বেগম ও তার সঙ্গীরা তাকে ঘেরাও করে ফেলছে সকলের হাতে ছুরি।
রুহি ভীতু হয়ার ভান করে বলে-
--- তোমাদের হাতে ছুরি কেন?আর তোমরা আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
রোকসানা বেগম বলে-- এক বার মৃত্যু বরণ করে তোর সাধ মেটেনি আজ তোকে আবারও মরতে হবে এই বলে সকলে রুহির দিকে এগোতে থাকে।
রুহি চিৎকার করতে থাকে কিন্তু কারর মনে তার জন্য মায়া জন্মে না,রোকসানা বেগম রুহির কাছে এসে যেই ছুরি দিয়ে আঘাত করতে যাবে তখনি পুলিশ এসে সকলকে গুলি ছড়ে রোকসানা বেগমের হাত থেকে ছুরি পড়ে যায় পুলিশ সকলকে আটক করে নিয়ে যায় আর রোহানকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নেই।
রুহি রোহানকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।
রোহান রুহির মাথায় হাত বোলাতে থাকে আর মনে মনে ভাবে --কাঁদুক না আজ মেয়েটা নিজের মন থেকে কষ্ট গুলো ছুড়ে ফেলুক এর পর আর কাঁদতে দিবে না সারাজীবন ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবে।
..................সমাপ্ত.........................
Hasibul hasan santo, Santa akter, Sk sagor, Sk imran, Raihan khan, Tanusri roi, Sakib sikdar and লেখাটি পছন্দ করেছে
- Md Sohag Aliনবাগত
- Posts : 1
স্বর্ণমুদ্রা : 1081
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-06-02
Re: লুকোচুরি
Fri Jun 04, 2021 11:28 pm
গল্পটি আমাদের..
সরাসরি বলতে, আমাদের বিচ্ছেদ হয়নি কিন্তু তবুও বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে.. না তুমি চেয়েছো আর না আমি..শুধুই চেয়েছে তোমার পরিবার..
রুপকথার গল্পের মত আমাদের কথা না হওয়ার ১০ মাস পূর্ণ হবে আগামী ৯ তারিখে..
আমি যেমন তোমাকে এখনো ভালোবাসি বাতাসি, ঠিক তেমনই তুমি..
আমাদের ভালোবাসার বাকিটা আল্লাহ ভরসা..
সরাসরি বলতে, আমাদের বিচ্ছেদ হয়নি কিন্তু তবুও বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে.. না তুমি চেয়েছো আর না আমি..শুধুই চেয়েছে তোমার পরিবার..
রুপকথার গল্পের মত আমাদের কথা না হওয়ার ১০ মাস পূর্ণ হবে আগামী ৯ তারিখে..
আমি যেমন তোমাকে এখনো ভালোবাসি বাতাসি, ঠিক তেমনই তুমি..
আমাদের ভালোবাসার বাকিটা আল্লাহ ভরসা..
Hasibul hasan santo, Santa akter, Sk sagor, Sk imran, Raihan khan, Tanusri roi, Sakib sikdar and লেখাটি পছন্দ করেছে
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
|
|