- রিয়াদনবাগত
- Posts : 4
স্বর্ণমুদ্রা : 1406
মর্যাদা : 10
Join date : 2021-05-30
Age : 21
কিছুক্ষণ থাকো
Sun May 30, 2021 2:50 pm
তখন কলেজের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎই মেসেজ আসলো "কেমন আছো?"
প্রতিউত্তর দিলাম। তখন আমার মনে একটা অনুভূতি কাজ করছিল তার জন্য। সুমাইয়া আমার স্যারের শালিকা। তাকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাই। কলেজ লাইফের শুরুতেই ওর সাথে দেখা। প্রথমে স্যারের কাছে পড়তাম ওর দুটো বান্ধবী আর আমি। গ্রামে ভালো কলেজ না থাকায় শহরে এসে বড়বোনের বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। সামনে ঈদের ছুটি তাই বাড়িতে যাবে বলে পড়া নোট করার জন্য আমার ফেসবুক একাউন্ট এর নাম নিয়ে যায়। গল্পটা শুরু এখান থেকেই, "কিরে ক্লাস না করে ফেসবুকে কি করো?" আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি, আজ ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে না" এভাবেই চলতে থাকলো পড়ার পর ওকে ছবি তুলে দেওয়ায় ছিল আমার প্রধান কাজ। ইদ গেলো ও ফিরে আসল আবার, এবার আমাদের প্রথম দেখা হবে ( কথা বলা শুরু করার পর) একটা অনুভূতি কাজ করছে ভেতরে। দুজনেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে একটি জায়গায় বসলাম আমি ওকে প্রচুর কথা বলানোর চেষ্টা করি কিন্তু ও কিছুতেই কথা বলে নি শুধু হাসতো আমি কিছু বললেই সেদিন আর বেশি কথা হয়নি। পরেরদিনই আবার আমাদের দেখা হয় সেদিন এক বান্ধবীর উসিলায় ওর সাথে কথা কথা হয়। এভাবে প্রতিদিন ওকে প্রাইভেট থেকে বাড়িতে দিয়ে আসতাম বিভিন্ন ধরনের কথা ও দুষ্টামীর ছলে ওকে আমার মনের কথা বোঝানোর চেষ্টা করতাম। একদিন আমি সিদ্ধান্ত নেই আজকেই জানাবো সব এবং ওকে বাড়ির সামনেই প্রোপোজ করি। ও কিছু না বলেই চলে গেল কিন্তু ওর মিষ্টি হাসি আর দোলখেলানো চুল আমার চোখে ভাসতে থাকল। পরেরদিন ওর থেকে উত্তর জানতে চাইলে আমাকে ফিরিয়ে দেয় বলে সম্ভব না। আমি আর কারণ জিজ্ঞাসা না করে বাড়িতে চলে আসি এবং ওর সাথে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কয়েকদিন পর দেখি সকাল সকাল ওদের বাড়ির সামনে খাটিয়া। অবাক হয়ে দেখি লাশ ওদের ঘর থেকই বেরুচ্ছে। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরে যখন আমি বুঝতে পারি ও আর নেই। তার সাথে একটি চিঠি পাওয়া যায় যাতে লেখা ছিল " আমি তোমার সাথে এমন করার কারণ আমার প্রতি যেন তোমার কোনো মায়া না জন্মায়। আমিও তোমাকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলি, কিন্তু বাস্তবতা বড় কঠিন বিধাতা আমাকে তোমার হতে দেয় নি হয়তো তোমার জীবনে আমার থেকেও ভালো কেউ আসবে, আমাদের হয়তো পরকালের দেখা হবে সেখানে নাহয় থাকবো তোমার সাথে। আমি ক্যান্সারের লাস্ট স্টেপে ছিলাম ডাক্তার জানায় আমি বাঁচবো না, তাই তোমাকে কষ্ট দিতে চাই নি। তোমারই - সুমাইয়া"
আমি দেখতে চাই ওর মুখখানা শেষবারের মতো কিন্তু কেউই আমাকে দেখতে দেয় নি। আজও আমি তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, আমার কবিতায় ওর আঁচড় থাকে সবসময়।
প্রতিউত্তর দিলাম। তখন আমার মনে একটা অনুভূতি কাজ করছিল তার জন্য। সুমাইয়া আমার স্যারের শালিকা। তাকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাই। কলেজ লাইফের শুরুতেই ওর সাথে দেখা। প্রথমে স্যারের কাছে পড়তাম ওর দুটো বান্ধবী আর আমি। গ্রামে ভালো কলেজ না থাকায় শহরে এসে বড়বোনের বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। সামনে ঈদের ছুটি তাই বাড়িতে যাবে বলে পড়া নোট করার জন্য আমার ফেসবুক একাউন্ট এর নাম নিয়ে যায়। গল্পটা শুরু এখান থেকেই, "কিরে ক্লাস না করে ফেসবুকে কি করো?" আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি, আজ ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে না" এভাবেই চলতে থাকলো পড়ার পর ওকে ছবি তুলে দেওয়ায় ছিল আমার প্রধান কাজ। ইদ গেলো ও ফিরে আসল আবার, এবার আমাদের প্রথম দেখা হবে ( কথা বলা শুরু করার পর) একটা অনুভূতি কাজ করছে ভেতরে। দুজনেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে একটি জায়গায় বসলাম আমি ওকে প্রচুর কথা বলানোর চেষ্টা করি কিন্তু ও কিছুতেই কথা বলে নি শুধু হাসতো আমি কিছু বললেই সেদিন আর বেশি কথা হয়নি। পরেরদিনই আবার আমাদের দেখা হয় সেদিন এক বান্ধবীর উসিলায় ওর সাথে কথা কথা হয়। এভাবে প্রতিদিন ওকে প্রাইভেট থেকে বাড়িতে দিয়ে আসতাম বিভিন্ন ধরনের কথা ও দুষ্টামীর ছলে ওকে আমার মনের কথা বোঝানোর চেষ্টা করতাম। একদিন আমি সিদ্ধান্ত নেই আজকেই জানাবো সব এবং ওকে বাড়ির সামনেই প্রোপোজ করি। ও কিছু না বলেই চলে গেল কিন্তু ওর মিষ্টি হাসি আর দোলখেলানো চুল আমার চোখে ভাসতে থাকল। পরেরদিন ওর থেকে উত্তর জানতে চাইলে আমাকে ফিরিয়ে দেয় বলে সম্ভব না। আমি আর কারণ জিজ্ঞাসা না করে বাড়িতে চলে আসি এবং ওর সাথে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কয়েকদিন পর দেখি সকাল সকাল ওদের বাড়ির সামনে খাটিয়া। অবাক হয়ে দেখি লাশ ওদের ঘর থেকই বেরুচ্ছে। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরে যখন আমি বুঝতে পারি ও আর নেই। তার সাথে একটি চিঠি পাওয়া যায় যাতে লেখা ছিল " আমি তোমার সাথে এমন করার কারণ আমার প্রতি যেন তোমার কোনো মায়া না জন্মায়। আমিও তোমাকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলি, কিন্তু বাস্তবতা বড় কঠিন বিধাতা আমাকে তোমার হতে দেয় নি হয়তো তোমার জীবনে আমার থেকেও ভালো কেউ আসবে, আমাদের হয়তো পরকালের দেখা হবে সেখানে নাহয় থাকবো তোমার সাথে। আমি ক্যান্সারের লাস্ট স্টেপে ছিলাম ডাক্তার জানায় আমি বাঁচবো না, তাই তোমাকে কষ্ট দিতে চাই নি। তোমারই - সুমাইয়া"
আমি দেখতে চাই ওর মুখখানা শেষবারের মতো কিন্তু কেউই আমাকে দেখতে দেয় নি। আজও আমি তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, আমার কবিতায় ওর আঁচড় থাকে সবসময়।
Khondkar, Shuvo, Hasibul hasan, Nasim, Mr.twist, Mr kiddo, Mahmud and লেখাটি পছন্দ করেছে
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum