- Humiনবাগত
- Posts : 7
স্বর্ণমুদ্রা : 1324
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-05-29
মনমোহিনী শেষ পর্ব
Thu Jun 17, 2021 9:35 pm
মনমোহীনি
লেখিকা: মোনালী
পর্ব:০২
কাউকে ভালোবাসাটা অন্যায় নয়, কিন্তু তুই একটা আস্ত ছাগল। কেন এই কথা বলছ কেন? এতদিন ধরে একটা মেয়ের পিছে ঘুরছিস অথচ কথা বলেছিস একদিন। তুই তো ওর অফিস চিনিস তোর উচিৎ ছিল ওকে নিয়ে একদিন কফি খেতে যাওয়া। এই কথাটা তো একদিন ও মাথায় আসেনি। ধন্যবাদ আমার প্রিয় আম্মাজান। ধন্যবাদ দিতে হবে না বরং টাকা লাগবে কি না বল? না মা আপাতত টাকা লাগবে না। আচ্ছা ঠিক আছে আমি গেলাম তুই তোর কাজ কর। পরদিন বিকেলে দীপ তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেরিয়ে মনমোহিনীর অফিসের সামনে যায়। অফিস থেকে বেরিয়ে মিহিকা দেখে দীপ ওর অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আরে আপনি আজ এই সময়ে কি মনে করে? এমনি ভাবলাম অনেক দিন কফি খাওয়া হয় না ভাবলাম একা একা কফি খাব তার চেয়ে ভালো আপনার সাথে কফি খাওয়া যাক আপনার কোন আপত্তি নেই তো। আরে না কিসের আপত্তি থাকবে চলুন কফি খাওয়া যাক। দীপ আর মিহিকা একটা কফি শপে যায় দীপ দু'টো কফির আর্ডার দিয়ে দুজন গল্প করতে থাকে। এরপর থেকে মাঝে মাঝে দীপ আর ওর মনমোহীনি কফি খেতে যায়। আজও দীপ আর মিহিকা কফি খেতে যায়। কফি শপে গিয়ে দীপ কফির আর্ডার দেয়, দীপ আর মিহিকা এখন বেশ ভালো বন্ধু। মিহিকা দীপকে বলে আমি জানি তুমি আমাকে ভালবাস আমাকে বিয়ে করতে চাও। তুমি কি করে বুঝলে? আমি একটা মেয়ে, কোন ছেলে আমাকে ভালোবাসলে আমি ঠিকই বুঝতে পারি। তোমাকে আজ আমার কথা বলি তাহলে আমর জন্ম একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে। মা-বাবার একমাত্র সন্তান।বাবা যা ইনকাম করতেন তা দিয়ে আমাদের বেশ ভালোই চলত। ধীরে আমি বড় হতে লাগলাম আমার ভবিষ্যতের জন্য বাবা কাজের পরিমাণ বাড়িয়ে দিল তার ফলে মায়ের সাথে বাবার একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। মা পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। যখন বাবা পুরো বিষয়টা বুঝতে পারলেন ততদিনে বাবা আর মায়ের মধ্যে বিন্দু মাত্র ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই। একপ্রকার জোর করেই মা বাবা কে ডিভোর্স দিয়ে আমাকে ছেড়েই চলে যান। তখন আমার বয়স সাত বছর ছিল। বাবা-মায়ের ডিভোর্সের পর আমার স্থান হয় বাবার কাছে। দুই মাস পর বাবা আবার বিয়ে করেন, নতুন মা আমাকে পছন্দ ও করত না আবার অত্যাচার ও করত না। বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে আমি কখনোই মা বলি নেই। সব সময় আন্টি বলতাম,তবে সেই বয়সেই বুঝে গেছিলাম এখন থেকে আমার নিজের খেয়াল আমাকেই রাখতে হবে। এক প্রকার অবহেলায় বড় হয়ে ওঠা আমার। সুন্দরী হবার কারণে তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় এক ধনী পরিবারের ছেলের সাথে বিয়ের প্রস্তাব আসে। কোন খোঁজ খবর না নিয়ে ই আমার বিয়ে দিয়ে দেয় বাবা। বিয়ের মাস খানেক পর বুঝতে পারলাম যে আমার বর একজন নেশাগ্রস্ত ব্যাক্তি শুধু তাই নয় রীতিমতো সে আমাকে সন্দেহ করতে শুরু করে। সন্দেহের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে।এই অবস্থার মধ্যেই আমি পড়াশোনা শেষ করি। ওর বাবা মা কে বললে তারা বলতেন মানিয়ে নিতে। ধীরে ধীরে ও বাড়ি আসা বন্ধ করে দেয় দুই তিন সপ্তাহ পর একবার বাড়ি আসে। বাড়ি এসেই সন্দেহ আর সন্দেহ,এই অবস্থার থেকে মুক্তি পেতে ই আমার চাকরি করা। সব শুনে দীপ কোন কথা না বলে কফি শেষ করে কফি শপ থেকে বেরিয়ে গেল। বাড়ি ফিরে দীপ ওর মা কে সবটা খুলে বললো। সব শুনে দীপের মা বললো তুই মিহিকা কে ভালোবাসিস। দীপ বললো হ্যাঁ তাহলে তোর দায়িত্ব হলো ওকে নরক থেকে বের করে নতুন জীবন দেয়া। মিহিকা কে নতুন জীবনে ফিরিয়ে আনাটা এত সহজ হবে না এর জন্য অনেক কষ্ট করতে হবে বুদ্ধি খাটাতে হবে সাথে সবার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখতে হবে।একটা কথা সবসময় মনে রাখবি তোর পাশে তোর মা সব সময় আছে। তোকে মিহিকার ভরসা হয়ে উঠতে হবে, তবেই ও তোর ডাকে সাড়া দেবে। পরদিন সকালে দীপ মিহিকার অফিসে গিয়ে শোনে মিহিকা আসে নি। এরপর দিনও মিহিকাকে ওর অফিসে পায় না,পর পর তিন দিন মিহিকার অফিসে যায় কিন্তু কোন খবর পায় না ওর। দীপ বহু কষ্টে মিহিকার নাম্বার জোগাড় করে, ফোন দেয় কিন্তু বার বার সুইচ অফ দেখাচ্ছে। দীপ বুঝতে পারে না মিহিকার সাথে কি ঘটেছে তবে আন্দাজ করতে পারে যে ওর সাথে খুব খারাপ কিছু ঘটেছে।দীপ মিহিকার ফোন নাম্বার ওর এক বন্ধু কে দেয় যে কি না নাম্বার থেকে অবস্থান বের করে দিতে পারে। দীপের বন্ধু জানায় মিহিকার নাম্বার শহরের শেষ প্রান্তে একটা পরিত্যাক্ত কারখানাতে দেখাচ্ছে। দীপ দ্রুত থানায় যায় থানায় গিয়ে পুলিশের সহায়তায় শহরের শেষ প্রান্তের পরিত্যক্ত কারখানা যায়। কারখানা ঢুকে দীপ দেখে মিহিকা মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে শরীরের একটা সুতাও অবশিষ্ট নেই। পাশেই ওর স্বামী পড়ে ঘুমাচ্ছে। মিহিকার সারা শরীরে অসংখ্য সিগারেটের দাগ, বেল্টের দাগ।দেখেই বোঝা যাচ্ছে মিহিকা কে ওর স্বামী প্রচুর নির্যাতন করেছে। দীপ কোন রকমে মিহিকাকে নিয়ে বেরিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যায়। হাসপাতালে ভর্তি করে ওর চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে। এরপর ওকে হাসপাতালে রেখে থানায় গিয়ে সব ফর্মালিটিজ শেষ করে আবার হাসপাতালে আসে। হাসপাতালে এসে শোনে যে মিহিকা কে ধর্ষণ করা হয়েছে। একজন ই ধর্ষণ করেছে ওকে। দ্বীপের বুঝতে আর বাকি নেই কে এই কাজ করেছে। দীপ হাসপাতালের যত ষ্টাফ আছে সবাইকে টাকা দিয়ে চুপ করিয়ে দিল।আর মিহিকা কে নিয়ে অন্য শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে ভর্তি করল। ঠিক সাতদিন পর মিহিকার জ্ঞান ফিরলেও শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে আর চিৎকার করে ওঠে। জ্ঞান ফিরলেও ভয়ে ভয়ে থাকে মিহিকা। শহরের সব বড় বড় ডাক্তারদের এক সাথে করে বোর্ড মিটিং করিয়ে মিহিকা চিকিৎসা করে। দীপের ভালোবাসায় একটু একটু করে সুস্থ হয়ে ওঠে ও। মোটামুটি কথা বলার মতো হলে মিহিকা দীপ কে বলে সেদিন তোমার সাথে কফি খেতে যাওয়া আমার বর দেখে ফেলে,ও ওখানে কিছু বলে না আমি বাসায় আসার পর আমাকে মারতে শুরু করে মারতে মারতে এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর জ্ঞান ফিরার পর আমি দেখি আমি মেঝেতে পড়ে আছি। আমার জ্ঞান ফেরার পর ও আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। তারপর আবার মেরে অজ্ঞান করে ফেলে ঐ তিন দিন আমার কাছে ছিল মৃত্যুর যন্ত্রনার সমান। দীপ পুরো কথা গুলো ভিডিও রেকর্ড করে পাঠায়। মিহিকার সুস্থ হতে প্রায় এক বছর লাগে। এর মধ্যে দীপ ওর ডিভোর্স করিয়ে সুস্থ করে শহরে ফিরিয়ে আনে। এরপর দীপের বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে মিহিকা কে বিয়ে করে। মোটামুটি কাছের কিছু লোকজন কে ডেকে দুপুরে খাবার আয়োজন। বিকালে থেকে দীপের কোন খোঁজ নেই। মিহিকা বার বার দীপের মা কে বোন কে জিজ্ঞেস করছে দীপ কোথায়?দীপের মা আর বোন বারবার এড়িয়ে যাচ্ছে। রাত নয়টার দিকে খাবার খেয়ে মিহিকা বসে আছে দীপের অপেক্ষা এবার বেশ চিন্তা হচ্ছে ওর। ঘড়ির কাঁটায় রাত এগারোটা। ওর ননদ ওর রুমে এসে চোখে কাপড় দিয়ে বেঁধে হাত ধরে গাড়িতে তুললো। মিহিকা বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে। ও গাড়িতে ওঠার সাথে সাথে গাড়ি স্টার্ট দিল। প্রায় একঘন্টা পর ওকে কেউ গাড়ি থেকে নামালো। এরপর আর কিছু দূর কেউ এসে চোখ থেকে বাঁধন খুলে দিল। মিহিকা দেখে ও একটা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে ওর সামনে একটা নৌকা ফুল দিয়ে সাজানো আর পাশে দীপ দাঁড়িয়ে। এই সবের মানে কি? আজ সারারাত আমারা নদীতে ভেসে বেড়াব এখন বলো কেমন লাগলো সারপ্রাইজ বিকেলে থেকে বন্ধুদের সাথে মিলে তোমার জন্য করেছি। নাও এখন নৌকায় ওঠো। সারারাত নৌকায় চড়ে নদীর বুকে ভেসে সকালের সোনা আলো গায়ে মেখে বাড়ি ফিরল একজোড়া কপোত কপোতী।
লেখিকা: মোনালী
পর্ব:০২
কাউকে ভালোবাসাটা অন্যায় নয়, কিন্তু তুই একটা আস্ত ছাগল। কেন এই কথা বলছ কেন? এতদিন ধরে একটা মেয়ের পিছে ঘুরছিস অথচ কথা বলেছিস একদিন। তুই তো ওর অফিস চিনিস তোর উচিৎ ছিল ওকে নিয়ে একদিন কফি খেতে যাওয়া। এই কথাটা তো একদিন ও মাথায় আসেনি। ধন্যবাদ আমার প্রিয় আম্মাজান। ধন্যবাদ দিতে হবে না বরং টাকা লাগবে কি না বল? না মা আপাতত টাকা লাগবে না। আচ্ছা ঠিক আছে আমি গেলাম তুই তোর কাজ কর। পরদিন বিকেলে দীপ তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেরিয়ে মনমোহিনীর অফিসের সামনে যায়। অফিস থেকে বেরিয়ে মিহিকা দেখে দীপ ওর অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আরে আপনি আজ এই সময়ে কি মনে করে? এমনি ভাবলাম অনেক দিন কফি খাওয়া হয় না ভাবলাম একা একা কফি খাব তার চেয়ে ভালো আপনার সাথে কফি খাওয়া যাক আপনার কোন আপত্তি নেই তো। আরে না কিসের আপত্তি থাকবে চলুন কফি খাওয়া যাক। দীপ আর মিহিকা একটা কফি শপে যায় দীপ দু'টো কফির আর্ডার দিয়ে দুজন গল্প করতে থাকে। এরপর থেকে মাঝে মাঝে দীপ আর ওর মনমোহীনি কফি খেতে যায়। আজও দীপ আর মিহিকা কফি খেতে যায়। কফি শপে গিয়ে দীপ কফির আর্ডার দেয়, দীপ আর মিহিকা এখন বেশ ভালো বন্ধু। মিহিকা দীপকে বলে আমি জানি তুমি আমাকে ভালবাস আমাকে বিয়ে করতে চাও। তুমি কি করে বুঝলে? আমি একটা মেয়ে, কোন ছেলে আমাকে ভালোবাসলে আমি ঠিকই বুঝতে পারি। তোমাকে আজ আমার কথা বলি তাহলে আমর জন্ম একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে। মা-বাবার একমাত্র সন্তান।বাবা যা ইনকাম করতেন তা দিয়ে আমাদের বেশ ভালোই চলত। ধীরে আমি বড় হতে লাগলাম আমার ভবিষ্যতের জন্য বাবা কাজের পরিমাণ বাড়িয়ে দিল তার ফলে মায়ের সাথে বাবার একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। মা পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। যখন বাবা পুরো বিষয়টা বুঝতে পারলেন ততদিনে বাবা আর মায়ের মধ্যে বিন্দু মাত্র ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই। একপ্রকার জোর করেই মা বাবা কে ডিভোর্স দিয়ে আমাকে ছেড়েই চলে যান। তখন আমার বয়স সাত বছর ছিল। বাবা-মায়ের ডিভোর্সের পর আমার স্থান হয় বাবার কাছে। দুই মাস পর বাবা আবার বিয়ে করেন, নতুন মা আমাকে পছন্দ ও করত না আবার অত্যাচার ও করত না। বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে আমি কখনোই মা বলি নেই। সব সময় আন্টি বলতাম,তবে সেই বয়সেই বুঝে গেছিলাম এখন থেকে আমার নিজের খেয়াল আমাকেই রাখতে হবে। এক প্রকার অবহেলায় বড় হয়ে ওঠা আমার। সুন্দরী হবার কারণে তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় এক ধনী পরিবারের ছেলের সাথে বিয়ের প্রস্তাব আসে। কোন খোঁজ খবর না নিয়ে ই আমার বিয়ে দিয়ে দেয় বাবা। বিয়ের মাস খানেক পর বুঝতে পারলাম যে আমার বর একজন নেশাগ্রস্ত ব্যাক্তি শুধু তাই নয় রীতিমতো সে আমাকে সন্দেহ করতে শুরু করে। সন্দেহের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে।এই অবস্থার মধ্যেই আমি পড়াশোনা শেষ করি। ওর বাবা মা কে বললে তারা বলতেন মানিয়ে নিতে। ধীরে ধীরে ও বাড়ি আসা বন্ধ করে দেয় দুই তিন সপ্তাহ পর একবার বাড়ি আসে। বাড়ি এসেই সন্দেহ আর সন্দেহ,এই অবস্থার থেকে মুক্তি পেতে ই আমার চাকরি করা। সব শুনে দীপ কোন কথা না বলে কফি শেষ করে কফি শপ থেকে বেরিয়ে গেল। বাড়ি ফিরে দীপ ওর মা কে সবটা খুলে বললো। সব শুনে দীপের মা বললো তুই মিহিকা কে ভালোবাসিস। দীপ বললো হ্যাঁ তাহলে তোর দায়িত্ব হলো ওকে নরক থেকে বের করে নতুন জীবন দেয়া। মিহিকা কে নতুন জীবনে ফিরিয়ে আনাটা এত সহজ হবে না এর জন্য অনেক কষ্ট করতে হবে বুদ্ধি খাটাতে হবে সাথে সবার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখতে হবে।একটা কথা সবসময় মনে রাখবি তোর পাশে তোর মা সব সময় আছে। তোকে মিহিকার ভরসা হয়ে উঠতে হবে, তবেই ও তোর ডাকে সাড়া দেবে। পরদিন সকালে দীপ মিহিকার অফিসে গিয়ে শোনে মিহিকা আসে নি। এরপর দিনও মিহিকাকে ওর অফিসে পায় না,পর পর তিন দিন মিহিকার অফিসে যায় কিন্তু কোন খবর পায় না ওর। দীপ বহু কষ্টে মিহিকার নাম্বার জোগাড় করে, ফোন দেয় কিন্তু বার বার সুইচ অফ দেখাচ্ছে। দীপ বুঝতে পারে না মিহিকার সাথে কি ঘটেছে তবে আন্দাজ করতে পারে যে ওর সাথে খুব খারাপ কিছু ঘটেছে।দীপ মিহিকার ফোন নাম্বার ওর এক বন্ধু কে দেয় যে কি না নাম্বার থেকে অবস্থান বের করে দিতে পারে। দীপের বন্ধু জানায় মিহিকার নাম্বার শহরের শেষ প্রান্তে একটা পরিত্যাক্ত কারখানাতে দেখাচ্ছে। দীপ দ্রুত থানায় যায় থানায় গিয়ে পুলিশের সহায়তায় শহরের শেষ প্রান্তের পরিত্যক্ত কারখানা যায়। কারখানা ঢুকে দীপ দেখে মিহিকা মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে শরীরের একটা সুতাও অবশিষ্ট নেই। পাশেই ওর স্বামী পড়ে ঘুমাচ্ছে। মিহিকার সারা শরীরে অসংখ্য সিগারেটের দাগ, বেল্টের দাগ।দেখেই বোঝা যাচ্ছে মিহিকা কে ওর স্বামী প্রচুর নির্যাতন করেছে। দীপ কোন রকমে মিহিকাকে নিয়ে বেরিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যায়। হাসপাতালে ভর্তি করে ওর চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে। এরপর ওকে হাসপাতালে রেখে থানায় গিয়ে সব ফর্মালিটিজ শেষ করে আবার হাসপাতালে আসে। হাসপাতালে এসে শোনে যে মিহিকা কে ধর্ষণ করা হয়েছে। একজন ই ধর্ষণ করেছে ওকে। দ্বীপের বুঝতে আর বাকি নেই কে এই কাজ করেছে। দীপ হাসপাতালের যত ষ্টাফ আছে সবাইকে টাকা দিয়ে চুপ করিয়ে দিল।আর মিহিকা কে নিয়ে অন্য শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে ভর্তি করল। ঠিক সাতদিন পর মিহিকার জ্ঞান ফিরলেও শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে আর চিৎকার করে ওঠে। জ্ঞান ফিরলেও ভয়ে ভয়ে থাকে মিহিকা। শহরের সব বড় বড় ডাক্তারদের এক সাথে করে বোর্ড মিটিং করিয়ে মিহিকা চিকিৎসা করে। দীপের ভালোবাসায় একটু একটু করে সুস্থ হয়ে ওঠে ও। মোটামুটি কথা বলার মতো হলে মিহিকা দীপ কে বলে সেদিন তোমার সাথে কফি খেতে যাওয়া আমার বর দেখে ফেলে,ও ওখানে কিছু বলে না আমি বাসায় আসার পর আমাকে মারতে শুরু করে মারতে মারতে এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর জ্ঞান ফিরার পর আমি দেখি আমি মেঝেতে পড়ে আছি। আমার জ্ঞান ফেরার পর ও আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। তারপর আবার মেরে অজ্ঞান করে ফেলে ঐ তিন দিন আমার কাছে ছিল মৃত্যুর যন্ত্রনার সমান। দীপ পুরো কথা গুলো ভিডিও রেকর্ড করে পাঠায়। মিহিকার সুস্থ হতে প্রায় এক বছর লাগে। এর মধ্যে দীপ ওর ডিভোর্স করিয়ে সুস্থ করে শহরে ফিরিয়ে আনে। এরপর দীপের বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে মিহিকা কে বিয়ে করে। মোটামুটি কাছের কিছু লোকজন কে ডেকে দুপুরে খাবার আয়োজন। বিকালে থেকে দীপের কোন খোঁজ নেই। মিহিকা বার বার দীপের মা কে বোন কে জিজ্ঞেস করছে দীপ কোথায়?দীপের মা আর বোন বারবার এড়িয়ে যাচ্ছে। রাত নয়টার দিকে খাবার খেয়ে মিহিকা বসে আছে দীপের অপেক্ষা এবার বেশ চিন্তা হচ্ছে ওর। ঘড়ির কাঁটায় রাত এগারোটা। ওর ননদ ওর রুমে এসে চোখে কাপড় দিয়ে বেঁধে হাত ধরে গাড়িতে তুললো। মিহিকা বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে। ও গাড়িতে ওঠার সাথে সাথে গাড়ি স্টার্ট দিল। প্রায় একঘন্টা পর ওকে কেউ গাড়ি থেকে নামালো। এরপর আর কিছু দূর কেউ এসে চোখ থেকে বাঁধন খুলে দিল। মিহিকা দেখে ও একটা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে ওর সামনে একটা নৌকা ফুল দিয়ে সাজানো আর পাশে দীপ দাঁড়িয়ে। এই সবের মানে কি? আজ সারারাত আমারা নদীতে ভেসে বেড়াব এখন বলো কেমন লাগলো সারপ্রাইজ বিকেলে থেকে বন্ধুদের সাথে মিলে তোমার জন্য করেছি। নাও এখন নৌকায় ওঠো। সারারাত নৌকায় চড়ে নদীর বুকে ভেসে সকালের সোনা আলো গায়ে মেখে বাড়ি ফিরল একজোড়া কপোত কপোতী।
Foisal Hossain, Farjana akter, Rajesh mondol, Polash howladar, Hossain molla, Palash dash, Rafi islam and লেখাটি পছন্দ করেছে
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
|
|