সাদা কাগজ
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Go down
avatar
Soisob
নবাগত
নবাগত
Posts : 7
স্বর্ণমুদ্রা : 1233
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-06-02

শেষ মানব Empty শেষ মানব

Sat Jun 05, 2021 11:55 pm
(সায়েন্স ফিকশনঃ
শেষ মানব)
(সম্পূর্ণ গল্প)
.
.
কয়েকবার ইন্টার্ভিউ
দিয়ে ব্যর্থ হয়ে বাসার
পথে ফিরছে তাশরিক।
দুনিয়া টা অবাক করা,
প্রাকটিক্যাল
জ্ঞানের কোন
মূল্যায়ন নেই যা আছে
সব সার্টিফিকেট এর।
তাশরিক তার গ্রিন
কার্ড টা বের করল
তাতে মাত্র ১৫
ক্রেডিট বাকি আছে।
এটাতে তাকে বাসে
নেবেনা। অন্তত লাগবে
৩০ ক্রেডিট।
হাটতে থাকে তাশরিক।
অসহ্য লাগছে এই সূর্য
টাকে। ওজন স্তর কমে
গেছে অনেকটাই যার
জন্য তাপমাত্রা
বেড়েছে কয়েক গুন।
.
.
একটা ছয়শ তলার
বাড়ির সামনে আসতেই
চোখ টা আটকে যায়
নোটিশ বোর্ডের দিকে
তাশরিকের। এটা
একটা রোবট কোম্পানি
যেখানে নিয়োগ দেওয়া
হবে কিছু নতুন কিছু
তরুন-তরুনীদের।
নিজের যোগ্যতার
সাথে মিলে যেতেই আর
দেরী করে না
তাশরিক।
.
লিফটের সামনে
দাড়িয়ে কিছু মানুষ
তার মাঝে তাশরিকও
দাড়িয়ে।
দেওয়ালের দিকে একটা
এ্যাডভাটাইজ পড়ছে
তাশরিক। সেটা একটা
লেজার ফ্যানের
এ্যাডভাটাইজ। অদৃশ্য
ঠান্ডা হয়ে থাকবে
চারিদিকেই।
ব্যাপার টা দেখে মুচকি
হাসে তাশরিক।
তাশরিকের হাসি দেখে
পাশের লোক টা একটু
ভ্রু কুঁচকায়। যেন পাগল
দেখেছে।
.
ইন্টাভিউ টা হবে ৫০১
তলা তে। লিফটের
ক্ষমতা ১০ জন।
তাশরিক উঠেছে
লিফটে সাথে আছে
আরো নজন।
লিফিট এর দরজা বন্ধ
হবার আগ মুহূর্তে
একজন মধ্যবয়সী
মোটাসোটা মহিলা উঠে
পড়ে লিফটে।
ওজন অতিক্রম করায়
লিফট ওঠে না।
সবাই মহিলা টির উপর
বিরক্ত। তখন মহিলা
টি তার বুক পকেট
থেকে নীল একটা
কার্ড দেখায় যাতে
গোটাগোটা অক্ষরে
লেখা "Office Assistant"
বাধ্য হয়েই দুজন
ব্যক্তি নেমে যায়।
লিফটের দরজা বন্ধ
হয়।
.
কোন এক কারনে
লিফটের লাইট টা
নষ্ট।
স্বাভাবিক ভাবেই
ভিতরে একটা
অন্ধকার।
কেমন একটা অসস্তি
লাগছে তাশরিকের।
কারন সে বুঝতে
পারছে লিফট টা উপরে
নয় নিচের দিকে
যাচ্ছে।
এবং খুব দ্রুত গতিতে
যাচ্ছে। যেখানে
যাওয়ার কোন রাস্তায়
নেই। কারন তাশরিক
লিফটে উঠেছিল
প্রথম তলা থেকে।
.
ব্যাপার টা শুধু
তাশরিক নয় এতক্ষণে
লিফটের সবাই বুঝতে
পেরেছে।
মহিলা টা রীতিমত
চিৎকার শুরু করেছে।
.
ঠিক এসময়ে সবাইকে
অবাক করে দিয়ে
লিফটের দরজা টা খুলে
যায়।
.
আরে! এ কি!
তারা তো প্রথম
তলাতেই আছে। না
লিফট উপরে গেছে না
গেছে নিচে। মহিলা টা
মাত্রই হাফ ছেড়েছে
বিপত্তি টা তখন ই
ঘটে।
লিফটের বাইরে
দাড়ানো কিছু লোক
লিফটে ঢুকে পড়ে এমন
ভাবে, যেন লিফটে
কেউ নেই।
প্রচন্ড একটা চিৎকার
দেয় মহিলা টি কারন
একটা লোক সেই
মহিলার শরীরের
মাঝে দাড়িয়ে আছে।
এবার সবাই লক্ষ
করল শুধু মহিলা টির
শরীরের মাঝে নয় এই
লোক গুলো তাদের
সবার শরীরের মাঝে
দাড়িয়ে আছে।
লিফটের সেই ১০ জন
বুঝতে পারে তারা
বাতাসের মত হালকা
হয়ে গেছে এবং তাদের
কথা শুধু নিজেরা ছাড়া
আর কেউ শুনতে
পাচ্ছে না।
.
তাশরিকের শরীরের
মাঝেও দুজন মানুষের
অস্তিত্ব যথেষ্ট
বিরক্তিকর। জ্ঞান
হারিয়েছে সেই মোটা
মহিলা টি।
এইমাত্র যে লোক গুলো
লিফটে উঠেছে তাদের
স্পর্শ করতে পারছে
না তাশরিক। তারা ২০
নাম্বার বোতাম টা
চাপল।
লিফট ২০ তলায় যেতে
বেশি সময় নিল না।
তারা সবাই নেমে গেল,
লিফটে থেকে গেল
তাশরিক আর বাকি ৯
জন নিরাকার ব্যক্তি।
লিফটের দরজা আবার
বন্ধ হলো, মোটা
মহিলাটার জ্ঞান
তখনো ফেরে নি।
আবার সবাই অনুভব
করল লিফট নিচের
দিকে যাচ্ছে
অসীম গতিতে নিচে
যাচ্ছে। মনে হচ্ছে
পৃথিবীর মাঝ দিয়ে
গিয়ে ভূপৃষ্ঠের অন্য
পাশ দিয়ে বের হবে
লিফট টা।
ঠিক এমন সময় 'টুং'
করে একটা শব্দ যার
অর্থ দরজার অপাশ
থেকে কেউ লিফটের
বোতাম টিপেছে।
সবার মাঝেই এক টান
টান উত্তেজনা। সবাই
ভাবছে এবারো কি
আমাদের মাঝে মানুষ
গুলো এসে দাড়াবে!!!
.
লিফটের দরজা খুলে
গেল। অপাশে দাড়িয়ে
দুজন লোক আর
একজন মহিলা
তারা প্রায় একইসাথে
বলে উঠল "আরে!
মেডামের কি হয়েছে?
এভাবে মাটিতে পড়ে
আছে কেন! "
আমাদের সবার চোখ
গেল মোটা মহিলাটির
দিকে।
এবং তাশরিক সহ
বাকি ৯ জন ছুটে
বেরিয়ে আসল লিফট
থেকে।
.
.
রাস্তায় হাটছে
তাশরিক। বাড়ির পথে।
আজ যা ঘটেছে তার
কোন ব্যাখ্যা
তাশরিকের কাছে
নেই।
অবশ্য বাড়িতে বই
ঘাটলে হয়ত জানা যাবে
এই ধারনা তে এগোচ্ছে
তাশরিক।
.
তাশরিক বসে তার
ছোট ঘরে।
চিন্তিত।
ইস আজকের ঘটনা টা
যদি ইরা কে বলতাম
তাহলে ও কি বলত?
হাসত?
নাকি আমায়
মিথ্যাবাদী বলত?
কি জানি।
.
ইরা হলো বিজ্ঞান
কাউন্সিলের
সভাপতির মেয়ে। নম্র
ভদ্র একটা মেয়ে।
তাশরিক জীবনেও
ইরার সাথে কথা
বলেনি। কিন্তু
মেয়েটাকে সব কিছু
বলতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু কিভাবে বলবে,
কোন মেসেজ দিলে বা
টেলিকমিউনিকেশন
এর মাধ্যমে কথা বলতে
গেলে ওর বাবা জানবে
আর তখন তাশরিক কে
হয়ত নিষিদ্ধ ঘোষণা
করা হবে।
এর ঝামেলায় যেতে
চায়না তাশরিক।
কিন্তু আজ খুবই কথা
বলতে ইচ্ছে করছে
মেয়েটাকে।
সত্যি বলতে কি
মেয়েটাকে ভালই লাগে
তাশরিকের।

শেষমেশ অনেক পুরানো
একটি পদ্ধতির কথা
ভাবে তাশরিক।
চিঠি দিলে কেমন হয়?
কেউ জানবে না!
উৎসুক হাতেই লিখে
ফেলে তাশরিক "আমি
এই মহল্লা তেই থাকি।
আপনাকে কিছু বলার
আছে, না বলতে পারলে
শান্তি পাচ্ছি না"
.
সন্ধ্যা তে চুপিচুপি
চিঠি টা ছুড়ে দেয়
ইরার ঘরের দিকে।
বাসায় ফিরে লিফটের
ঘটনা ভাবতে ভাবতেই
ঘুমায় তাশরিক।
ঘুম ভাঙতেই অবাক
তাশরিক। তার খামেই
চিঠির উত্তর এসেছে
সেখানে গোটাগোটা
অক্ষরে লেখা
"সন্ধ্যা ছয়টায়
লেকের ওখানে দেখা
করো।"
একটু অবাক তাশরিক।
একবারেই তুমি করে
বলল? বড়লোকের মেয়ে
তো।
সারাটা দিন প্লান
করতেই চলে যাচ্ছে
তাশরিকের।
কিন্তু চিন্তা একটা
লেকের ওখান টাতে
মানুষ খুব কম যায়, বলা
যায় যায়ই না। আর
সন্ধ্যার পর ওখানে
নাকি খারাপ মানুষ দের
আড্ডা বসে। কেন যে
ইরা তাকে ডাকল
ওখানে সেটা নিয়ে
দ্বিধাগ্রস্থ একটু
কিন্তু পরক্ষনেই
নিজেকে সান্ত্বনা
দেয় তাশরিক
গোপনীয়তার কথা
ভেবে।
.
.
বিকাল ৫ টা। কোন
গাড়িই যেতে চাইছে না
ওখানে। ফেরার মানুষ
পাবে না এজন্য।
পার্সোনাল ট্যাক্সি
নেবে সে ক্রেডিট টাও
তাশরিকের
গ্রিনকার্ডে নেই।
.
টুং টাং শব্দে একটা
ঘোড়ার গাড়ি এসে
দাঁড়াল তাশরিকের
পাশে
"স্যার লেকে যাবেন? "
"হ্যা যাবো, কিন্তু
আপনি কিভাবে
যানেন? "
"স্যার অনেক ক্ষন
ধরেই দাড়িয়ে আছেন
তাই বুঝলাম লেকে
যাবেন হয়ত"
"কিন্তু আমার যে
ছয়টার মাঝে যাওয়া
দরকার"
"সে চিন্তা আপনি
করবেন না স্যার
আমার ঘোড়ার গাড়ি
আপনাকে পৌছে দেবে "
"আপনার মুখ বাধা
কেন? আর ওখান থেকে
আমি ফিরব কিভাবে?
"
"স্যার এসব কথা পরে
হবে আগে উঠুন দেরী
হয়ে যাচ্ছে"
"তা তো বুঝলাম,
কিন্তু নেবে কত? "
"স্যার আমায় এক
ক্রেডিট দিলেই হবে "
"মশকরা করছেন? এক
ক্রেডিটে তো
লজেন্সও হয় না"
"মাফ করবেন স্যার
আমার এক ক্রেডিটের
বেশি নিষেধ আছে"

এসব কথা বোঝে না
তাশরিক। উঠেই বসল
শেষ পর্যন্ত সে।
তাশরিক ধরেই
নিয়েছে আজ তার
যেতে দেরী হবে।
.
ঘোড়ার গাড়ি চলছে।
তাশরিক লক্ষ করে
যেমন টা ঝাঁকুনি
লাগার কথা ছিল ততটা
লাগছে না
মনে হচ্ছে আলোর
গতিতে চলতে গাড়িটা।
তাশরিক কে অবাক
করে দিয়ে মাত্র
কয়েক মিনিটেই
ওখানে পৌঁছে গেল
গাড়িটা।
তাশরিক নেমে তাকে
বলে
.
-তুমি কি দাড়াতে
পারবে?
-কেন স্যার?
-আসলে এখান থেকে
ফিরে যাওয়ার গাড়ি
পাওয়া তো কষ্ট তাই
চাচ্ছিলাম........
-বুঝেছি স্যার, আপনি
যতক্ষণ বলবেন আমি
দাড়িয়ে আছি।
.
.
তাশরিক অপেক্ষায়
আছে ইরার। কখন যে
আসবে মেয়েটা
ঘড়িতে তাকায় সে,
দেখে আরো পনেরো
মিনিট।
কিছুক্ষন ভেবে
কাটায় তাশরিক।
ঘড়ির কাটা তে ঠিক
ছয়টা।
ঝোপের আড়াল থেকে
একটা কাল রঙের গাড়ি
বেরিয়ে আসল।
তাশরিক এগিয়ে গেল
গাড়িটির দিকে।
কিন্তু একি গাড়িতে
তো ইরা নেই, সেখানে
বসে আছে ইরার বাবা
অর্থাৎ বিজ্ঞান
কাউন্সিল এর
সভাপতি।
দুজন সুঠাম লোক বের
হলো গাড়ি থেকে
একজন একটু এগিয়ে
এসে তাশরিক কে
জিজ্ঞেস করল
"ইরা ম্যাডামের সাথে
কিসের সম্পর্ক
তোমার? "
তাশরিক তার শুকনো
গলায় উত্তর দেয়
'কিছুর সম্পর্ক নেই
তো'
.
.
কথা টা শেষ করতেও
পারেনি তাশরিক
সশব্দে একটা ঘুষি দেয়
লোকটা তাশরিকের
মুখে।
দুজন লোক ক্রমাগত
মারছে তাশরিক কে।
তার রোগা-পটকা
শরীরের হাড় ভাঙার
শব্দ ছাড়া আর কিছুই
বুঝতে পারছে না
তাশরিক।
.
লোক গুলো চলে গেছে।
তাশরিক মাটিতে পড়ে
আছে বুঝতে পারছে
তার মাথা দিয়ে
ক্রমাগত রক্তক্ষরণ
হচ্ছে।
ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে
চোখ গুলো। সেই ঝাপসা
চোখেই দেখলো
তাশরিক সেই মুখ বাধা
ঘোড়ার গাড়ির চালক
টা এগিয়ে আসছে তার
দিকে।
তাশরিক কে কোলে
তুলে নিয়ে যাচ্ছে কোন
এক অজানায়। চোখ
বন্ধ করে তাশরিক।
.
.
তাশরিকের জ্ঞান
ফিরেছে। গায়ের সাথে
অনেক গুলো যন্ত্র
ছিলো তাশরিকের
একেকটা একেকরকম।
লম্বা, গোল, চারকোনা,
ছয়কোনা।
.
নড়তে পারছে না
তাশরিক। চিৎকার
করে তাশরিক বলে
-আমি কোথায়? আমার
গায়ে এসব কি!
বাইরে থেকে উত্তর
আসে। স্যার আপনি
ভয় পাবেন না আপনি
আমার গাড়িতে
আছেন। ওরা আপনাকে
খুব মেরেছিল তাই
আপনাকে সুস্থ করার
জন্য গায়ে ওসব
লাগানো হয়েছে।
.
তাশরিকের আস্তে
আস্তে ঘটনা গুলো মনে
পড়তে থাকে। আর
নিজেকে বোঝাতে
থাকে বোকামি
হয়েছিল ওখানে যাওয়া।
হঠাৎ করে তাশরিকেএ
গায়ের যন্ত্র গুলো খুলে
পড়ে যায়।
বাইরে থেকে গলা টা
শোনা যায়
.
"স্যার পাশে রাখা যে
কাপড় টা আছে সেটা
পড়ে নিন। বাইরে খুব
ঠান্ডা। বরফের মাঝে
যেতে হবে"
.
তাশরিক বিরক্ত ভরা
কন্ঠে বলে
-এই গ্রীষ্মকালে
আপনি বরফ কই
পেলেন?
-স্যার আপনি কি
ভেবেছেন আপনি
পৃথিবী তে আছেন?
আপনি এখন অনেক
দূরে।
.
.
তাশরিক গাড়ির
জানালার পর্দা সরিয়ে
বাইরে তাকায়। সত্যিই
তো! এত বরফ!
.
-স্যার আপনাকে এখন
নামতে হবে ওটা পড়ে
নিন গায়ে।
.
তাশরিক কাপড় টার
দিকে তাকায়।
কাপড়টার রঙ টা সাদা।
খুবই পাতলা। এটা দিয়ে
শীত যাবে?
নিউমোনিয়া হবে না
তো?
.
এসব ভাবতে ভাবতে
কাপড় টা পড়ে
তাশরিক।
বাইরে নামতেই
হাটুপর্যন্ত বরফের
মাঝে হারিয়ে হায়।
একটা টান অনুভব করে
তাশরিক।
কেউ একজন তার পা
ধরে নিচের দিকে
টানছে।
হলোও তাই। একটানে
তলিয়ে গেল বরফের
মাঝে তাশরিক।
যখন চোখ খুলল বুঝতে
পারল সে একটা
চতুর্মাত্রিক ঘরের
মাঝে। সে ভাসছে
নাকি দাড়িয়ে আছে সে
সেটা বুঝতে পারছে না।
তাশরিকের পাশে আরো
দুজন দাড়িয়ে। তাদের
মুখ টাও বাধা।.
.
.
কিছুক্ষণের ভেতর
ওখানে হাজির হলো
আরো একজন। যার
গায়ের পোশাক টা হুবুহু
তাশরিকের মত।
সেই লোক টা কি যেন
ইশারা করল সেটা তে
তাশরিকের পাশের
দুইটা লোক তাদের
মুখের কাপড় খুলে
ফেলল।
.
এবার তাশরিকের
অবাক হওয়ার পালা।
পাশের লোক দুটোর
চেহারা একদম
তাশরিকের মত।
এবার সামনের লোক
টাও মুখের কাপড় টা
সরিয়ে ফেলল।
সেও তাশরিকের মতই।
তার মুখ খোলাতে
পাশের দুটি লোক মাথা
নিচু করে কুর্নিশ
করল।
.
.
তাশরিক কিছুই
বিশ্বাস করতে পারছে
না। কি হচ্ছে এসব!
নিজের মত দেখতে
আরো ৩ টা মানুষ
চোখের সামনে দাড়িয়ে
আছে!
তাশরিকের সকল
চিন্তা থামিয়ে
সামনের মানুষ টা
বলতে শুরু করল
.
"কি তাশরিক অবাক
হচ্ছো? আসলে আমিই
তুমি। কিন্তু তুমি
হচ্ছো অতীতের
তাশরিক আর আমি
আর এরা দুজন হচ্ছে
ভবিষ্যৎ এর তাশরিক।
তুমি একটা মেশিন
তৈরি করেছিলে যার
জন্য তুমি প্রায়
অমরত্ব পেয়ে
গিয়েছিলে। অবশ্য
যখন তুমি ঠিক
পেয়েছিলে এতে খারাপ
হতে পারে তখন তুমি
মেশিন টা নষ্ট করে
দাও। কিন্তু ততক্ষনে
অনেক দেরী হয়ে
গিয়েছিল। সৃষ্টি
হয়েছিল তোমারই
ভবিষ্যৎ এর। এবার
আমরা সময় পিছয়ে
দিয়েছি যাতে তুমি
আর সেই মেশিন
বানাতে না পারো।"
.
তাশরিক এই কথা
গুলোর কিছুই বুঝছে
না। কি মেশিন কিসের
মেশিন! তাশরিক
একটা প্রশ্ন করে
"তোমরা যা খুশি করো
কিন্তু আমায় কেন
এখানে আনা? "
.
ভবিষ্যৎ এর তাশরিক
জবাব দেয়
"তুমি আমাদের
অতীত। অতীত না
থাকলে ভবিষ্যৎ
থাকবে না। যে
গাড়িওয়ালা আজ
তোমায় বাচাঁলো সেটা
আমি। তুমি মরে গেলে
আমাদের অস্তিত্ব
থাকবে না। দুনিয়া টা
এবার আমরা চালাব।
তোমার যেন কেউ
ক্ষতি না করতে পারে
সেজন্য এখানে আটকে
রাখব তোমায়"
.
বিশ্বাস করতে কষ্ট
হচ্ছে কিন্তু এদের
উদ্দেশ্যে টা এখন
পরিষ্কার তাশরিকের
কাছে।
.
.
তাশরিক কে বন্দি
করে রাখা হয়েছে
একটা কেবিনে।
হঠাৎ একটা আলো
তাশরিকের সামনে
পড়ে।
আলো টা গাঢ় হতে হতে
সৃষ্টি হয় আরেক টা
তাশরিকের।
-আপনি আবার কে?
-মাফ করো আমায়
তাশরিক।
-মানে?
-আমি আরো ভবিষ্যৎ
থেকে এসেছি। আমি
দেখেছি আমি তোমায়
বোকামি করে আটকে
রাখার কি পরিনিতি।
তাশরিক সব কিছুর
জন্য একটা প্লান
আগেই এই
বিশ্বমন্ডলে তৈরি
করা আছে।
.
তুমি ফিরে যাও
তাশরিক। তোমার মৃত্যু
লিফটে লেখা আছে।
একটা কথা মনে রেখ
সবচেয়ে বেশি সম্মান
শেষ মানবের।.
.
.
.
বিছানার উপর লাগ
দিয়ে ওঠে তাশরিক।
আরে! এটা স্বপ্ন
ছিলো?
নিজে নিজে হাসে
তাশরিক। কিন্তু
ক্যালেন্ডার এর দিকে
চোখ পড়তেই হাসি টা
আর থাকেনা।
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী
আজই ইন্টার্ভিউ এর
ডেট।
তার মানে!!!!!!!
এর অর্থ তাশরিক
একদিন আগে পৌঁছে
গেছে।
.
.
.
লিফটের সামনে
দাড়িয়ে আছে
তাশরিক সহ নয়জন
মানুষ। তাশরিকের
চাকরী গুলো সব
হয়েছে। কারণ গত
দিনের প্রশ্ন গুলোই
আজ আবার করা
হয়েছে তাকে।
তবুও এখানে আসতে
হলো।
একরকম বাধ্য হয়েই।
কারন সেই যে হবে শেষ
মানব।
.
.
পরদিন নিউজপেপারের
হেড লাইন "লিফটে
নয়জনের রহস্যজনক
মৃত্যু "
.

লেখাঃ Tanzir Islam

Rasel islam, Mr faruk, Saiful Osman, Sumaiya akter, Sumon khan, Asha islam, Abir nill and লেখাটি পছন্দ করেছে

Back to top
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum