সাদা কাগজ
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Go down
avatar
peranhafish07
ধুমকেতু
ধুমকেতু
Posts : 10
স্বর্ণমুদ্রা : 1385
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-06-16
Age : 36
Location : Dhaka, Bangladesh

অপেক্ষা Empty অপেক্ষা

Fri Jun 18, 2021 12:20 pm

একজন গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে রিজিয়ার জীবনটা অন্যদের মতই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি এক ধরণের বিরক্তিকর কাজ, মাঝে এক ঘন্টার বিরতি। সকালে চোখে ঘুম সরে যাবার আগেই গোসল সেরে নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের কাছে পুরনো এবং অপছন্দনীয় চেহারাটার দিকে তাকায় সে। শ্যামল বর্ণের চেহারা, কিঞ্চিৎ মোটা নাক, মুখটা গোলগাল, চোখদুটো কিছুটা ফ্যাকাসে রঙের। সৌন্দর্য বলতে শুধু থুতনিতে একটা ছোট খাঁজ দেখা যায়। নিজের চেহারা দেখে কোনদিন-ও সন্তুষ্ট ছিল না এই মহিলা। তবে একটা অনুভুতি বরাবরই জোড়ালো ছিল, সেটা হল কাম বোধ। মাঝারি গড়নের মাংসল শরীরটা যখন কাম জ্বরে আক্রান্ত হয় তখন ভেঙে ফেলতে চায় ব্যস্ত দুনিয়াটা আর সব বানানো নিয়ম কানুন।
সাত বছর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল তার৷ বয়স তখন সতের বছর। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় সংসার ভেঙে গেল। শ্বশুর বাড়ির অভিযোগ ছিল মেয়ে বন্ধ্যা, কোনদিন বাচ্চা কাচ্চা হবে না। কোন ডাক্তারের সাথে কথা বলেই এই রায় তারা দিয়েছিল। রিজিয়াও সেটা মেনে নিয়েছিল। না মেনে নিয়ে উপায় কিছু ছিল না। টানা তিন দিন কান্না কাটি করে পতি দেবতার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়িতে না গিয়ে সোজা গাজীপুর চলে এসেছিল সে। এক দুঃসম্পর্কের মামাকে ধরে এই চাকুরিটা নেয়। লাগাতার পরিশ্রম করার তীব্র ক্ষমতা আর সামান্য একটু চিন্তা শক্তির প্রভাবে চাকুরিতে মোটামুটি ভালো করে সে। এক বছর চাকুরি করার পর ছোট বোন আর মাকে গাজীপুর নিয়ে আসে। বহুদিন আগে থেকেই ওর বাবা ঘরছাড়া, কোথায় আছে, বেঁচে আছে কিনা কেউ জানে না। বোনকে একটা স্কুলে দশম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেয়।
ওদের মা চির রোগা, চ্যাংরা শরীর নিয়ে বিছানায় শুয়ে আর বস্তির মত সারিবদ্ধ ঘুপচি ঘরের দরজার সামনে একটা কাঠের টুলে বসে তার দিন কাটে। বিষন্ন এক অপেক্ষায় সময় পার করে, ফিরে যাবার আকুতি নিয়ে বেঁচে থাকে। খাওয়া আর ঝিমানোর মাধ্যমে বিশাল অপেক্ষা করে যেতে থাকে--বোধ হয় মৃত্যুর জন্যেই।
রান্না বান্না করে ওর রিজিয়ার ছোট বোন। বড় বোনের মতই দেখতে কিছুটা বুনো, শুধু দু ইঞ্চি লম্বা সে। রিজিয়া চায় বোনকে কিছুদুর পড়ালেখা শেখাবে। আগেভাগে বিয়ে দিয়ে ভাগ্য বিপর্যয় ঘটিয়ে তার মত জীবনটা নষ্ট হতে দেওয়া চলবে না। কিন্তু রিজিয়ার উপার্জন সবসময় এই তত্ত্বের বিপক্ষে কথা বলে। তার উপার্জন বলে, দ্রুত বিয়ে দিয়ে দাও বোনকে, ঝামেলা কমে যাক।

এখন থেকে ছ'মাস আগে রিজিয়া ওর এক কলিগের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। রিজিয়ার কামার্ত শরীরের তীব্র আকর্ষণে সাহেব নামের ছেলেটা গুটিসুটি মেরে যায়। শরীর শুকাতে থাকে আর চোখ দুটো কামে জ্বলতে থাকে। তার হাব ভাব দেখে রিজিয়া বাধ্য হয়ে ওর গোপন কথাটা খুলে বলে দেয়। বলে, রিজিয়া তাকে বিয়ে করতে পারবে না। কারণ তার কোনদিন বাচ্চা কাচ্চা হবে না। এই সংবাদে সাহেব নামের ছেলেটার চেহারা যেন আরো বেশি উৎসাহে জ্বলে ওঠে। ঈদের ছুটির মধ্যে একদিন ফাঁকা বাসায় রিজিয়াকে রাতের খাবার খাওয়ার দাওয়াতও করে ফেলে। রিজিয়া তীব্র চোখে ঝঙ্কারের সাথে সেই দাওয়াত ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু রাতের খাবারের সময় আসলে রিজিয়া ভীষণ ক্ষুধার্ত বোধ করে কিন্তু নিজের বাসার খাবার আর তাকে টানে না। এই ক্ষুধা হয়ত রান্না করা খাবারে যাবে না। মাথার মধ্যে শো শো একটা অনুভুতি নিজের অজান্তেই তাকে রাস্তায় বের করে নিয়ে আসে। সাহেবের বাসা চেনে না সে, কিন্তু কোন এলাকায় সেটা জানে। রাতের আধারে ঐ এলাকায় গিয়ে সাহেবকে ফোনকল করে৷ অবিশ্বাসের ঘোরে সাহেব এসে তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। সেদিন দুজনের মিলিত ঝড়ে সাহেবের বাসার বিছানার চাদর উড়ে গিয়ে জানালা ঢেকে দিয়েছিল। রাতের খাবার খাওয়ার আগেই ক্ষুধামুক্ত হয়েছিল রিজিয়া।
এই ঘটনার দুই মাস বাদে রিজিয়া পূর্ন রূপে আবিষ্কার করে যে অভিযোগে তাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তা সত্য নয়। রিজিয়া গর্ভে সন্তান ধারণ করে। ঘন ঘন বমি আর অরুচি বোধের জন্যে ডাক্তারের কাছে গেলে ব্যাপারটা জানতে পারে। এটা জেনে একটা মিশ্র অনুভুতি কাজ করে রিজিয়ার মনে। ভাবে, ও মা হবে! একটা গাঢ় আনন্দ বোধ কাজ করে দুরুদুরু বুকের ভেতর। আবার শঙ্কিত হয়ে মনটা কুকড়ে যায়, যদি সাহেব নামের লোকটা ওকে গ্রহণ না করে! সন্তানকে স্বীকৃতি না দেয়! সাহেবকে ব্যাপারটা জানাতে সে খুশি হবার উত্তম অভিনয় করে। তিন দিন বাদে তাকে আর কেউ ঐ এলাকায় খুঁজে পায় না৷ রিজিয়া একবার ভাবে, সাহেব নামের লোকটিকে খুঁজে বের করে গলায় পারা দিয়ে ধরুক, কিন্তু পরে নিজের পরাজয়কে মনে মনে স্বীকার করে নেয়। আর দ্বিধাদ্বন্দে পরে যায়, বাচ্চাটিকে রাখবে! নাকি ফেলে দেবে! একসময় মনে হয়, নিজেকেই মেরে ফেলুক। অবশ্য মা আর বোনের কথা ভেবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে বের হয়ে আসে।
দেড় বছরের বেশি সময় বাইরে চাকুরী করার সুবাদে সে মোটামুটি বাইরের জগত সম্পর্কে ভালোই জানে। কাউকে কিছু না জানিয়ে একদিন অফিসে ছুটি নিয়ে বাচ্চাটা ফেলে দিয়ে আসে সে। তারপর দুদিন বাসায় অসুস্থ হয়ে পরে থাকে। যেখানে অন্তত পনের দিন বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নেবার কথা সেখানে তিন দিন বাদে বিছানা ত্যাগ করে আবার গার্মেন্টস-এ যেতে শুরু করে রিজিয়া। মাঝে মাঝে মাথা ঘুরে পরে যেতে গিয়েও নিজেকে সামলে নেয়, আবার মাঝে মাঝে তীব্র একটা মানসিক যন্ত্রণা তাকে পাগলের মত আচরণ করতে বাধ্য করে। এসব দাতে দাত চেপে সইয়ে যায়। তারপর কেটে যায় আরো তিনমাস। রিজিয়া কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এরপর থেকে তার শরীর হয়ে যায় বুনো শেয়ালের মত সতর্ক। শরীরে মুখ্য জোয়ারের মত কামভাব জেগে উঠলেও সেটা অবদমিত হতে সময় লাগে না।

দিনের শুরুতে যখন অফিসে যায় তখন মনে মনে একটা জিনিসের অপেক্ষা করে সে। তা হল, দুপুরে খাবার সময় কখন হবে! দুপুরের খাবার সময় হলে বুকের ভেতর থেকে একটা চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে যায়। বাসায় এসে খাবার খেয়ে আবার ফিরে যাবার পথে আর একটা দীর্ঘশ্বাস জমা হতে থাকে বুকের ভেতরে। যখন দুপুরে কাজ শুরু করে তখন অপেক্ষায় থাকে সন্ধ্যার, যখন এই এক ঘেয়ে কাজ শেষ হবে ঐ দিনকার মত। আর ঐ দিন কাজ শেষ হলে সেই দীর্ঘশ্বাসটাও বের হয়ে যায়। এভাবে একটা দিন শেষ হয়ে যায়। শনিবার শেষ হয় সন্ধ্যার অপেক্ষায়, রবিবারটাও একই রকমের। বুধবার পর্যন্ত এভাবেই সন্ধ্যা হবার প্রতিক্ষায় দিনগুলো পার হয় ধীরে। বুধবারে শুরু হয় নতুন অপেক্ষা। শুক্রবারের জন্য অপেক্ষা। এই অপেক্ষা অত্যন্ত মধুর। বৃহস্পতিবারে সকালে আর দুপুরের খাবারের পর বুকের ভেতর কোন দীর্ঘশ্বাস জমে না, বরং আনন্দ ছলকে ছলকে বের হয়। রিজিয়ার জীবনে এই একটাই ক্ষুদ্র আনন্দ বাকি থেকে যায়--শুক্রবারের জন্যে অপেক্ষা।
শুক্রবার আসে। রিজিয়া দেরি করে ঘুম থেকে জাগরিত হয়ে স্বাগতম জানায় দিনটিকে। ঘুম থেকে উঠার পর গায়ের ম্যাচ ম্যাচে ভাবটা একটা জড়তা বোধ তৈরি করে। এই জড়তা শরীরটাকে আলস্যে ভরিয়ে তোলে। দুপুর পর্যন্ত এই আলস্য উপভোগ করে যায় রিজিয়া। দুপুরের খাবারের পর আবার নিজেকে বিছানায় এলিয়ে দেয়। নতুন টাচ মোবাইলের চমৎকারিত্বে মুগ্ধ হতে থাকে সে। এভাবে বিকেল হয়ে যায়। বিকেল গড়াতেই মনটা গাঢ় এক বিষন্নতায় ফেনিয়ে উঠতে থাকে। বিকেলের পর সন্ধ্যা নামে, মনটা ভারী হতে শুরু করে। রাতে দুচোখে ঘুম নামে দেরি করে। এটাই ভাবতে থাকে, আবার কাল থেকে শুরু হবে একই জীবন, একই কাজ, একই অপেক্ষা। এভাবে প্রতিটা দিন আগামীকালের জন্যে অপেক্ষা করে পার হতে থাকে।


জাকিরুল বারী একটা গ্রুপ কোম্পানীর মালিক। সাকুল্যে তার কোম্পানি তিন হাজার কোটি টাকার মালিক। প্রতিষ্ঠান চালায় তার বড় ছেলে। তিন বছর আগে দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও তিনি এখন উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন এবং বলাই বাহুল্য, বলে ব্যাবসা সংক্রান্ত বড় বড় সব সিদ্ধান্ত-ই তিনি নিয়ে থাকেন। তার কোম্পানির আন্ডারে বিশাল বিশাল দুটো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। এগুলো অবশ্য মূল কোম্পানির নামে চলে না, এগুলো ভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠিত কিন্তু সবাই জানে এর মালিক জাকিরুল বারী সাহেব।
তিনি এখন কম দায়িত্ব পালন করেন তাই তার অবসর প্রচুর৷ ষাট বছর বয়সে তিনি এখন নেমেছেন জীবনকে আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে। যদিও জীবনটাকে উপভোগ করতে কোথাও বাকি রাখেন নি। অত্যন্ত রূপবতী স্ত্রীকে ঘরে রেখে মদ খেতে খেতে দেশি বিদেশী ললনাদের আঁচল টেনে বেরিয়েছেন। সেটা আজ অবধি থামে নি। এখন অবশ্য সেই জোরদার দিনগুলো নেই৷ সপ্তাহে একদিন মাত্র শরীরে স্বর্গীয় শক্তি অনুভুত হয়। আর সেই দিনটা রাঙিয়ে তুলতে ভূল করেন না এই ভদ্রলোক।
আগামী শনিবার সিঙ্গাপুর যাবার কথা। সবাইকে বলেছেন ব্যবসার কাজে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি আসলে যাচ্ছেন ব্যক্তিগত কাজে।
সিঙ্গাপুর গিয়ে একটা বিশাল রিসোর্টে গিয়ে উঠলেন। সেখানকার একজন ম্যানেজার তার অতি কাছের। বিদেশি লোকটা ইংরেজি ভাল বোঝে। তার প্রচেষ্টাতে অত্যন্ত কম বয়সী আর অতিরিক্ত রূপবতী এক বিদেশী নারী জাকির সাহেবের এপার্টমেন্টে চলে আসে। রয়ে সয়ে ধীরে মেয়েটার কাছে যান জাকির সাহেব। শিকার হাতের নাগালে চলে আসার পর সিংহ যেমন কালক্ষেপণ করে, ধীরে ধীরে শিকারের কাছে এগোয়, গা শুকে শুকে আলতো করে থাবা দেয়, সেভাবে জাকির সাহেব ভিনদেশী ললনার দিকে আগাতে থাকে। মেয়েটির সৌন্দর্য তাকে এতটাই বিমোহিত করে যে উত্তেজনার পারদ থার্মোমিটারের মাত্রা ক্রস করে চলে যায়, ফলে যথাসময়ের আগেই তার শরীরের জোস শেষ হয়ে যায়৷ নিজের উপর চরম বিরক্ত হন জাকির সাহেব। মেয়েটার কাছে লজ্জ্বা পাওয়াটা বড় কিছু না, এরকমটা বহুবার ঘটেছে তার জীবনে। কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে মেয়েটার সৌন্দর্য তাকে এতটাই বিমোহিত করেছে যে, সেই সৌন্দর্যে অবগাহন না করলে দেশে ফিরে শান্তি হবে না।
দুদিন বাদে ফেরার কথা থাকলেও দেশে জানিয়ে দিলেন, তিনি এক সপ্তাহের জন্যে বিদেশে অবস্থান করবেন। এই এক সপ্তাহ জুড়ে তিনি নিজেকে আলোড়িত করার উপায় হিসেবে বহুবিধ পন্থা অবলম্বন করলেন। আদি ও অকৃত্রিম চায়না জিনসেং সেবন করেও শরীরটা কথা শুনতে চায় না-- একবার একটু জেগে ওঠে তো আবার ডুবে যায়। এভাবে একদিন একদিন করে নিজেকে ফিরে পাবার অপেক্ষা করেন জাকিরুল বারী সাহেব। শনিবার দিন সকালে নিজেকে প্রশ্ন করেন, সে তৈরি কিনা। তার শরীর নাবোধক জবাব দেয়। সন্ধ্যায় মনে হয়, পরদিন সকালেই সে জোস ফিরে পাবে তাই মদ দুই পেগ বেশি ঢালেন গলায়। কিন্তু রবিবারেও শরীরটা আশানুরূপ সারা দেয় না। এভাবে সকালে এবং সন্ধ্যায় নিজের উপর বিরক্ত হয়ে অপেক্ষায় থাকেন তিনি--কখন আবার সতেজতা ফিরে আসবে। এভাবে তীব্র আক্ষেপ নিয়ে সোম, মঙ্গল, বুধ কেটে যায়। সপ্তম দিনের মাথায় তার শরীরে সেই পুরনো কামভাব পুকুরের মাঝারি ঢেউয়ের মত মনে মৃদু আলোড়ন বয়ে আনে৷ আবার সেই মেয়েটিকে ডাকেন তিনি। মেয়েটি আসে এবং তার সৌন্দর্য কদর করা হয়। অল্প কিছু সময়ের জন্যে জাকিরুল বারী সাহেবের বিরক্তিকর অপেক্ষার প্রহর থেমে থাকে। সেই সময় টুকু বাদে আবার শুরু হয় প্রতীক্ষা।

দেশে ফিরে জাকিরুল বারী একদিন তার ফ্যাক্টরি প্রদর্শনে আসেন। মহিলাদের সেকশনে গিয়ে ঘুরে ঘুরে কাজের ফাঁকে কর্মরত এক নারীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ নিতম্বে চোখ লেগে যায় তার, যদিও কামভাব তার মধ্যে জেগে ওঠে না। নিজের মধ্যে যৌবনময় প্রাণ প্রাচুর্য আর উচ্ছাস ফিরে পাবার তীব্র তাগিদ অনুভব করতে থাকা বয়স্ক লোকটা ভাবেন, আহ! কি জীবন এই যুবতীদের! যৌবনের বুনো স্রোতে স্নান করে নিজেকে উপভোগ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত!

আর রিজিয়া, যার শরীরে কয়েক সেকেন্ডের জন্যে চোখ আটকে গিয়েছিল গার্মেন্টস মালিকের, যে সন্ধ্যে লাগার অপেক্ষায় ক্লান্ত হয়ে কাজ করছিল, সে গার্মেন্টস মালিকের ভদ্র ও সুখী চেহারা দেখে ভাবে, আহ! কি জীবন এই বয়স্ক লোকটির!

অথচ ওরা দুজনই স্ব স্ব জায়গাতে অপেক্ষারত! যেন এই অপেক্ষার শেষ নেই কোন!

Palash dash, Rafi islam, Nusrat jerin, Sk arnob, Tanvir rahman, Md masum, Ema rahman and লেখাটি পছন্দ করেছে

Back to top
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum