- Shihabun Sakibধুমকেতু
- Posts : 12
স্বর্ণমুদ্রা : 1419
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-06-16
এক কাপ চা
Wed Jun 23, 2021 8:43 pm
মাসুদ সোফায় উপুড় হয়ে পড়ে আছে।ঘুম ভাঙলো যখন তখন দিন না রাত বুঝতে পারলো না।কিন্তু অবাক হলো যে সে শুধু অন্তর্বাস পরিধান রত অবস্থায় আছে ।লজ্জা আর বিরক্তি নিয়ে রত্নাকে ডাকতে লাগলো।রত্না কাজের মেয়ে,সকালে আসে চা করে দেয়, দুপুরের খাবার রান্না করে চলে যায় আর সন্ধ্যায় রাতের খাবার রেধে বাড়ি ফিরে। মাসুদ কোনো রকমে প্যান্ট পরে রত্নাকে ডাকতে যাবে কিন্তু টি টেবিলে চা দেখে খেয়ে নিল।দেখলো আজ শনিবার,তাই অফিস বন্ধ।কিন্তু কাল রাতের কথা তার মনে আসছে না। সে সরকারি অফিস এর কলিগ,মাঝে মাঝে ফাইল সরাতে বাড়তি টাকা নেয়। অফিসের বড়ো কর্তা যেনো পিওর জান্নাতী।টুকটাক কমিশন নেয়ার চেষ্টা করে কেউ ধরা পড়লে তাকে কথা শুনিয়ে দেন।মাসুদ প্রায় লোকজনের নজর এড়িয়ে ভালই জমিয়েছে। বিয়ে নিয়ে তার মাথা ব্যাথা নেই।একটা গাড়ি কেনার জন্য জমানো আর কি!বসের কাছে ধরা খেয়ে কষ্ট ভুলতে মদ খায়।কখনো বারে,কখনো বাসায়।
রত্নাকে খুজে পেলনা কোথাও, পরে রান্না ঘরে এক ফোঁটা রক্ত আছে,সাদা মেঝেতে।হয়তো সবজি কাটতে গিয়ে ভুলে এমন হয়েছে।কিন্তু দরজা বন্ধ করতে যাবে তখনই রত্নার লাশ ওর গায়ের উপর পড়ে। ও চিৎকার দেয়, পরে মুখ চেপে ধরে নিজের ।রত্নার চোখ গুলো নেই,শরীর থেকে পচা গন্ধ আসছে।কি করবে ভেবে না পেয়ে,পুরো ঘরের জানালা,দরজা বন্ধ করে রুম পরিষ্কার করে আর লাশ বস্তায় ভরে আলমারিতে রাখে ।আর ঢাকা থেকে সোজা কক্সবাজার রিসোর্ট যায়।ওখানে আবার কিছু পুলিশ দেখে আতঙ্ক অনুভব করে।পরে, ওখানে ওর চায়ের নেশা পায়।সারাদিন এক রুমে বন্দী থেকে ক্লান্ত হয়ে গেছে। চা খেয়ে ওর ক্লান্তি কমে যায়।কিন্তু উল্টোটা হলো,বেড়ে গেলো। ঘুমিয়ে গেলো।চোখ খুলে দেখে ও নিজের বাসায়,তখন সকাল।কিন্তু সেইদিন রবিবার ছিল।পরে,আলমারি চেক করতে গিয়ে বিশ্রী গন্ধে বমি করে ফেললো । পরে দেখলো যে ওর জামা কাপড় ভরা suitt কেস নেই যদিও সেই রিসোর্ট এর পাতলা জামা আর হাফপ্যান্ট পরে আছে। আবার এদিকওদিক উকি দিলো। আস্তে করে বেরিয়ে গেলো।এইবার সোজা গ্রামে গেলো,সেই মুন্সিপাড়া।ওখানে গিয়ে দেখলো ওর মা ওকে দেখে খুব খুশি। একমাত্র ছেলে ৬ বছর পর এসেছে।তাই অনেক আলাপ করলো।এক কাপ চা চেয়েছিল,কিন্তু বাবা নেই,মায়ের চায়ের নেশা নেই।আবার পুলিশের ভয়ে বের হতে পারেনা।কিন্তু ঘুমিয়ে গেল ভোর রাতে।তাকালো তখন দেখল যে ও ঢাকার নিজের ফ্ল্যাটে,রত্না ওকে চা করে দিলো।ওর হতভম্ব মুখ দেখে রত্না হেসে ফেলে। কিন্তু সোফা থেকে ধপাস করে পরে গেলো।দেখলো ও জেলে। পরে খেয়াল করলো,যে ওকে মানসিক হাসপাতাল থেকে জেলে পাঠানো হয়েছে। ওর নামে দুর্নীতি ও রত্না হত্যা মামলা করা হয়েছে।পরে,এক কনস্টেবল একটা কাগজ দিলো।সব পরে বুঝতে পারলো,কমিশনার বললো,আমায় চিনতে পারছিস? তোর প্রেমের ধোঁকা খেয়ে আমার কলেজ পড়ুয়া বোন আত্মহত্যা করেছিল।আমি তোকে মনোবিদ আর ড্রাগ দিয়ে মাস খানেক কষ্ট দিয়েছি।বিয়ের নামে ধর্ষণ করেছিস আমার বোনকে।রত্না সামিয়াকে পটিয়ে তোর কাছে এনে দিয়েছে।রত্নার শরীর আমি হাসপাতালে ডোনেট করেছি। জেলে পচে মর।তোর মা জানলে হার্ট অ্যাটাকে এমনি মারা যাবে।
সমাপ্ত
রত্নাকে খুজে পেলনা কোথাও, পরে রান্না ঘরে এক ফোঁটা রক্ত আছে,সাদা মেঝেতে।হয়তো সবজি কাটতে গিয়ে ভুলে এমন হয়েছে।কিন্তু দরজা বন্ধ করতে যাবে তখনই রত্নার লাশ ওর গায়ের উপর পড়ে। ও চিৎকার দেয়, পরে মুখ চেপে ধরে নিজের ।রত্নার চোখ গুলো নেই,শরীর থেকে পচা গন্ধ আসছে।কি করবে ভেবে না পেয়ে,পুরো ঘরের জানালা,দরজা বন্ধ করে রুম পরিষ্কার করে আর লাশ বস্তায় ভরে আলমারিতে রাখে ।আর ঢাকা থেকে সোজা কক্সবাজার রিসোর্ট যায়।ওখানে আবার কিছু পুলিশ দেখে আতঙ্ক অনুভব করে।পরে, ওখানে ওর চায়ের নেশা পায়।সারাদিন এক রুমে বন্দী থেকে ক্লান্ত হয়ে গেছে। চা খেয়ে ওর ক্লান্তি কমে যায়।কিন্তু উল্টোটা হলো,বেড়ে গেলো। ঘুমিয়ে গেলো।চোখ খুলে দেখে ও নিজের বাসায়,তখন সকাল।কিন্তু সেইদিন রবিবার ছিল।পরে,আলমারি চেক করতে গিয়ে বিশ্রী গন্ধে বমি করে ফেললো । পরে দেখলো যে ওর জামা কাপড় ভরা suitt কেস নেই যদিও সেই রিসোর্ট এর পাতলা জামা আর হাফপ্যান্ট পরে আছে। আবার এদিকওদিক উকি দিলো। আস্তে করে বেরিয়ে গেলো।এইবার সোজা গ্রামে গেলো,সেই মুন্সিপাড়া।ওখানে গিয়ে দেখলো ওর মা ওকে দেখে খুব খুশি। একমাত্র ছেলে ৬ বছর পর এসেছে।তাই অনেক আলাপ করলো।এক কাপ চা চেয়েছিল,কিন্তু বাবা নেই,মায়ের চায়ের নেশা নেই।আবার পুলিশের ভয়ে বের হতে পারেনা।কিন্তু ঘুমিয়ে গেল ভোর রাতে।তাকালো তখন দেখল যে ও ঢাকার নিজের ফ্ল্যাটে,রত্না ওকে চা করে দিলো।ওর হতভম্ব মুখ দেখে রত্না হেসে ফেলে। কিন্তু সোফা থেকে ধপাস করে পরে গেলো।দেখলো ও জেলে। পরে খেয়াল করলো,যে ওকে মানসিক হাসপাতাল থেকে জেলে পাঠানো হয়েছে। ওর নামে দুর্নীতি ও রত্না হত্যা মামলা করা হয়েছে।পরে,এক কনস্টেবল একটা কাগজ দিলো।সব পরে বুঝতে পারলো,কমিশনার বললো,আমায় চিনতে পারছিস? তোর প্রেমের ধোঁকা খেয়ে আমার কলেজ পড়ুয়া বোন আত্মহত্যা করেছিল।আমি তোকে মনোবিদ আর ড্রাগ দিয়ে মাস খানেক কষ্ট দিয়েছি।বিয়ের নামে ধর্ষণ করেছিস আমার বোনকে।রত্না সামিয়াকে পটিয়ে তোর কাছে এনে দিয়েছে।রত্নার শরীর আমি হাসপাতালে ডোনেট করেছি। জেলে পচে মর।তোর মা জানলে হার্ট অ্যাটাকে এমনি মারা যাবে।
সমাপ্ত
Shihabun Sakib, Anika afrine, Ali Ahmed, Md soikot hossain, Adriyan khan, Bayazid bostami, Sheikh shohid and লেখাটি পছন্দ করেছে
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
|
|