- Humiনবাগত
- Posts : 7
স্বর্ণমুদ্রা : 1512
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-05-29
মনমোহিনী
Sat Jun 05, 2021 3:20 pm
মন মোহীনি
লেখিকা: মোনালী
পর্ব:০১
দীপ এই দীপ উঠে পড় বাবা তোর না দশটায় জরুরি মিটিং আছে অফিসে যেতে দেরি হলে কিন্তু বকা তুই খাবি আমি না। মায়ের ডাক শুনে ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নিয়ে দেখে দশটা বাজতে কুঁড়ি মিনিট আছে। বিছানা ছেড়ে উঠে কোন রকম হাতমুখ ধুয়ে গোসল করে রেডি হয়ে দৌড় লাগায়। দাঁড়া সকালের খাবার খেয়ে যা ,না মা এখন খেতে গেলে দেরি হয়ে যাবে আর তখন হিটলার মহাশয় আমার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করবে। হিটলার কি রে উনি তোর বাবা ,যা করে তোর ভালোর জন্যই করেন। আর শোন বাসার গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে তাই সি,এন,জি, তে যেতে হবে তোকে। ধুত্তেরি কি,আচ্ছা বাই বাই বলে বেরিয়ে গেল। শুভ্র দীপ দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে সবার ছোট। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট থেকে মাষ্ট্রার্স শেষ করে বাবার ব্যাবসার যোগ দিয়েছে। আজ সত্যি বাবার হাতে বকা খেতে হবে ,এই সময় গাড়িটাকে ও নষ্ট হতে হলো। বাসা থেকে বেরিয়ে হেঁটে হেঁটে এলাকার মোড়ে যেতেই একটা বাস দাঁড়িয়ে আছে বাসটা ওর অফিসের দিকেই যাবে, কোন কিছু না ভেবেই উঠে পড়ে। বাসে উঠতেই দেখে একটা অপ্সরার সুন্দরী মেয়ে বসে আছে। মেয়েটাকে প্রথম দেখেই প্রেমে পড়ে যায় ও, যাকে বলে প্রথম দেখায় প্রেম। পুরো পথ দুজন একসাথে গেলেও মেয়েটার সাথে কথা বলার সুযোগ হয়ে ওঠে না দীপের। অফিসের মিটিং ও ঠিক মতো মন দিতে পারছে না শুধু বারবার ঘুরেফিরে সেই মেয়েটার চেহারা চোখের সামনে ভেসে উঠছে। কোন ভাবেই মন থেকে সরাতে পারছেনা মেয়েটাকে।এক প্রকার অস্হিরতা নিয়ে পুরো মিটিংটা শেষ করে। মিটিং শেষ নিজের কেবিনে গিয়ে বসে বসে মেয়েটা নিয়ে ভাবতে থাকে দীপ। নানান রকমের কল্পনা করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে যায় টের ও পায় না। এই যে নবাব পুত্র অফিস টাইম যে শেষ হয়ে গেছে সেটা কি মাথায় আছে না কি সারা রাত অফিসে কাটাবার পরিকল্পনা আছে? কথা গুলো দীপ কে ওর বাবা বলছিলো। বাবার কথায় বাস্তবে ফিরে দীপ,আজ কি হলো তোমার? শরীর খারাপ না কি? কেন বাবা এমন বলছ কেন? যে ছেলেকে হাজার বকে ও সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে রাখা যায় না সেই ছেলে কি না আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে তাই বললাম। এখন চলো বাড়ি চলো। প্রথমবার দীপ ওর বাবা সাথে অফিস থেকে বাড়ি ফিরল। এদিকে বাবা ছেলে কে একসাথে ফিরতে দেখে দীপের মা বেশ অবাক হলো। আজ তোর বাবার সাথে বাড়ি ফিরলি যে শরীর ঠিক আছে তো। কি যে বলো না মা শরীর ঠিকই আছে? আচ্ছা তুই তাহলে ঘরে যা আমি নাস্তা রেডি করে তোর ঘরে দিয়ে যাব। ঠিক আছে মা আমি ঘরে যাচ্ছি। শিখা চৌধুরী (দীপের মা ) তোমার ছোট ছেলের কিছু একটা হয়েছে,কি বলছ ? কী হয়েছে আমার ছেলের? আজ অফিসের মিটিং পুরো সময় সে প্রচন্ড অস্থির আর অন্য মনষ্ক ছিলো। দেখ তোমার সাথে তো দীপ সব কিছু শেয়ার করে জিজ্ঞেস করে দেখ কী হয়েছে? আচ্ছা তুমি যাও আমি দেখছি ব্যাপার টা।বড় ছেলে আর স্বামীকে নাস্তা দিয়ে, ছোট ছেলে ঘরে যান শিখা চৌধুরী। ছেলের ঘরে গিয়ে দেখেন দীপ শুয়ে শুয়ে ফোন চালাচ্ছে। তোর বাবা বললেন তোর শরীরকা না কি ঠিক নেই, মিটিংয়ের সময় না কি বেশ অস্থির ছিল? কি হয়েছে? কিছু হয়নি তো মা। সত্যিই কিছু হয় নি, না কি আমাকে বলতে চাইছিস না? কোন সমস্যা হলে বল আমাকে। আমি তো সব সময় তোদের সাথে বন্ধুর মত মিশেছি তাই না? এখন তুই যদি তোর সমস্যা আমার সাথে শেয়ার না করে অন্য কারোর সাথে শেয়ার করিস আর আমি যদি জানতে পারি তাহলে কিন্তু আমি ভীষণ আঘাত পাব। মনে হবে যে আমি আর সব মায়েদের মত মা হয়েই আছি, আমি আমার ছেলে মেয়েদের বন্ধু হয়ে উঠতে পারি নি। তেমন কিছু নয় মা, কিছু হলে সবার আগে আমি তোমাকে জানাব। এখন নাস্তা টা করে নে। নাস্তা শেষ করেই আবার ও ঐ মেয়েটার চিন্তায় মগ্ন হলো দীপ। আচ্ছা মেয়েটার আপাতত একটা নাম দেয়া যাক,কী নাম হতে পারে? পেয়েছি মনমোহীনি। সারারাত ধরে দীপ তার মনমোহীনির কথা ভাবতে লাগলো। পরদিন সকালে দীপ গাড়িতে না গিয়ে গতকালের মতো বাসে চড়ল।আর অদ্ভুত ভাবে আজও মনমোহীনির সাথে দেখা হলো ওর। দীপ বুঝে গেল যে রোজ এই সময়ে এই বাসে চড়ে ওর মন মোহিনী কোথাও যায়। এরপর থেকে রোজ রোজ দীপ বাসে চড়ে অফিসে যেতে লাগল শুধু মাত্র মনমোহীনিকে একটা বার চোখে দেখার জন্য। ঠিক পনের দিন পর একদিন দীপ ওর মনমোহীন পাশের সিটে বসবার জায়গা পেল। সাহস করে দীপ ওর মন মোহিনীর পাশে বসে নিজে থেকেই কথা বলতে শুরু করল। আচ্ছা আপনার কি নাম? আমার নাম মিহিকা। আপনি কি করেন? এইতো ছোট একটা চাকরি করি। আপনার নাম কী? আমার নাম শুভ্র দীপ চৌধুরী, পড়াশোনা শেষ করে এখন পারিবারিক ব্যাবসা দেখছি। ওহ তাহলে তো আপনি অনেক বড় লোকের ছেলে তা নিশ্চয় আপনার গাড়ি আছে? হ্যাঁ তা আছে, তাহলে আপনি রোজ বাসে চড়ে অফিসে যান কেন? রাতে আপনাকে দেখতে পাই। মানে? মানে কিছু না আসলে সব ধরনের পরিস্থিতিতে আর সব শ্রেণীর মানুষের সাথে যাতে মানিয়ে চলতে পারি তাই আর কি বাসে যাতায়াত করা। কথা বলতে বলতে মিহিকার অফিসের সামনে বাস চলে আসে। দেখেছেন তো গল্প করতে করতে আপনার অফিস ছেড়ে আমার অফিসের সামনে চলে এলাম। ও ব্যাপার না আচ্ছা আপনার ফোন নাম্বারটা পেতে পারি? ফোন নাম্বারের দিতে বেশ ইতস্তত বোধ করছিল মিহিকা। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে দীপ বললো ঠিক আছে ফোন নাম্বার দিতে হবে না। আবার দেখা হবে কাল ভালো থাকবেন। দীপ চলে যাওয়ার পর মিহিকা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অফিসে ঢোকে। মিহিকা আর দীপের রোজই দেখা হত কথা খুব কমই হতো। কারন বেশিভাগ দিন ই ওর পাশের ছিটে কেউ না কেউ বসত। এতদিন ধরে দীপ মিহিকাকে দেখছে মেয়েটা অপ্সরা সুন্দরী হলেও মেয়েটার মধ্যে একটা চাপা কষ্ট লুকিয়ে আছে , কিন্তু কী সেই কষ্ট কে জানে। অফিস থেকে ফেরার পর দীপের মা যথারীতি ওর জন্য নাস্তা নিয়ে এলো। দীপ ওর মা কে বললো তোমার কি জরুরী কোন কাজ আছে? না তো কেন কিছু বলবি? হুম যেদিন বাড়ির গাড়ী খারাপ হয়ে গেছিলো ঐ দিন আমি সি,এন,জি এর বদলে বাসে উঠি অফিসে যাওয়ার জন্য। ঐ দিন বাসে একটা মেয়ে কে দেখি ওকে দেখেই আমি প্রেমে পড়ে যায় ,যাকে বলে প্রথম দেখায় প্রেম। সেদিন তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলে আমার কি হয়েছে আমি সেদিন তোমাকে কিছু বলতে পারি নি। কারন ওকে যদি পরদিন আর না দেখি তাই। পরদিন একই সময়ে একই বাসে উঠি আর ঐ দিনও ওর সাথে দেখা হয়,ওর সাথে দেখা করার জন্যই আমি গাড়ি ছেড়ে বাসে যাতায়াত করি। এদিন ওর সাথে আলাপ করাও সুযোগ হয় আর সেইদিনই ওর অফিস চিনে নেই। তা মেয়েটার নাম কী? মেয়েটার নাম মিহিকা, কিন্তু আমি ওর নাম দিয়েছি মনমোহিনী। আর কিছু জানিস মেয়েটার ব্যাপারে,না মা জানি না। তোকে আমার ছেলে বলে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগছে। কেন মা আমি কী কোন ভুল করেছি? হুম করেছিসই তো। কাউকে পছন্দ করা কি খুব অন্যায়?
চলবে
লেখিকা: মোনালী
পর্ব:০১
দীপ এই দীপ উঠে পড় বাবা তোর না দশটায় জরুরি মিটিং আছে অফিসে যেতে দেরি হলে কিন্তু বকা তুই খাবি আমি না। মায়ের ডাক শুনে ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নিয়ে দেখে দশটা বাজতে কুঁড়ি মিনিট আছে। বিছানা ছেড়ে উঠে কোন রকম হাতমুখ ধুয়ে গোসল করে রেডি হয়ে দৌড় লাগায়। দাঁড়া সকালের খাবার খেয়ে যা ,না মা এখন খেতে গেলে দেরি হয়ে যাবে আর তখন হিটলার মহাশয় আমার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করবে। হিটলার কি রে উনি তোর বাবা ,যা করে তোর ভালোর জন্যই করেন। আর শোন বাসার গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে তাই সি,এন,জি, তে যেতে হবে তোকে। ধুত্তেরি কি,আচ্ছা বাই বাই বলে বেরিয়ে গেল। শুভ্র দীপ দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে সবার ছোট। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট থেকে মাষ্ট্রার্স শেষ করে বাবার ব্যাবসার যোগ দিয়েছে। আজ সত্যি বাবার হাতে বকা খেতে হবে ,এই সময় গাড়িটাকে ও নষ্ট হতে হলো। বাসা থেকে বেরিয়ে হেঁটে হেঁটে এলাকার মোড়ে যেতেই একটা বাস দাঁড়িয়ে আছে বাসটা ওর অফিসের দিকেই যাবে, কোন কিছু না ভেবেই উঠে পড়ে। বাসে উঠতেই দেখে একটা অপ্সরার সুন্দরী মেয়ে বসে আছে। মেয়েটাকে প্রথম দেখেই প্রেমে পড়ে যায় ও, যাকে বলে প্রথম দেখায় প্রেম। পুরো পথ দুজন একসাথে গেলেও মেয়েটার সাথে কথা বলার সুযোগ হয়ে ওঠে না দীপের। অফিসের মিটিং ও ঠিক মতো মন দিতে পারছে না শুধু বারবার ঘুরেফিরে সেই মেয়েটার চেহারা চোখের সামনে ভেসে উঠছে। কোন ভাবেই মন থেকে সরাতে পারছেনা মেয়েটাকে।এক প্রকার অস্হিরতা নিয়ে পুরো মিটিংটা শেষ করে। মিটিং শেষ নিজের কেবিনে গিয়ে বসে বসে মেয়েটা নিয়ে ভাবতে থাকে দীপ। নানান রকমের কল্পনা করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে যায় টের ও পায় না। এই যে নবাব পুত্র অফিস টাইম যে শেষ হয়ে গেছে সেটা কি মাথায় আছে না কি সারা রাত অফিসে কাটাবার পরিকল্পনা আছে? কথা গুলো দীপ কে ওর বাবা বলছিলো। বাবার কথায় বাস্তবে ফিরে দীপ,আজ কি হলো তোমার? শরীর খারাপ না কি? কেন বাবা এমন বলছ কেন? যে ছেলেকে হাজার বকে ও সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে রাখা যায় না সেই ছেলে কি না আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে তাই বললাম। এখন চলো বাড়ি চলো। প্রথমবার দীপ ওর বাবা সাথে অফিস থেকে বাড়ি ফিরল। এদিকে বাবা ছেলে কে একসাথে ফিরতে দেখে দীপের মা বেশ অবাক হলো। আজ তোর বাবার সাথে বাড়ি ফিরলি যে শরীর ঠিক আছে তো। কি যে বলো না মা শরীর ঠিকই আছে? আচ্ছা তুই তাহলে ঘরে যা আমি নাস্তা রেডি করে তোর ঘরে দিয়ে যাব। ঠিক আছে মা আমি ঘরে যাচ্ছি। শিখা চৌধুরী (দীপের মা ) তোমার ছোট ছেলের কিছু একটা হয়েছে,কি বলছ ? কী হয়েছে আমার ছেলের? আজ অফিসের মিটিং পুরো সময় সে প্রচন্ড অস্থির আর অন্য মনষ্ক ছিলো। দেখ তোমার সাথে তো দীপ সব কিছু শেয়ার করে জিজ্ঞেস করে দেখ কী হয়েছে? আচ্ছা তুমি যাও আমি দেখছি ব্যাপার টা।বড় ছেলে আর স্বামীকে নাস্তা দিয়ে, ছোট ছেলে ঘরে যান শিখা চৌধুরী। ছেলের ঘরে গিয়ে দেখেন দীপ শুয়ে শুয়ে ফোন চালাচ্ছে। তোর বাবা বললেন তোর শরীরকা না কি ঠিক নেই, মিটিংয়ের সময় না কি বেশ অস্থির ছিল? কি হয়েছে? কিছু হয়নি তো মা। সত্যিই কিছু হয় নি, না কি আমাকে বলতে চাইছিস না? কোন সমস্যা হলে বল আমাকে। আমি তো সব সময় তোদের সাথে বন্ধুর মত মিশেছি তাই না? এখন তুই যদি তোর সমস্যা আমার সাথে শেয়ার না করে অন্য কারোর সাথে শেয়ার করিস আর আমি যদি জানতে পারি তাহলে কিন্তু আমি ভীষণ আঘাত পাব। মনে হবে যে আমি আর সব মায়েদের মত মা হয়েই আছি, আমি আমার ছেলে মেয়েদের বন্ধু হয়ে উঠতে পারি নি। তেমন কিছু নয় মা, কিছু হলে সবার আগে আমি তোমাকে জানাব। এখন নাস্তা টা করে নে। নাস্তা শেষ করেই আবার ও ঐ মেয়েটার চিন্তায় মগ্ন হলো দীপ। আচ্ছা মেয়েটার আপাতত একটা নাম দেয়া যাক,কী নাম হতে পারে? পেয়েছি মনমোহীনি। সারারাত ধরে দীপ তার মনমোহীনির কথা ভাবতে লাগলো। পরদিন সকালে দীপ গাড়িতে না গিয়ে গতকালের মতো বাসে চড়ল।আর অদ্ভুত ভাবে আজও মনমোহীনির সাথে দেখা হলো ওর। দীপ বুঝে গেল যে রোজ এই সময়ে এই বাসে চড়ে ওর মন মোহিনী কোথাও যায়। এরপর থেকে রোজ রোজ দীপ বাসে চড়ে অফিসে যেতে লাগল শুধু মাত্র মনমোহীনিকে একটা বার চোখে দেখার জন্য। ঠিক পনের দিন পর একদিন দীপ ওর মনমোহীন পাশের সিটে বসবার জায়গা পেল। সাহস করে দীপ ওর মন মোহিনীর পাশে বসে নিজে থেকেই কথা বলতে শুরু করল। আচ্ছা আপনার কি নাম? আমার নাম মিহিকা। আপনি কি করেন? এইতো ছোট একটা চাকরি করি। আপনার নাম কী? আমার নাম শুভ্র দীপ চৌধুরী, পড়াশোনা শেষ করে এখন পারিবারিক ব্যাবসা দেখছি। ওহ তাহলে তো আপনি অনেক বড় লোকের ছেলে তা নিশ্চয় আপনার গাড়ি আছে? হ্যাঁ তা আছে, তাহলে আপনি রোজ বাসে চড়ে অফিসে যান কেন? রাতে আপনাকে দেখতে পাই। মানে? মানে কিছু না আসলে সব ধরনের পরিস্থিতিতে আর সব শ্রেণীর মানুষের সাথে যাতে মানিয়ে চলতে পারি তাই আর কি বাসে যাতায়াত করা। কথা বলতে বলতে মিহিকার অফিসের সামনে বাস চলে আসে। দেখেছেন তো গল্প করতে করতে আপনার অফিস ছেড়ে আমার অফিসের সামনে চলে এলাম। ও ব্যাপার না আচ্ছা আপনার ফোন নাম্বারটা পেতে পারি? ফোন নাম্বারের দিতে বেশ ইতস্তত বোধ করছিল মিহিকা। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে দীপ বললো ঠিক আছে ফোন নাম্বার দিতে হবে না। আবার দেখা হবে কাল ভালো থাকবেন। দীপ চলে যাওয়ার পর মিহিকা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অফিসে ঢোকে। মিহিকা আর দীপের রোজই দেখা হত কথা খুব কমই হতো। কারন বেশিভাগ দিন ই ওর পাশের ছিটে কেউ না কেউ বসত। এতদিন ধরে দীপ মিহিকাকে দেখছে মেয়েটা অপ্সরা সুন্দরী হলেও মেয়েটার মধ্যে একটা চাপা কষ্ট লুকিয়ে আছে , কিন্তু কী সেই কষ্ট কে জানে। অফিস থেকে ফেরার পর দীপের মা যথারীতি ওর জন্য নাস্তা নিয়ে এলো। দীপ ওর মা কে বললো তোমার কি জরুরী কোন কাজ আছে? না তো কেন কিছু বলবি? হুম যেদিন বাড়ির গাড়ী খারাপ হয়ে গেছিলো ঐ দিন আমি সি,এন,জি এর বদলে বাসে উঠি অফিসে যাওয়ার জন্য। ঐ দিন বাসে একটা মেয়ে কে দেখি ওকে দেখেই আমি প্রেমে পড়ে যায় ,যাকে বলে প্রথম দেখায় প্রেম। সেদিন তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলে আমার কি হয়েছে আমি সেদিন তোমাকে কিছু বলতে পারি নি। কারন ওকে যদি পরদিন আর না দেখি তাই। পরদিন একই সময়ে একই বাসে উঠি আর ঐ দিনও ওর সাথে দেখা হয়,ওর সাথে দেখা করার জন্যই আমি গাড়ি ছেড়ে বাসে যাতায়াত করি। এদিন ওর সাথে আলাপ করাও সুযোগ হয় আর সেইদিনই ওর অফিস চিনে নেই। তা মেয়েটার নাম কী? মেয়েটার নাম মিহিকা, কিন্তু আমি ওর নাম দিয়েছি মনমোহিনী। আর কিছু জানিস মেয়েটার ব্যাপারে,না মা জানি না। তোকে আমার ছেলে বলে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগছে। কেন মা আমি কী কোন ভুল করেছি? হুম করেছিসই তো। কাউকে পছন্দ করা কি খুব অন্যায়?
চলবে
Riaz, Hasibul hasan santo, Sk sagor, Sk imran, Raihan khan, Tanusri roi, Badol hasan and লেখাটি পছন্দ করেছে
Re: মনমোহিনী
Sat Jun 05, 2021 5:26 pm
Humi@ প্রিয় লেখক, ধারাবাহিক গল্পের জন্য একটি আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা হয়েছে। অনুগ্রহ করে আপনার গল্পটি আমাদের ধারাবাহিক ক্যাটাগরি থেকে পোস্ট করুন।
Hasibul hasan santo, Sk sagor, Sk imran, Raihan khan, Tanusri roi, Badol hasan, Mr faruk and লেখাটি পছন্দ করেছে
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum