- Shihabun Sakibধুমকেতু
- Posts : 12
স্বর্ণমুদ্রা : 1607
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-06-16
মধ্যবিত্ত সমাজ
Sat Jun 19, 2021 11:28 am
দেশে অনেক ছেলে হিরো হবার সপ্ন দেখে বড়ো হয়,কিন্তু কৈশোরে সমাজের এসএসসি ফেল মুরুব্বীদের কুপ্ররচনায় সব থেকে বড় ভিলেন হয়ে উঠে অনেকেই ,আবার কেউবা বেয়াদব পরিচয়ে বড়ো হয়েও সত্যিকারের হিরো হয় ।তেমনি একটা বালক,মফিজ।বকুল তলা নামের এলাকাতে জন্ম থেকেই থাকে ।
মফিজ সাধারণ ছেলে,তবে সব কিছুতেই সাধারণ।বাবা মা ও আল্লাহ ভীরু।মফিজের কোনো কিছুর অভাব নিয়ে কষ্ট নাই।কিন্তু মফিজের বাবার বন্ধু মতলব মিয়া সব সময় অন্যের মনে মতলব খাটানোর চেষ্টা করেন।তার দাড়ি,টুপি দেখে বড়ো আলেম মনে হয়।মতলব মিয়ার ছেলেপুলে নাই,তাই যিকির করে আর শলা পরামর্শ করে। মফিজের বাবাকে একদিন ডেকে বলে,পোলা এত বড় চুল রাখছে,কিছুদিন পর মাইয়া মাইয়া লাগবো তো।কাটায় ফেলাও। মফিজ কোচিং করে বাড়ি আসতেই ওকে ওর বাবা নিজ হাতে চুল কেটে ছোট ছোট করে দেন। মতলব মিয়া ওইদিন বিকালে বলে,"মাশাল্লাহ,ভাল্লাগে দেইখা।নিজের পোলা মনে হইতাসে।" তোমার পোলা ওই গলির শরম আলীর মাইয়ার লগে কথা কয়,কিছু কও না কেন! মফিজের বাবা নিরুপায় হয়ে বলে," আপনি কন,কি করলে কাম হইবো?" " পোলারে বল,মাইয়াগো লগে না মিশতে,নাইলে বিপদ হইবো।" পেয়ারা গাছের ডাল নিয়ে ওইদিন মফিজকে কুকুর পেটা করে ওর বাবা। ওইদিন মফিজ খাওয়া নাওয়া বন্ধ করে দিলো। মফিজ খুব ভালো ছবি আঁকতে জানে তবে বিশ্বাস করে,ভালো কিছু থাকলে আরো ভালো কিছু করতো।কিছু কামাই হলো।শর্মিলা ওর প্রেমিকের ছবি আঁকিয়ে নিয়েছিল।কিন্তু মতলব মিয়া ছবিকে প্রেম পত্র ভাবলো মোড়ানো দেখে।শরম আলীকে বাজারে পেয়ে বললো,মফিজের লগে তোমার মাইয়া মিশে,ওর বাপেও বলদ,পোলা তো মহাবলোদ।শরম আলী বলে,"যেমন টা বলেন। মফিজ তো ভালো ছবি বানায়। বড়ো শিল্পী হবে।দুয়া করি।" মতলব আলী একটু হেসে খোদা হাফেজ বলে মফিজের বাবাকে গিয়ে বলে,"তোমার পোলা নাফরমানী করে,নাস্তিক, চারাল দের কাম করে,কিছু কও না?" মফিজ বাড়িতেই ছিল।এসে বলতে শুরু করছে," আপনি নিজে কে? দাড়ি টুপি দেখিয়ে অন্যের মনে কুবুদ্ধি দেন! আপনি পলাশ তলার মোতালেব আলী মিয়া,পতিতা ঘরে এনে কাম করতে গিয়া যখন আপনার বউ দেখে ফেলে আর নগদে গলায় দড়ি দিছে। শর্মিলা আপনার ভাগ্নের প্রেমিকা, ওর দোষ নাই,আমার দোষ।সময় আছে,ভাগেন,বেরিয়ে যান।আপনার কলঙ্ক এই মাস ধরে জোগাড় করেছি।ডালিম খানের পা চাটা কুত্তা আপনি।আতা শিকদার আমার মামা,ডালিমের বন্ধু।মুনাফিক যত্তসব। আমার ছবি আকা আপনার হজম হয়না।কিন্তু কুকামের টাকায় আইফোন লইয়া মাইয়াগো সাথে ছবি তুলেন হেইডা আমি জানি,প্রমাণ দিমু?" মফিজের বাবা বলে,"চুপ কর।" " না আব্বা,তুমি থামো। ভাগেন আপনি নাইলে কিন্তু খবর আছে।" মতলব মিয়া মাথা নিচে করে বের হয়ে যায়। রাস্তায় মফিজের বন্ধু মোখলেস আলী আর কুদ্দুস উদ্দিন জিজ্ঞাসা করে," চাচা,কই গেছিলেন?" " বাপু,ডাক্তার দেখাতে,কোমর ব্যাথা!" ওরা মুচকি হাসি দিয়ে সন্দেহ পূর্ণ হাসি দেয়। মতলব মিয়া,কোমরে হাত দিয়ে হাঁটতে থাকে।
সমাজে অনেক মফিজ আছে,কিন্তু অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কুপথে চলে যায়। আবার কেউ অন্যায় কাটিয়ে জাতীয় হিরোতে পরিণত হয়।
সমাপ্ত
মফিজ সাধারণ ছেলে,তবে সব কিছুতেই সাধারণ।বাবা মা ও আল্লাহ ভীরু।মফিজের কোনো কিছুর অভাব নিয়ে কষ্ট নাই।কিন্তু মফিজের বাবার বন্ধু মতলব মিয়া সব সময় অন্যের মনে মতলব খাটানোর চেষ্টা করেন।তার দাড়ি,টুপি দেখে বড়ো আলেম মনে হয়।মতলব মিয়ার ছেলেপুলে নাই,তাই যিকির করে আর শলা পরামর্শ করে। মফিজের বাবাকে একদিন ডেকে বলে,পোলা এত বড় চুল রাখছে,কিছুদিন পর মাইয়া মাইয়া লাগবো তো।কাটায় ফেলাও। মফিজ কোচিং করে বাড়ি আসতেই ওকে ওর বাবা নিজ হাতে চুল কেটে ছোট ছোট করে দেন। মতলব মিয়া ওইদিন বিকালে বলে,"মাশাল্লাহ,ভাল্লাগে দেইখা।নিজের পোলা মনে হইতাসে।" তোমার পোলা ওই গলির শরম আলীর মাইয়ার লগে কথা কয়,কিছু কও না কেন! মফিজের বাবা নিরুপায় হয়ে বলে," আপনি কন,কি করলে কাম হইবো?" " পোলারে বল,মাইয়াগো লগে না মিশতে,নাইলে বিপদ হইবো।" পেয়ারা গাছের ডাল নিয়ে ওইদিন মফিজকে কুকুর পেটা করে ওর বাবা। ওইদিন মফিজ খাওয়া নাওয়া বন্ধ করে দিলো। মফিজ খুব ভালো ছবি আঁকতে জানে তবে বিশ্বাস করে,ভালো কিছু থাকলে আরো ভালো কিছু করতো।কিছু কামাই হলো।শর্মিলা ওর প্রেমিকের ছবি আঁকিয়ে নিয়েছিল।কিন্তু মতলব মিয়া ছবিকে প্রেম পত্র ভাবলো মোড়ানো দেখে।শরম আলীকে বাজারে পেয়ে বললো,মফিজের লগে তোমার মাইয়া মিশে,ওর বাপেও বলদ,পোলা তো মহাবলোদ।শরম আলী বলে,"যেমন টা বলেন। মফিজ তো ভালো ছবি বানায়। বড়ো শিল্পী হবে।দুয়া করি।" মতলব আলী একটু হেসে খোদা হাফেজ বলে মফিজের বাবাকে গিয়ে বলে,"তোমার পোলা নাফরমানী করে,নাস্তিক, চারাল দের কাম করে,কিছু কও না?" মফিজ বাড়িতেই ছিল।এসে বলতে শুরু করছে," আপনি নিজে কে? দাড়ি টুপি দেখিয়ে অন্যের মনে কুবুদ্ধি দেন! আপনি পলাশ তলার মোতালেব আলী মিয়া,পতিতা ঘরে এনে কাম করতে গিয়া যখন আপনার বউ দেখে ফেলে আর নগদে গলায় দড়ি দিছে। শর্মিলা আপনার ভাগ্নের প্রেমিকা, ওর দোষ নাই,আমার দোষ।সময় আছে,ভাগেন,বেরিয়ে যান।আপনার কলঙ্ক এই মাস ধরে জোগাড় করেছি।ডালিম খানের পা চাটা কুত্তা আপনি।আতা শিকদার আমার মামা,ডালিমের বন্ধু।মুনাফিক যত্তসব। আমার ছবি আকা আপনার হজম হয়না।কিন্তু কুকামের টাকায় আইফোন লইয়া মাইয়াগো সাথে ছবি তুলেন হেইডা আমি জানি,প্রমাণ দিমু?" মফিজের বাবা বলে,"চুপ কর।" " না আব্বা,তুমি থামো। ভাগেন আপনি নাইলে কিন্তু খবর আছে।" মতলব মিয়া মাথা নিচে করে বের হয়ে যায়। রাস্তায় মফিজের বন্ধু মোখলেস আলী আর কুদ্দুস উদ্দিন জিজ্ঞাসা করে," চাচা,কই গেছিলেন?" " বাপু,ডাক্তার দেখাতে,কোমর ব্যাথা!" ওরা মুচকি হাসি দিয়ে সন্দেহ পূর্ণ হাসি দেয়। মতলব মিয়া,কোমরে হাত দিয়ে হাঁটতে থাকে।
সমাজে অনেক মফিজ আছে,কিন্তু অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কুপথে চলে যায়। আবার কেউ অন্যায় কাটিয়ে জাতীয় হিরোতে পরিণত হয়।
সমাপ্ত
Shihabun Sakib, Sk arnob, Tanvir rahman, Tanvir hrz, Md sohidul islam, Faruck bappy, Md masum and লেখাটি পছন্দ করেছে
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum