- Humiনবাগত
- Posts : 7
স্বর্ণমুদ্রা : 1324
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-05-29
রহস্যময় বাড়ি
Sat May 29, 2021 7:11 pm
.........রহস্যময় বাড়ি.........
লেখিকাঃমোনালী
শুভ্রোর সাথে আমার বিয়ে টা হয় পারিবারিক ভাবেই।ওরা এক ভাই আর একবোন। ওর বড় আপার বিয়ে হয়ে গেছে।উনি ইংল্যান্ড এ থাকেন।শুভ্র ওর বাবার সাথে ঠিকাদারির ব্যবসা করে।ওদের পরিবারে আমি সহ ৪ জন মাত্র মানুষ।তবে বাসায় থাকি আমি আর আমার শ্বাশুড়ি।ওর বাবা আর ও যেখানে কাজ পায় সেই খানেই থাকে।আমাদের বিয়ের ৬ মাস পরে নতুন বাড়ি কেনা হয়।পুরাতন বাড়ি থেকে নতুন বাড়িতে জিনিষপত্র নেয়ার জন্য এবং ঘর সাজানোর জন্য শুভ্রো আর বাবা বাড়িতে আসেন।সব কিছু ঠিক ঠাক করতে ১৫ দিন লাগে।নতুন বাড়িতে ওঠার পর থেকেই সন্ধ্য হলেই বাড়ির ভিতর খুব বাজে গন্ধ পাওয়া যেত।প্রথম দিন ভেবেছিলাম যে বাড়ি টা অনেক দিন বন্ধ ছিল তাই কিছু মরে পঁচে থাকতে পারে।তাই পর দিন সকালে আমি সারাবাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেওকিছুই পেলাম না।ওই দিন থেকে প্রতিদিন ই গন্ধ পেতাম।প্রথম প্রথম তেমন পাত্তা দিতাম না।ঘর দোড় গোছানো হয়ে গেলে শুভ্র আর বাবা কাজে ফিরে গেলেন।বাড়িতে রইলাম আমি আর মা।তো ওই দিন সন্ধ্যায় আমি আর মা বসে চা খাচ্ছি ঠিক সেই সময় আবার গন্ধ টা পেলাম।এই কয়েক দিনে আমি বিদঘুটে গন্ধ টার সাথে মানিয়ে নিয়েছি।কিন্তু এই বার গন্ধ টা মা পেলেন।তিনি আমাকে বললেন ইরিনা তুমি কি একটখ গন্ধ পাচ্ছ? আমি বললাম যে হ্যা মা।তখন আমি আর মা মিলে সারা বাড়ি খুজলাম কিন্তু কিছুই পেলাম না।ধীরে ধীরে গন্ধ টা তীব্র থেকে তীব্রতর হলো।তখন মা বললেন যে কোন মানুষ কে পোড়ালে এমন গন্ধ বের হয়।আমি বললাম আপনি কি ভাবে জানলেন তিনি বললেন যে তিনি যেই স্কুলে পড়তেন সেই স্কুল এর পিছনে শ্মশান ছিল তাই তিনি গন্ধ টা চেনেন। হয়তো খুব কাছেই কোন শ্মশান আছে সেখান থেকে গন্ধ আসছে? আমি বললাম কিন্তু মা গন্ধটা বাড়ির ভেতর থেকে আসছে আরে না বউ মা তোমার মনের ভুল। হতেই পারে আমার মনের ভুল? পরদিন সকালে নাস্তা সেরে শ্বাশুড়ি মা বললেন ইরিনা প্রায় কুঁড়ি দিনের মতো এই এলাকাতে এসেছি কিন্তু এখনো এলাকাটা ঘুরে দেখা হয় বাজার, মুদিখানার দোকানে কোথায় আছে তাও জানি না তোমার শ্বশুর যাবার আগে বাজার করে দিয়ে গেছিলেন সেগুলো শেষ হলে তো আমাদেরই বাজার করতে হবে কি বলো? আচ্ছা মা আমি এখন তৈরি হয়ে আসছি। এই বলে আমি রুমে গিয়ে দ্রুত তৈরি হয়ে মা কে বাক দিলাম মা বললেন ইরিনা তুমি বের হও আমি আসছি। দরজা খুলতেই দেখি অনেক টা ছাই আর মানুষের মাথার খুলি পড়ে আছে। হঠাৎ এই দৃশ্য দেখে ভয়ে এক চিৎকার দেই আমার চিৎকার শুনে মা( আমার শ্বাশুড়ি) দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে? আমি ওনাকে জড়িয়ে ধরে ভয়ে কাঁপতে থাকি, কিছু সময় পর শান্ত হলে মা জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে? দরজার সামনে অনেকখানি ছাই আর মানুষের মাথার খুলি পড়ে আছে। মা বললেন কোথায় ছাই আর মাথার খুলি কিছুই তো নাই। আমি ও দেখলাম সবকিছু ঠিকঠাক আছে কোথাও কিছু নেই। মা বললেন ও কিছু না কি দেখতে কি দেখছ? কিন্তু মা আমি সত্যি বলছি দরজার সামনে ছাই আর মানুষের মাথার খুলি ছিল। তা ছিল যখন এখন কোথায় গেল? আমি আর কথা বাড়ালাম না। প্রায় বারোটা পর্যন্ত আমি আর মা পুরো এলাকা ঘুরে দেখলাম। পুরো এলাকা তে কোথাও কোন শ্মশান নেই? একটা হোটেল থেকে দুপুরের খাবার কিনে বাড়ি ফিরলাম। দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সন্ধ্যা থেকে আবার সেই গন্ধটা ফিরে এলো। কেমন যেন ভয় ভয় করতে লাগলো, কিন্তু শ্বাশুড়ি মা কে কিছুই বললাম না। রাতে শুভ্রো ফোন দিলে ওকে সবটা খুলে বললাম সবটা শুনে বিষয়টা পাত্তাও দিলেন না।পরদিন সকালে মা( মানে আমার শ্বাশুড়ী) ও দেখলেন অনেক খানি ছাই আর মানুষের হাড়।তিনি আমাকে ডাকার জন্য ভিতরে গেলে আমরা এসে দেখি কিছুই নেই।তিনি সাথে সাথে বাবা কে মানে( আমার শ্বশুর মশাই কে ফোন দিলেন) তিনি ও পাত্তা দিলেন না।ওই দিন থেকে রাতে ভয়ংকর সব স্বপ্ন দেখতে লাগলাম আমি আর মা।প্রচণ্ড ভয়ের মধ্যে দিয়ে আমরা দিন কাটাতে লাগলাম।খুব দরকার ছাড়া আমরা কেউ বাহিরে যাই না।আর বাহিরে গেলেও এক সাথে যাই।সেই দিন বিকালে আমার খালাতো দেবর ফোন দিয়ে বললেন যে আমার খালা শ্বাশুড়ি অনেক অসুস্থ তিনি হাসপাতালে ভর্তি। বোন অসুস্থ শুনে কোন বোন ঠিক থাকতে পারে না। মাও তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলেন আর যাবার সময় বলে গেলেন তিনি সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসবেন।তখন প্রায় সাড়ে কি সাতটা হবে আমি চা বানিয়ে বসে বসে চা খাচ্ছি।হঠাৎ ই লোড সেডিং হয়, কিছু সময় পর বেশ কয়েকটা আলো জ্বলে ওঠে।সেই দেখতে পাই যে আমি একটাশ্মশানঘাটে দাঁড়িয়ে আছি।আর আমার চারিদিক সারি সারি মানুষ পোড়ানো হচ্ছে।কিন্তু কাঠ দিয়ে না এক জন মানুষ কে পোড়াচ্ছে অন্য মানুষের হাত পা দিয়ে।হঠাৎ কিছু জ্বলন্ত মানুষ অত্যন্ত বীভৎস দেখতে এত টা বাজে দেখতে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব না। আমাকে ধরবার জন্য আসছে, আমি পালানো চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না।ওরা আমাকে ধরে চিতাচুল্লিতে তুলে দেয়,যেন আমাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেবে, আমি নেমে যেতে চাইছি কিন্তু পাড়ছি না যেন মনে হচ্ছে কেউ আমাকে শক্ত করে বেঁধে রেখেছে।চিতাতে আগুন দেবার আগেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি আমার রুমের খাটে শুয়ে পাশে আমার শ্বাশুরি মা আর আমার খালাতো দেবর।মা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছিল আমার সাথে আর বাহিরে আমি কী করছিলাম।আমি তাকে সব খুলে বললাম সবটা শুনে মা ও খুব ভয় পেলেন।ওই রাতেই আমি আর মা ওই বাড়ি ছেড়ে আমার বাবার বাড়িতে উঠলাম। কোন মতন ঐ রাত কাটিয়ে দিলাম। পর দিন সকালে সবার আগে আমার বড় চাচা শ্বশুর কে ফোন দিয়ে সবটা বললাম। আমার চাচা শ্বশুড় এই সব ভৌতিক বিষয় নিয়ে চর্চা করেন। সব শুনে চাচু বললেন কাল উনি আমাদের সাথে আমাদের বাড়ি যাবেন। পরদিন সকালে আমি, মা(আমার শ্বাশুড়ি) আর চাচু (আমার বড় চাচা শ্বশুড়) আমাদের বাড়িতে গেলাম। বাড়িতে পা দিয়েই চাচু বললেন যে এই খানে আগে একটা শ্মশান ছিল।আর শ্মশানের চিতাচুল্লির ওপর বাড়ি টি তৈরি করা হয়েছে।তিনি আরো বললেন যে এই বাড়ি টা খুব ই খারাপ, এই খানে থাকলে আমাদের প্রান নাশের আশংকা রয়েছে।আর যার জায়গা ছিল তিনিও জানতেন না বিষয়টাউনি আমার স্বামী আর শ্বশুরমশাই কে খুব বকলেন আর দ্রুত বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিলেন। মা বললেন এত দ্রুত বাড়ি কোথায় পাব?আর এই বাড়িতে থাকাও অসম্ভব। চাচু বললেন আপাতত তোমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো গুছিয়ে নাও এরপর বউমা ওর বাবার বাড়িতে থাকুক আর তুমি আমাদের বাড়িতে। খুব দ্রুত আমি আর মা জামা কাপড় গুছিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম।
লেখিকাঃমোনালী
শুভ্রোর সাথে আমার বিয়ে টা হয় পারিবারিক ভাবেই।ওরা এক ভাই আর একবোন। ওর বড় আপার বিয়ে হয়ে গেছে।উনি ইংল্যান্ড এ থাকেন।শুভ্র ওর বাবার সাথে ঠিকাদারির ব্যবসা করে।ওদের পরিবারে আমি সহ ৪ জন মাত্র মানুষ।তবে বাসায় থাকি আমি আর আমার শ্বাশুড়ি।ওর বাবা আর ও যেখানে কাজ পায় সেই খানেই থাকে।আমাদের বিয়ের ৬ মাস পরে নতুন বাড়ি কেনা হয়।পুরাতন বাড়ি থেকে নতুন বাড়িতে জিনিষপত্র নেয়ার জন্য এবং ঘর সাজানোর জন্য শুভ্রো আর বাবা বাড়িতে আসেন।সব কিছু ঠিক ঠাক করতে ১৫ দিন লাগে।নতুন বাড়িতে ওঠার পর থেকেই সন্ধ্য হলেই বাড়ির ভিতর খুব বাজে গন্ধ পাওয়া যেত।প্রথম দিন ভেবেছিলাম যে বাড়ি টা অনেক দিন বন্ধ ছিল তাই কিছু মরে পঁচে থাকতে পারে।তাই পর দিন সকালে আমি সারাবাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেওকিছুই পেলাম না।ওই দিন থেকে প্রতিদিন ই গন্ধ পেতাম।প্রথম প্রথম তেমন পাত্তা দিতাম না।ঘর দোড় গোছানো হয়ে গেলে শুভ্র আর বাবা কাজে ফিরে গেলেন।বাড়িতে রইলাম আমি আর মা।তো ওই দিন সন্ধ্যায় আমি আর মা বসে চা খাচ্ছি ঠিক সেই সময় আবার গন্ধ টা পেলাম।এই কয়েক দিনে আমি বিদঘুটে গন্ধ টার সাথে মানিয়ে নিয়েছি।কিন্তু এই বার গন্ধ টা মা পেলেন।তিনি আমাকে বললেন ইরিনা তুমি কি একটখ গন্ধ পাচ্ছ? আমি বললাম যে হ্যা মা।তখন আমি আর মা মিলে সারা বাড়ি খুজলাম কিন্তু কিছুই পেলাম না।ধীরে ধীরে গন্ধ টা তীব্র থেকে তীব্রতর হলো।তখন মা বললেন যে কোন মানুষ কে পোড়ালে এমন গন্ধ বের হয়।আমি বললাম আপনি কি ভাবে জানলেন তিনি বললেন যে তিনি যেই স্কুলে পড়তেন সেই স্কুল এর পিছনে শ্মশান ছিল তাই তিনি গন্ধ টা চেনেন। হয়তো খুব কাছেই কোন শ্মশান আছে সেখান থেকে গন্ধ আসছে? আমি বললাম কিন্তু মা গন্ধটা বাড়ির ভেতর থেকে আসছে আরে না বউ মা তোমার মনের ভুল। হতেই পারে আমার মনের ভুল? পরদিন সকালে নাস্তা সেরে শ্বাশুড়ি মা বললেন ইরিনা প্রায় কুঁড়ি দিনের মতো এই এলাকাতে এসেছি কিন্তু এখনো এলাকাটা ঘুরে দেখা হয় বাজার, মুদিখানার দোকানে কোথায় আছে তাও জানি না তোমার শ্বশুর যাবার আগে বাজার করে দিয়ে গেছিলেন সেগুলো শেষ হলে তো আমাদেরই বাজার করতে হবে কি বলো? আচ্ছা মা আমি এখন তৈরি হয়ে আসছি। এই বলে আমি রুমে গিয়ে দ্রুত তৈরি হয়ে মা কে বাক দিলাম মা বললেন ইরিনা তুমি বের হও আমি আসছি। দরজা খুলতেই দেখি অনেক টা ছাই আর মানুষের মাথার খুলি পড়ে আছে। হঠাৎ এই দৃশ্য দেখে ভয়ে এক চিৎকার দেই আমার চিৎকার শুনে মা( আমার শ্বাশুড়ি) দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে? আমি ওনাকে জড়িয়ে ধরে ভয়ে কাঁপতে থাকি, কিছু সময় পর শান্ত হলে মা জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে? দরজার সামনে অনেকখানি ছাই আর মানুষের মাথার খুলি পড়ে আছে। মা বললেন কোথায় ছাই আর মাথার খুলি কিছুই তো নাই। আমি ও দেখলাম সবকিছু ঠিকঠাক আছে কোথাও কিছু নেই। মা বললেন ও কিছু না কি দেখতে কি দেখছ? কিন্তু মা আমি সত্যি বলছি দরজার সামনে ছাই আর মানুষের মাথার খুলি ছিল। তা ছিল যখন এখন কোথায় গেল? আমি আর কথা বাড়ালাম না। প্রায় বারোটা পর্যন্ত আমি আর মা পুরো এলাকা ঘুরে দেখলাম। পুরো এলাকা তে কোথাও কোন শ্মশান নেই? একটা হোটেল থেকে দুপুরের খাবার কিনে বাড়ি ফিরলাম। দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সন্ধ্যা থেকে আবার সেই গন্ধটা ফিরে এলো। কেমন যেন ভয় ভয় করতে লাগলো, কিন্তু শ্বাশুড়ি মা কে কিছুই বললাম না। রাতে শুভ্রো ফোন দিলে ওকে সবটা খুলে বললাম সবটা শুনে বিষয়টা পাত্তাও দিলেন না।পরদিন সকালে মা( মানে আমার শ্বাশুড়ী) ও দেখলেন অনেক খানি ছাই আর মানুষের হাড়।তিনি আমাকে ডাকার জন্য ভিতরে গেলে আমরা এসে দেখি কিছুই নেই।তিনি সাথে সাথে বাবা কে মানে( আমার শ্বশুর মশাই কে ফোন দিলেন) তিনি ও পাত্তা দিলেন না।ওই দিন থেকে রাতে ভয়ংকর সব স্বপ্ন দেখতে লাগলাম আমি আর মা।প্রচণ্ড ভয়ের মধ্যে দিয়ে আমরা দিন কাটাতে লাগলাম।খুব দরকার ছাড়া আমরা কেউ বাহিরে যাই না।আর বাহিরে গেলেও এক সাথে যাই।সেই দিন বিকালে আমার খালাতো দেবর ফোন দিয়ে বললেন যে আমার খালা শ্বাশুড়ি অনেক অসুস্থ তিনি হাসপাতালে ভর্তি। বোন অসুস্থ শুনে কোন বোন ঠিক থাকতে পারে না। মাও তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলেন আর যাবার সময় বলে গেলেন তিনি সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসবেন।তখন প্রায় সাড়ে কি সাতটা হবে আমি চা বানিয়ে বসে বসে চা খাচ্ছি।হঠাৎ ই লোড সেডিং হয়, কিছু সময় পর বেশ কয়েকটা আলো জ্বলে ওঠে।সেই দেখতে পাই যে আমি একটাশ্মশানঘাটে দাঁড়িয়ে আছি।আর আমার চারিদিক সারি সারি মানুষ পোড়ানো হচ্ছে।কিন্তু কাঠ দিয়ে না এক জন মানুষ কে পোড়াচ্ছে অন্য মানুষের হাত পা দিয়ে।হঠাৎ কিছু জ্বলন্ত মানুষ অত্যন্ত বীভৎস দেখতে এত টা বাজে দেখতে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব না। আমাকে ধরবার জন্য আসছে, আমি পালানো চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না।ওরা আমাকে ধরে চিতাচুল্লিতে তুলে দেয়,যেন আমাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেবে, আমি নেমে যেতে চাইছি কিন্তু পাড়ছি না যেন মনে হচ্ছে কেউ আমাকে শক্ত করে বেঁধে রেখেছে।চিতাতে আগুন দেবার আগেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি আমার রুমের খাটে শুয়ে পাশে আমার শ্বাশুরি মা আর আমার খালাতো দেবর।মা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছিল আমার সাথে আর বাহিরে আমি কী করছিলাম।আমি তাকে সব খুলে বললাম সবটা শুনে মা ও খুব ভয় পেলেন।ওই রাতেই আমি আর মা ওই বাড়ি ছেড়ে আমার বাবার বাড়িতে উঠলাম। কোন মতন ঐ রাত কাটিয়ে দিলাম। পর দিন সকালে সবার আগে আমার বড় চাচা শ্বশুর কে ফোন দিয়ে সবটা বললাম। আমার চাচা শ্বশুড় এই সব ভৌতিক বিষয় নিয়ে চর্চা করেন। সব শুনে চাচু বললেন কাল উনি আমাদের সাথে আমাদের বাড়ি যাবেন। পরদিন সকালে আমি, মা(আমার শ্বাশুড়ি) আর চাচু (আমার বড় চাচা শ্বশুড়) আমাদের বাড়িতে গেলাম। বাড়িতে পা দিয়েই চাচু বললেন যে এই খানে আগে একটা শ্মশান ছিল।আর শ্মশানের চিতাচুল্লির ওপর বাড়ি টি তৈরি করা হয়েছে।তিনি আরো বললেন যে এই বাড়ি টা খুব ই খারাপ, এই খানে থাকলে আমাদের প্রান নাশের আশংকা রয়েছে।আর যার জায়গা ছিল তিনিও জানতেন না বিষয়টাউনি আমার স্বামী আর শ্বশুরমশাই কে খুব বকলেন আর দ্রুত বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিলেন। মা বললেন এত দ্রুত বাড়ি কোথায় পাব?আর এই বাড়িতে থাকাও অসম্ভব। চাচু বললেন আপাতত তোমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো গুছিয়ে নাও এরপর বউমা ওর বাবার বাড়িতে থাকুক আর তুমি আমাদের বাড়িতে। খুব দ্রুত আমি আর মা জামা কাপড় গুছিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম।
Khondkar, rajib haldar, Onu kotha, Tonushri D., Shuvo, Hasibul hasan, Nasim and লেখাটি পছন্দ করেছে
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
|
|