- Humiনবাগত
- Posts : 7
স্বর্ণমুদ্রা : 1324
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-05-29
চোখ
Sun Jun 13, 2021 10:27 pm
চোখ
লেখিকাঃ মোনালী
পর্ব:০২
১২/০৫/২০২১
জানি না কি বিপদ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য? দীপ্ত একটা কাজ করবি? আচ্ছা শ্রিয়া তুই এমন হয়কেন বলছিস? তুই আমার কাছে কিছু চেয়েছি বা কোন কাজ করতে বলেছিস আমি কি কখনো না করেছি বল? এই জন্যই তো বলছি। শোন না আবির স্যারের ব্যাপারে খোঁজ এনে দিতে পারবি? আবির স্যারের ব্যাপারে খোঁজ আনাটা অনেক কঠিন হবে,তবে পারব তুই চিন্তা করিস না। দিন পাঁচেক পর অফিস থেকে ফেরার পথে দীপ্ত শ্রিয়ার কে বললো তুই আমাকে বলেছিলি আবির স্যারের ব্যাপারে খোঁজ নিতে? এই পাঁচ দিন ধরে সব রকম চেষ্টা করেও স্যারের বিষয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম না,যেটা সবাই জানে সেটাই জানতে পেরেছি। স্যারের বাবা অসুস্থ হবার পর স্যার দেশে ফেরেন এবং ব্যাবসার হাল ধরেন? কিন্তু একটা কথা? এর মধ্যে আবার কিন্তু এলো কোথা থেকে? স্যারের কোন দেশে থেকে পড়াশোনা করেছেন বা এতদিন কোন দেশে থাকতেন কেউ কিন্তু জানে না , এমনকি স্যারের বাড়ির লোকজন ও না। আবিরের চোখে বিষয়টা শ্রিয়াকে ভাবাচ্ছে এত সুদর্শন সুপুরুষ একজনের চোখে এত হিংস্রতা কি করে সম্ভব? এই হিংস্রতা পেছনে কোন কারন তো রয়েছেই? কি সেই কারণ? আবির আসার একমাস পর থেকে অফিসে সবাই টায়রার মধ্যে একটা বদল দেখতে পাচ্ছে? টায়রা এই অফিসের একজন রিসিপশনিষ্ট বেতন আর কত হাজার দশেক। অথচ আজকাল ওর পোশাক আশাক এমনকি গহনা গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক দামী। আর প্রতিদিন সকালে একটা দামী গাড়ি ওকে অফিসে নামিয়ে দেয় আবার অফিস থেকে ফেরার সময় ওকে ঐ গাড়ি বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এই পুরো বিষয়টা নিয়ে অফিসে বেশ কানা ঘুষো চলছে। একদিন তো একজন জিজ্ঞেস করল কি ব্যাপার টায়রা তুমি এত দামী শাড়ি,গহনা গাড়ি এগুলো কোথায় পেলে? আরে রুপ থাকলে এমন দামী শাড়ি,গহনা গাড়ি,বাড়ি,ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কোন ব্যাপার না। এমন কথা শুনে আর কেউ ওকে কোনো প্রশ্ন করে নি? তিনমাস পর একদিন টায়রা এসে জানালো যে ও আর রিসেপশনিস্টের চাকরিটা আর করবে না? অনেকেই জিজ্ঞেস করল কেন? ও তখন বললো আসলেআমার হবু স্বামী তিনি একজন বিখ্যাত ব্যাবসায়ী তার টাকা পয়সার কোন অভাব নেই তিনি চান না আমি ছোট চাকরি করি তাই আমি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি। সবাই টায়রা কে জিজ্ঞেস করল ওর হবু স্বামীর নাম জিজ্ঞেস করলে ও বললো এখন আমার স্বামীর নাম বলতে পারব না। বিয়ের পর একটা পার্টি দিয়ে সবাইকে ওনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। এই বলে টায়রা রেজিগনেশন লেটার জমা দিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে চলে গেল। এক মাস পর একজন বাইশ কি তেইশ বছরের তরুণ অফিসে আসে টায়রার খোঁজ করতে। ছেলেটা টায়রার প্রতিবেশী, ছেলেটার থেকে জানতে পারা গেল গত রাতে না কি টায়রা ওর মায়ের সাথে শেষ বারের মত কথা বলেছে এরপর থেকে না কি ওর ফোন বন্ধ। একমাত্র মেয়ের হদিস না পেয়ে ওর বাবা-মা ভিষণ চিন্তা করছে। সবাই বলে যে টায়রা তো গত একমাস আগেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছে এরপর থেকে আর কারোর সাথে ওর যোগাযোগ নেই। টায়রার বিপদের কথা শুনে দীপ্ত আর শ্রিয়া টায়রার বাড়িতে যায়। টায়রার বাড়িতে গিয়ে দেখে ওর বৃদ্ধ বাবা-মা বসে বসে কাঁদছে। দীপ্ত আর শ্রিয়া ওদের পরিচয় দিয়ে টায়রার বাবা-মা কে জিজ্ঞেস করে পুরো বিষয়টা কি?পায়রার বাবা বলেন এক মাস আগে আমার মেয়ে এসে বলে যে শহরের বাহিরে ওদের না কি নতুন অফিস হয়েছে এখন থেকে ও ওখানে চাকরি করবে,আর ওখানেই থাকবে এই বলে টায়রা চলে যায়। যাওয়ার আগে অবশ্য ওর বাবা-মায়ের হাতে টাকা দিয়ে যায়। ঐ দিন থেকে প্রতিদিনই টায়রা ওর বাবা-মা কে ফোন দিত এবং দুই দিন পর পর টাকা পাঠাতো। গত রাতেও ওর মায়ের সাথে শেষ বারের মত কথা বলে । এরপর হঠাৎ ওর বাবার মনে হয় ঘরে তো টাকা নেই,টাকার কথা মনে হতেই টায়রাকে ফোন দেয় উনি কিন্তু তখন টায়রার ফোন বন্ধ পান। এরপর থেকে যতবারই ফোন দেন ততোবার ই বন্ধ। টায়রার বাবা দীপ্তদের বলে বাবারা তোমরা তো ওর সাথে চাকরি করো তোমরা কি জানো আমার মেয়ে কোথায়? টায়রার বাবার কথা শুনে দীপ্ত আর শ্রিয়া তো পুরো অবাক,টায়রা ওর বাবা-মা কে বলেছে শহরের বাহিরে ওদের নতুন অফিস হয়েছে আর সেখানে ওর চাকরি হয়েছে এদিকে অফিসে বলেছে যে কোন এক বিখ্যাত ব্যাবসায়ী সাথে সম্পর্ক হয়েছে তাই ও চাকরি ছেড়ে দিল। শ্রিয়া টায়রার মাকে পাশের ঘরে আলাদা করে ডেকে জিজ্ঞেস করে আন্টি টায়রার কি কোন ছেলের সাথে কোন সম্পর্ক ছিল? আমি এইসব বিষয়ে আমি কিছু জানি না রে মা। শ্রিয়া টায়রার মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারল যে উনি সম্পূর্ণ সত্যি কথাই বলছেন। এরপর দীপ্ত আর শ্রিয়া টায়রার বাবাকে নিয়ে থানায় যায় কেস করতে। থানায় গিয়ে টায়রার বাবা সবটা বলে এরপর শ্রিয়া দীপ্ত কে বলে তুই একটু চাচা কে নিয়ে বাহিরে যা আমার পুলিশ অফিসারের সাথে কিছু কথা আছে। দীপ্ত টায়রার বাবা কে নিয়ে বাহিরে গেলে শ্রিয়া অফিসার কে বলেন শ্রিয়া আমাদের অফিসের একজন রিসিপশনিষ্ট ছিল ওর বেতন ছিল দশ হাজার টাকা কিন্তু ইদানিং আমার সবাই দেখতাম টায়রা শহরের সবচেয়ে দামী ব্র্যান্ডের জামা ,জুতো আর গহনা পড়ে আসত। আর প্রতিদিন অফিসে আসার সময় একটা দামী গাড়ি ওকে অফিসে নামিয়ে দিয়ে যেত। মোটামুটি সবাই ওকে জিজ্ঞেস করেছিলে এত টাকা কোথায় পাচ্ছ? টায়রার উত্তর ছিল রুপ থাকলে এই সবের কোন অভাব হয়না। মাসখানেক আগে ও অফিসে এসে বললো যে ওর হবু স্বামী একজন বিখ্যাত ব্যাবসায়ী উনি চাননা যে ও রিসেপশনিস্ট এর চাকরিটা করুক।তাই ও চাকরি ছেড়ে দেয়। অথচ টায়রা ওর বাবা-মাকে বলে যে শহরের বাহিরে আমাদের অফিসের নতুন শাখা হয়েছে ওকে ওখানে পাঠানো হচ্ছে তাই ওকে ওখানে থাকতে হবে। সব শুনে অফিসার বললেন আচ্ছা আপনি সত্যটা ওর বাবা-মা কে বললেনি কেন? আসলে ওর বাবা-মা বয়ষ্ক মানুষ এমনিতেই মেয়ে কে নিয়ে চিন্তা করছে আর নতুন করে কিছু বলে ওনাদের চিন্তা বাড়াতে চাই না। পুলিশ অফিসার শ্রিয়াকে বললেন আমি কেসটা নিচ্ছি তবে আপনারা এই বিষয়ে আর নিজেদের জড়াবেন না। কি বলছেন অফিসার সাহেব আমাদের অফিসের একজন কর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আর আপনি বলছেন আমরা নিজেদের জড়াবো না। যা বলছি আপনাদের ভালোর জন্যই বলছি। এই কেসটা বেশ জটিল এতে জড়ালে আপনাদের ক্যারিয়ারের সমস্যা হবে। দীপ্ত আর শ্রিয়া টায়রার বাবাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে ওদের বাড়িতে ফিরে যায়। বাড়ি ফেরার পর থেকে শ্রিয়ার মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরছে? পরদিন শ্রিয়া অফিসে যায় অফিসে যাবার পর আবিরের সাথে দেখা হয়। আবিরের চোখে চোখ পড়তেই শ্রিয়া বুঝতে পারল গত দুই দিনের চেয়ে আবিরের চোখে অদ্ভুত এক প্রশান্তি কাজ করলেও সেই যে হিংস্রতা ছিল সেই হিংস্রতা পরিমাণ বিন্দুমাত্র কমেনি বরং বেড়েছে।শ্রিয়াকে আবিরের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবির বললো কি হলো ম্যাডাম ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? আপনি কি আমার প্রেমে পড়লেন না কি?
লেখিকাঃ মোনালী
পর্ব:০২
১২/০৫/২০২১
জানি না কি বিপদ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য? দীপ্ত একটা কাজ করবি? আচ্ছা শ্রিয়া তুই এমন হয়কেন বলছিস? তুই আমার কাছে কিছু চেয়েছি বা কোন কাজ করতে বলেছিস আমি কি কখনো না করেছি বল? এই জন্যই তো বলছি। শোন না আবির স্যারের ব্যাপারে খোঁজ এনে দিতে পারবি? আবির স্যারের ব্যাপারে খোঁজ আনাটা অনেক কঠিন হবে,তবে পারব তুই চিন্তা করিস না। দিন পাঁচেক পর অফিস থেকে ফেরার পথে দীপ্ত শ্রিয়ার কে বললো তুই আমাকে বলেছিলি আবির স্যারের ব্যাপারে খোঁজ নিতে? এই পাঁচ দিন ধরে সব রকম চেষ্টা করেও স্যারের বিষয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম না,যেটা সবাই জানে সেটাই জানতে পেরেছি। স্যারের বাবা অসুস্থ হবার পর স্যার দেশে ফেরেন এবং ব্যাবসার হাল ধরেন? কিন্তু একটা কথা? এর মধ্যে আবার কিন্তু এলো কোথা থেকে? স্যারের কোন দেশে থেকে পড়াশোনা করেছেন বা এতদিন কোন দেশে থাকতেন কেউ কিন্তু জানে না , এমনকি স্যারের বাড়ির লোকজন ও না। আবিরের চোখে বিষয়টা শ্রিয়াকে ভাবাচ্ছে এত সুদর্শন সুপুরুষ একজনের চোখে এত হিংস্রতা কি করে সম্ভব? এই হিংস্রতা পেছনে কোন কারন তো রয়েছেই? কি সেই কারণ? আবির আসার একমাস পর থেকে অফিসে সবাই টায়রার মধ্যে একটা বদল দেখতে পাচ্ছে? টায়রা এই অফিসের একজন রিসিপশনিষ্ট বেতন আর কত হাজার দশেক। অথচ আজকাল ওর পোশাক আশাক এমনকি গহনা গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক দামী। আর প্রতিদিন সকালে একটা দামী গাড়ি ওকে অফিসে নামিয়ে দেয় আবার অফিস থেকে ফেরার সময় ওকে ঐ গাড়ি বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এই পুরো বিষয়টা নিয়ে অফিসে বেশ কানা ঘুষো চলছে। একদিন তো একজন জিজ্ঞেস করল কি ব্যাপার টায়রা তুমি এত দামী শাড়ি,গহনা গাড়ি এগুলো কোথায় পেলে? আরে রুপ থাকলে এমন দামী শাড়ি,গহনা গাড়ি,বাড়ি,ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কোন ব্যাপার না। এমন কথা শুনে আর কেউ ওকে কোনো প্রশ্ন করে নি? তিনমাস পর একদিন টায়রা এসে জানালো যে ও আর রিসেপশনিস্টের চাকরিটা আর করবে না? অনেকেই জিজ্ঞেস করল কেন? ও তখন বললো আসলেআমার হবু স্বামী তিনি একজন বিখ্যাত ব্যাবসায়ী তার টাকা পয়সার কোন অভাব নেই তিনি চান না আমি ছোট চাকরি করি তাই আমি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি। সবাই টায়রা কে জিজ্ঞেস করল ওর হবু স্বামীর নাম জিজ্ঞেস করলে ও বললো এখন আমার স্বামীর নাম বলতে পারব না। বিয়ের পর একটা পার্টি দিয়ে সবাইকে ওনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। এই বলে টায়রা রেজিগনেশন লেটার জমা দিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে চলে গেল। এক মাস পর একজন বাইশ কি তেইশ বছরের তরুণ অফিসে আসে টায়রার খোঁজ করতে। ছেলেটা টায়রার প্রতিবেশী, ছেলেটার থেকে জানতে পারা গেল গত রাতে না কি টায়রা ওর মায়ের সাথে শেষ বারের মত কথা বলেছে এরপর থেকে না কি ওর ফোন বন্ধ। একমাত্র মেয়ের হদিস না পেয়ে ওর বাবা-মা ভিষণ চিন্তা করছে। সবাই বলে যে টায়রা তো গত একমাস আগেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছে এরপর থেকে আর কারোর সাথে ওর যোগাযোগ নেই। টায়রার বিপদের কথা শুনে দীপ্ত আর শ্রিয়া টায়রার বাড়িতে যায়। টায়রার বাড়িতে গিয়ে দেখে ওর বৃদ্ধ বাবা-মা বসে বসে কাঁদছে। দীপ্ত আর শ্রিয়া ওদের পরিচয় দিয়ে টায়রার বাবা-মা কে জিজ্ঞেস করে পুরো বিষয়টা কি?পায়রার বাবা বলেন এক মাস আগে আমার মেয়ে এসে বলে যে শহরের বাহিরে ওদের না কি নতুন অফিস হয়েছে এখন থেকে ও ওখানে চাকরি করবে,আর ওখানেই থাকবে এই বলে টায়রা চলে যায়। যাওয়ার আগে অবশ্য ওর বাবা-মায়ের হাতে টাকা দিয়ে যায়। ঐ দিন থেকে প্রতিদিনই টায়রা ওর বাবা-মা কে ফোন দিত এবং দুই দিন পর পর টাকা পাঠাতো। গত রাতেও ওর মায়ের সাথে শেষ বারের মত কথা বলে । এরপর হঠাৎ ওর বাবার মনে হয় ঘরে তো টাকা নেই,টাকার কথা মনে হতেই টায়রাকে ফোন দেয় উনি কিন্তু তখন টায়রার ফোন বন্ধ পান। এরপর থেকে যতবারই ফোন দেন ততোবার ই বন্ধ। টায়রার বাবা দীপ্তদের বলে বাবারা তোমরা তো ওর সাথে চাকরি করো তোমরা কি জানো আমার মেয়ে কোথায়? টায়রার বাবার কথা শুনে দীপ্ত আর শ্রিয়া তো পুরো অবাক,টায়রা ওর বাবা-মা কে বলেছে শহরের বাহিরে ওদের নতুন অফিস হয়েছে আর সেখানে ওর চাকরি হয়েছে এদিকে অফিসে বলেছে যে কোন এক বিখ্যাত ব্যাবসায়ী সাথে সম্পর্ক হয়েছে তাই ও চাকরি ছেড়ে দিল। শ্রিয়া টায়রার মাকে পাশের ঘরে আলাদা করে ডেকে জিজ্ঞেস করে আন্টি টায়রার কি কোন ছেলের সাথে কোন সম্পর্ক ছিল? আমি এইসব বিষয়ে আমি কিছু জানি না রে মা। শ্রিয়া টায়রার মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারল যে উনি সম্পূর্ণ সত্যি কথাই বলছেন। এরপর দীপ্ত আর শ্রিয়া টায়রার বাবাকে নিয়ে থানায় যায় কেস করতে। থানায় গিয়ে টায়রার বাবা সবটা বলে এরপর শ্রিয়া দীপ্ত কে বলে তুই একটু চাচা কে নিয়ে বাহিরে যা আমার পুলিশ অফিসারের সাথে কিছু কথা আছে। দীপ্ত টায়রার বাবা কে নিয়ে বাহিরে গেলে শ্রিয়া অফিসার কে বলেন শ্রিয়া আমাদের অফিসের একজন রিসিপশনিষ্ট ছিল ওর বেতন ছিল দশ হাজার টাকা কিন্তু ইদানিং আমার সবাই দেখতাম টায়রা শহরের সবচেয়ে দামী ব্র্যান্ডের জামা ,জুতো আর গহনা পড়ে আসত। আর প্রতিদিন অফিসে আসার সময় একটা দামী গাড়ি ওকে অফিসে নামিয়ে দিয়ে যেত। মোটামুটি সবাই ওকে জিজ্ঞেস করেছিলে এত টাকা কোথায় পাচ্ছ? টায়রার উত্তর ছিল রুপ থাকলে এই সবের কোন অভাব হয়না। মাসখানেক আগে ও অফিসে এসে বললো যে ওর হবু স্বামী একজন বিখ্যাত ব্যাবসায়ী উনি চাননা যে ও রিসেপশনিস্ট এর চাকরিটা করুক।তাই ও চাকরি ছেড়ে দেয়। অথচ টায়রা ওর বাবা-মাকে বলে যে শহরের বাহিরে আমাদের অফিসের নতুন শাখা হয়েছে ওকে ওখানে পাঠানো হচ্ছে তাই ওকে ওখানে থাকতে হবে। সব শুনে অফিসার বললেন আচ্ছা আপনি সত্যটা ওর বাবা-মা কে বললেনি কেন? আসলে ওর বাবা-মা বয়ষ্ক মানুষ এমনিতেই মেয়ে কে নিয়ে চিন্তা করছে আর নতুন করে কিছু বলে ওনাদের চিন্তা বাড়াতে চাই না। পুলিশ অফিসার শ্রিয়াকে বললেন আমি কেসটা নিচ্ছি তবে আপনারা এই বিষয়ে আর নিজেদের জড়াবেন না। কি বলছেন অফিসার সাহেব আমাদের অফিসের একজন কর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আর আপনি বলছেন আমরা নিজেদের জড়াবো না। যা বলছি আপনাদের ভালোর জন্যই বলছি। এই কেসটা বেশ জটিল এতে জড়ালে আপনাদের ক্যারিয়ারের সমস্যা হবে। দীপ্ত আর শ্রিয়া টায়রার বাবাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে ওদের বাড়িতে ফিরে যায়। বাড়ি ফেরার পর থেকে শ্রিয়ার মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরছে? পরদিন শ্রিয়া অফিসে যায় অফিসে যাবার পর আবিরের সাথে দেখা হয়। আবিরের চোখে চোখ পড়তেই শ্রিয়া বুঝতে পারল গত দুই দিনের চেয়ে আবিরের চোখে অদ্ভুত এক প্রশান্তি কাজ করলেও সেই যে হিংস্রতা ছিল সেই হিংস্রতা পরিমাণ বিন্দুমাত্র কমেনি বরং বেড়েছে।শ্রিয়াকে আবিরের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবির বললো কি হলো ম্যাডাম ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? আপনি কি আমার প্রেমে পড়লেন না কি?
Saima siddiki, Muniya nur, Tapos ghos, Tawhid sikdar, Masum khan, Ayan ahmed, Sipon howladar and লেখাটি পছন্দ করেছে
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
|
|