সাদা কাগজ
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Go down
avatar
Tarek Hossain Rimon
নবাগত
নবাগত
Posts : 2
স্বর্ণমুদ্রা : 1166
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-06-13
Age : 28
Location : South patenga, Chittagong

আল্লাহ যা করেন তা ভালোর জন্যেই করেন।  Empty আল্লাহ যা করেন তা ভালোর জন্যেই করেন।

Mon Jun 14, 2021 3:45 pm

"আল্লাহ যা করেন তা ভালোর জন্যেই করেন"
"আল্লাহই সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী"

উপরের বাক্য দুটি আমরা সবসময়ই শুনে থাকি,আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ভালো কোন কিছুর আশায় যখন আমরা পরিশ্রম করি তখন ঐ পরিশ্রমের বিনিময়ে ভালো আশা বা ইচ্ছাগুলো সত্যিকারে বাস্তব হোক তা আমরা কে বা না চায়!!! তবে ভালো আশা বা ইচ্ছাগুলো যখন বাস্তবে রুপান্তর হয় না তখন আমাদের কতোই না আপসুস হয়!ভালো আশা বা ইচ্ছাগুলোর অপ্রাপ্তির হতাশায় যখন আমরা আমাদের চেহেরাকে হতাশার চাপ বসিয়ে পরিবারে বা সমাজে বা কর্মস্থলে বা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাফেরা করি তখন আমাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধুটি কছে এসে এই বলে স্বান্তনা দেই যে "আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন" তখন ঐ বন্ধুটির সুবাক্যে আমাদের কারো কারো অপ্রাপ্তির হতাশা দূর হয়ে যায় আবার কারো ক্ষেত্রে হিতের বিপরীতও হয়!হিতের বিপরীত বলতে তখন তার কাছে ঐ বন্ধুটির সুবাক্যগুলো মশকরা এবং তার অপ্রাপ্তির আগুনে তেল ঢেলে দেওয়া বলে মনে হয়!কারন সুস্পষ্টভাবে সে দেখতেছে যে তার আশা বা ইচ্ছা গুলো অনেক ভালো এবং উত্তম যেখানে কোনপ্রকারের মন্দ নেই তাহলে আল্লাহ কেনো তার এমন ভালো ইচ্ছা বা আশাগুলো পূরণ করবে না!!!

যারা মনে করে আমাদের দুনিয়াজগতে ভালো বা খারাপ যেসব ঘটনাবলী আমাদের সাথে ঘটে থাকে তা আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে না! এবং আল্লাহ যাই করেন তা ভালোর জন্যেই করেন তা বিশ্বাস করেন না! সুস্পষ্টভাবে তাদেরই জন্যে আমার আজকের এই লেখাটি😊

আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে ঘটনাক্রম ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করবো তবে ঘটনাক্রম যাদেরকে নিয়ে লিখা তাদের প্রাইভেসির সুবিধার্তে তাদের আসল নাম এবং ঘটনাস্থল ব্যাবহার না করে তাদের রুপক নাম এবং ভিন্ন ঘটনাস্থল ব্যাবহার করবো।

শিহাব এবং অনিক দুজনই ক্লাসমেট এবং ঘনিষ্ট বন্ধু।দুজনেরই শিক্ষাজীবন শুরু হয় ধানমন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে।শিক্ষাজীবনের শুরুতে শিহাব এবং অনিক স্রেফ ক্লাসমেইট ছিলো! তাদের মধ্যে কোনো বন্ধুত্ব ছিলো না শুধুমাত্র একজন আরেকজনকে চিনে এই আর কি!প্রাইমারি শিক্ষা জীবন শেষ করে তারা দুজনই কাকতালীয়ভাবে একই এলাকার অন্য একটি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হয় এবং মাধ্যমিক লেভেল থেকেই তাদের মোটামুটি একজন আরেক জনের সাথে পড়াশুনা বিষয়ে আলোচনার তাগিদে মোটামুটি বন্ধুত্ব হয় তবে সেটাকে ঘনিষ্ঠ বলা যায় না!অনিক এবং শিহাবের দুজনেরই মেধা মাশাল্লাহ অনেক ভালো তবে শিহাব একটু দুষ্টু সাথে পড়াশুনায় খানিকটা ফাকিবাজও ছিলো সেই তুলনায় অনিক অনেকটা শান্ত স্বভাবের এবং পড়াশুনায়ও নিয়মিত ছিলো তাই পরীক্ষার ফলাফলে শিহাবের তুলনায় অনিক সবসময় এগিয়ে ছিলো। অর্থাৎ অনিকের রুল নাম্বার তিনে হলে শিহাবের রুল নাম্বার হতো সাতে এরকমই!তাই দশম শ্রেণি পর্যন্ত তাদের বন্ধুত্বটা ছিলো মোটামুটি মাঝামাঝি পর্যায়ের তবে অনিকের কাছে শিহাব ছিলো বাকি বন্ধুদের তুলনায় একটু ভিন্ন রকমের!অনিক কিছুক্ষেত্রে শিহাবের মেধাকে অসাধারণ বলে মনে করতো! এবং তাই এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির সঙ্গি হিসেবে অনিক শিহাবকে পছন্দ করে এবং শিহাবের সাথে গ্রুপস্টাডিও করা শুরু করে সেই থেকে তাদের বন্ধুত্ব ঘনিষ্টতায় রুপ নেওয়া শুরু করে।এসএসসি টেস্ট পরীক্ষার পরবর্তী সময়ে তারা দুজন একসাথে প্রত্যেকটি বিষয় রুটিন অনুযায়ী খুবই ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে!তাদের দুজনেরই লক্ষ যেভাবেই হোক এ+ পেতে হবেই! এক বিশেষ দিনে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল যখন প্রকাশিত হয় তখন তাদের স্কুল থেকে এবং পুরু এলাকা থেকে তারা দুজনই এ+ অর্জন করে!সেই হতে তারা তাদের দুজনের যে জুটি তা থেমে যেতে দেই নি কখনো! তারা একইসাথে পথ চলতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ! অনিকের পারিবারিক অবস্থা তেমনটা ভালো না আবার শিহাবের পারিবারিক অবস্থা মোটামুটি নিম্ন মধ্যভিত্ত বলা যেতে পারে!আর্থিক অভাবের কারনে অনিক ভালো মানের কলেজে ভর্তি হতে পারে নি কারন ভালো কলেজের মাসিক বেতন ও ভর্তি ফি অনেক বেশি ছিলো তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই অনিক এলাকার একটা সাধারণ কলেজে ভর্তি হয়!অপরদিকে শিহাব মোটামুটি ভালোমানের কলেজে ভর্তি হয়! কলেজ আলাদা হওয়ার কারনে তাদের দুজনের তেমনটা যোগাযোগ হতো না তবে মাঝেমধ্যে দেখা হলেই আলোচনা থাকতো পড়াশোনা নিয়ে!আর্থিক অভাবের কারনে অনিকের পক্ষে আলাদা বিষয়ে কোচিং পড়া সম্ভব ছিলো না তাই সে বাসায় নিজে নিজেই পড়াশোনা করার চেষ্টা করতো অপরদিকে শিহাব প্রায় প্রত্যেকটা বিষয় আলাদা-আলাদাভাবে কোচিং এ পড়তো তাই কলেজের পড়াশুনায় অনিকের তুলনায় শিহাব অনেকটা এগিয়ে ছিলো!অনিক পারিবারিক অভাবের কথা চিন্তা করে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর জন্য নিয়োগপরীক্ষাও দেয় ঐ চাকুরী সাধারণত দু-তিন লাখ টাকা ঘুষ ছাড়া হয় না সেখানে অনিক নিয়োগ পরীক্ষায় চান্সও পেয়ে গেলো তবে সমস্যা হচ্ছে ঐ চাকুরীতে শুরুতে ট্রেনিং করতে হয় এবং অফিসিয়াল সিস্টেম অনু্যায়ী ট্রেনিং এর জন্য প্রায় ৮০০০০ টাকা জমা দিতে হয়! এতোটাকা অনিকের পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব ছিলো তাই একপ্রকারে বাধ্য হয়েই সে এলাকার তার চাচা সম্পর্কে সাবেক কমিশনারের কাছে গেলো ৮০০০০ টাকা ঋন নেওয়ার জন্য!!গরীবদেরকে কি কেউ সহজে ঋন দেই!অনিক সেই দিন হতাশাগ্রস্ত মুখে চাচার বাসা থেকে ফিরে এসেছিলো! পথে দেখা শিহাবের সাথে! শিহাব অনিকের মুখ ভার দেখে তার কাছে মুখ ভার হওয়ার কারন জানতে চাইলো!অনিক তখন শিহাবকে সবকিছুই খুলে বললো ঐ দিন শিহাব অনিককে একটা কথায় শুধু বলেছিলো আল্লাহ যাই করেন ভালোর জন্যেই করেন!দেখিস তুই এর চাইতে ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু পাবি!অনিক জিজ্ঞেস করলো কেমনে! তখন শিহাব বললো দেখ দুস্ত মনে কর তুর কমিশনার চাচা তুকে এখন ৮০০০০ টাকা ঋন দিলো তুই অবশ্যই এই টাকাগুলো এখন ঐ প্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে আসবি তাই তো!এখন আমাকে বলতো ঐ প্রতিষ্ঠান তুর এই টাকাগুলোর বিনিময়ে তুকে ট্রেনিং করাবে তাই না! ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর তারা যদি তুকে চাকুরী না দেই তুই কিছু করতে পারবি?অবশ্যই না!তখন কি হবে তুর এবং তুর পরিবারের!একদিকে ৮০০০০ টাকা ঋনের ভোজা আবার ট্রেনিং করার কারনে তুর পড়াশুনাও ধ্বংস হয়ে যেতো যার চাপ তুই নিতে না পেরে করে ফেলতে পারতি আত্বহত্যার মতো মহাপাপ!! এবার বলতো দুস্ত এমন খারাপ অবস্থা তুই কি কখনো কল্পনা করতে পারোস!! দেখ দুস্ত আল্লাহ এগুলো সবই জানেন তাই ওনি তুর লাইফে এমনটা ঘটান নিI love you অনিক অনেক ধৈর্য্যশীল একটা ছেলে এবং সে শিহাবের কথাগুলোকে অগ্রাহ্য না করে নিজের মনের মাঝে সাহস হিসেবে কথাগুলোকে নিয়েছিলো!
পরবর্তীতে তারা দুজনই এইচএসসি এক্সামে অংশগ্রহণ করে এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে শিহাবের রেজাল্ট অনিকের তুলনায় ভালো হলো! আসলে এটাই হওয়ার কথা ছিলো কারন শিহাব ভালো ফলাফল করার জন্য যা কিছু দরকার তার সবটিই পেয়েছিলো অপরদিকে অনিক তো সেই তুলনায় তেমনটা কিছু পায় নি!!যাইহোক অনিক আবার তার কলেজে অন্তত সর্বোচ্চ রেজাল্ট করেছিলো!
ফলাফল প্রকাশের আগেই শিহাব এবং অনিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির লক্ষে এডমিশন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয় তাদের দুজনেরই লক্ষ যেভাবে হোক সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে!
অবশ্যই এইচএসসি ফলাফল মনের মতো না হওয়ায় অনিক অনেকটা হতাশ ছিলো তখন! অনিকের হতাশা দেখে শিহাব সেবারও বলেছিলো আল্লাহ যাই করেন ভালোর জন্যেই করেন!অনিক বলে উটলো কেমনে ভাই কেমনে!ফলাফল কেনো আমার এমন হবে?শিহাব আবারও বলে উটলো আমার কথা বিশ্বাস না হলে পরে মিলিয়ে দেখিস!আল্লাহই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী I love you
পরবর্তীতে এডমিশন এর ফলাফলে শিহাব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলো অপরদিকে অনিকের এবারও ভাগ্য খারাপ! সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় নি সে পরবর্তীতে ঢাকা সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলো,অনিকের হতাশার চাপ যেনো তাকে ছাড়তেই চাচ্ছে না!!একদিন ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফেরার পথে বাসে শিহাবের সাথে অনিকের কাকতালীয় দেখা হয়!অনিকের চোখে-মুখে সেই হতাশার সুর এবং চাপ! এবারও শিহাব একই কথা বলে উটল আল্লাহ যাই করেন ভালোর জন্যে করেন!দুস্ত হতাশ না হয়ে ধৈর্য্য ধর দেখবি তুর সব হতাশার কারন অচীরেই দূর হয়ে যাবে যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন।অনিকের তখন আর কি বলার সে শিহাবের ধর্মীয় সু-বাণীগুলো শুনেই গেলো।।।।।।
দুবছর পরে শিহাব খবর পেলো যে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এইচএসসি পাস যোগ্যতার লোক নেয় এবং শিহাবের ক্যাম্পাসের কিছু বড় ভাইও সেখানে চাকুরী করে গ্র‍্যজুয়েশন শেষ করেছে তাই শিহাব ভরসা পেলো যাক অন্তত সরকারি চাকুরীটা পেলে পরিবারকে আগে থেকে সুখি করতে পারবে সাথে ঐ চাকুরীতে থেকে গ্র‍্যাজুয়েশনের পর বিসিএসের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে বিসিএস ক্যাডারও হতে পারবে।অন্তত এই চাকুরীটা আমার ক্যারিয়ারের সেইফটি না হতে পারলেও আমার পরিবারের জন্যেতো অন্তত আর্থিক সেইফটিতো হবে!
তাই সে দেরি না করে অনিককেও চাকুরীর ব্যাপারটা শেয়ার করলো এবং অনিকও দেখি খবরটি শুনে অনেক খুশি হলো! পরে তারা একসাথে ঐ নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করে আটঘাট বেধে নামলো যেভাবেই হোক তাদের চাকুরীটা হওয়া চায়! লিখিত,ভাইবা এবং মেডিক্যাল ফিটন্যাসে তারা দুজনই সফলতার সাথে মুকাবিলা করলো এবং ঐ চাকুরীতে তাদের যোগদান করার জন্য চিঠি ও আসলো ‌! সরকারি চাকুরী হওয়াতে তাদের দুই পরিবার অনেক খুশি হয়েছিলো বিশেষত তাদের বাবা-মা অনেক অনেক বেশি খুশি হয়েছিলোI love you
যাইহোক শিহাব এবং অনিক যথারীতি তাদের চাকুরীতে জয়েন দিলো এবং চাকুরী করা শুরু করলো মনের মাধুরি মিশিয়ে!ঐ সময়ে শিহাব এবং অনিক দুজনই অনার্স ৩য় বর্ষে সদ্য ভর্তি হয়েছিলো।
তাদের চাকুরীতে প্রায় একমাস ট্রেইনিং সেন্টারে ট্রেনিং ছিলো তাই চাকুরীতে খারাপ রেকর্ড যাতে না হয় সে জন্য তারা দুজনই একদিনের জন্যেও চাকুরীতে ছুটি কাটায় নি।একমাস চাকুরীতে নিয়মিত থাকার কারনে শিহাবের ক্যাম্পাস যাওয়া হয় নি এবং ইতোমধ্যে সে খবর পেয়েছে এই একমাসে ম্যাক্সিমাম ক্লাস শেষ হয়ে গেছে!শিহাবের ভার্সিটিতে তাদের ডিপার্টমেন্টের নিয়ম হলো উপস্থিতি ৬০% এর চেয়েও কম হলে কোনমতেই এক্সাম দিতে দেওয়া হবে না!এইদিকে অনিক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই তাদের উপস্থিতি নিয়ে কোন সমস্যা নেই!শিহাব পরে অনেক চেষ্ঠা করেছিলো সর্বোচ্চ ক্লাস করার তবে তার ভাগ্য তার পক্ষে ছিলো না!"শেষমেশ উপস্থিতি ৫১%!!!শিহাব অনেক চেষ্ঠা, আকুতি-মিনতি করার পরেও তাকে ৩য় বর্ষে পরীক্ষার অনুমতি দিলো না!!ঐটা ছিলো শিহাবের জীবনে সবচেয়েও বড় ধাক্কা!!!শিহাব অনেক হতাশ হয়ে পড়েছিলো কিন্তু এতোকিছুর পরেও শিহাব আবারও উটে দাড়ালো এবং আল্লাহর সাথে কথা বলতে লাগলো হ্যা আল্লাহ! আপনি যাই করেন ভালোর জন্যেই করেন নিশ্চয় আপনি আমার জন্য অনেক উত্তম প্রতিদান লিখে রেখেছেন, আপনিই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী, সকল প্রশংসা আপনারই জন্যI love youI love youI love youশিহাব সবকিছু ভুলে গিয়ে নতুন উদ্যমে আবারও ৩য় বর্ষে ভর্তি হলো এবং নিজের আশা বাছিয়ে রাখলোI love you
এইদিকে অনিক কোনপ্রকার সমস্যা ছাড়াই জিরো পার্সেন্টেজ নিয়ে ৩য় বর্ষ পরীক্ষা দিয়ে উত্তির্ন হয়ে ৪র্থ বর্ষে ক্লাস করা শুরু করলো!
এরই মধ্যে অফিসে একদিন শিহাব অনিককে সেই পুরনো সৃতি মনে করিয়ে দিলো এবং বলতে লাগলো দুস্ত তুকে বলেছিলাম না আল্লাহ যাই করেন ভালোর জন্যেই করেন! অনিক মাথা নেড়ে বললো হ্যা!
শিহাব বলতে লাগলো দেখ দুস্ত তুই যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন চান্স পেয়ে যাইতি তাহলে আজকের আমার মতো তুইও একইভাবে একবছর ড্রপ হতে পারতি হইতো!তখন সেই হতাশার চাপ আমি যেভাবে নিতে পেরেছি! তা তুই নাও নিতে পারতি এবং সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে তুই আত্বহত্যার মতো বড় কিছুও করে ফেলতে পারতি অথবা মানসিক প্রতিবন্ধি হয়ে পাগলও হয়ে যাইতে পারতি!!!তখন তুর পরিবারের কি অবস্থা হতো ভাবতে পারছিস!আল্লাহ সবই জানেন!তাই ওনি তুর যোগ্যতা থাকা শর্তেও তুকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার তৌফিক না দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার তৌফিক দিয়েছে যার ফলস্বরূপ তুই এখন কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ করতে পারছিস এবং চাকুরীতেও যেখানে আমার অনেক বেশি এবসেন্ট থাকলেও তুর কোন এবসেন্ট নেই!এবার অন্তত স্বীকার কর দুস্ত আল্লাহ যাই করেন ভালোর জন্যেই করেন! এবং আল্লাহই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী I love youI love youI love you

শিহাবের মনেও ইতোমধ্যে অজানা এক জেদ তৈরি হয়ে গেছে !!!! যেটা ড্রপ খাওয়ার আগে তেমনটা ছিলো না!সে মনে মনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো এই বলে যে একবছর ড্রপ হয়েছেতো কি হয়েছে!সে বিসিএস ক্যাডার হয়ে সারা বাংলাদেশকে দেখিয়ে দিবে!I love you এবং সে মনে প্রাণে এটি বিশ্বাস করে যে যেকোন খারাপ মুহূর্ত তার কল্পনার চেয়েও উত্তম কিছুকে বরণ করে নেওয়ার জন্যে ঘটে থাকেI love youআল্লাহ তার জন্যে উত্তম প্রতিদান হিসেবে বিসিএস ক্যাডার হতে পারাটা হইতোবা লিখে রেখেছে!
আরো ভালোভাবেই সে বিশ্বাস করে যে বিসিএস ক্যাডার হতে না পারলেও সে আরো মহাখুশি হবে কারন আল্লাহ হইতোবা তার জন্যে এর চেয়েও উত্তম কিছু লিখে রেখেছেI love youতার বিশ্বাস এতোটা গাঢ় যে আল্লাহ তাকে কখনো খালি হাতে ফেরাবে না!কখনো না!কখনো না!কখনো না!I love youI love youI love you💛💛💜I love youI love youI love you

আল্লাহু আকবারI love you

Tapos ghos, Tawhid sikdar, Masum khan, Ayan ahmed, Sipon howladar, Sabbir ahmed, Sm samim and লেখাটি পছন্দ করেছে

Back to top
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum